জেনারেল রাইটিং- দুষ্ট গরু থাকার চেয়ে শুন্য গোয়াল অনেক ভালো।
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করব। আমার আলোচনার বিষয় থাকবে দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। বিষয়টা আমি আমার বুদ্ধি দিয়ে এবং বাস্তবতা দিয়ে বিশ্লেষণ করবো। বিশ্লেষণের বিষয়টা থাকবে স্বামী স্ত্রীর ও পরিবারকে কেন্দ্র করে।
একদম ছোট থেকে এই সেনটেন্স টা শুনে আসছি। মোটামুটি অর্থ বুঝতাম কিন্তু বাস্তবতার সাথে কখনো ভেবে দেখি নাই। বড় হওয়ার পর থেকে চারিপাশের বিভিন্ন ঘটনার সাথে কথাটার যথেষ্ট মিল দেখেছি। এরপর বিবাহিত জীবনে আসার পর যথেষ্ট বাস্তবতা খুঁজে পেয়েছি এই কথার সাথে। কথাটা একদম হান্ডেট পার্সেন্ট সত্য। আর এই সমস্ত সত্য কথাগুলো ভুক্তভোগী মানুষ দ্বারা প্রকাশ পায়। জানিনা কে এই কথাটা উদ্বোধন করেছিল। তবে অনুমান করতে পারি কোন এক ভুক্তভোগী তার বাস্তবতা থেকেই কথাটা উদ্বোধন করেছেন। বর্তমান বাস্তবতার সাথে যথেষ্ট মিল খুঁজে পাই এ কথার মধ্যে। কথাটা হয়তো উদাহরণস্বরূপ বোঝানো হয়েছে। তবে এই কথার মধ্যে যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে, বাস্তবতা রয়েছে, রয়েছে জীবনের হতাশা ও গ্লানি।
এখানে বোঝানো হয়েছে দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় অনেক অর্থ সেখানে একটা নিজের মত করে বিশ্লেষণ করা যায়। আপনি বিবাহিত একজন পুরুষ। আপনার স্ত্রী অনেক দুষ্ট। সংসার জীবনে গার্জিয়ানকে ফলো করতে হবে গার্জিনের কথা মান্য করতে হবে এটাই প্রধান কথা। হতে পারে সেটা বাবার গার্জেন মান্য করা অথবা স্বামীর গার্জেন মান্য করা। যখন স্বামীর সংসারে এসে যাবে একজন মেয়ে অবশ্যই তাকে স্বামীর গার্জেন মান্য করতে হবে। স্বামীর কথায় ওঠাবসা করতে হবে। আর যখন বিয়ে হয় না একজন নারীর তখন বাবা গার্জেন। বাবার কথা ওঠাবসা করতে হবে। নিজের পার্সোনালিটি থাকবে তাই বলে লিমিটের বাইরে চলাচল নয়। যে আপনার ভালো-মন্দ যথেষ্ট বোঝে আপনাকে ভরণ পোষণ করে চলছে, নিশ্চয় সে কখন আপনার খারাপ চাইবে না। তাহলে সে গার্জেনের কথাটা মান্য করতে হবে অথবা গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে হবে। যাক গে, সোজা লাইনে আসি। আমি মনে করি এই কথাটার অর্থটা স্বামী স্ত্রীর মধ্য দিয়ে বিশ্লেষণ করলে এটা এসে দাঁড়ায়। একজন স্বামী যখন গার্জিয়ান হিসেবে স্ত্রীসহ পরিবারের সকল দায়িত্ব মাথায় রাখেন তখন স্ত্রী যদি স্বামীর গার্জেন মান্য না করে নিজের মধ্যে চলে অথবা কথার উর্ধ্বে চলে তখনই সেই গোয়ালে বা সে গৃহে এক প্রকার অশান্তি দেখা দিবে। আর যখন এই অশান্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যাবে তখন স্বামী নামের ব্যক্তিটা অথবা গার্জেন ভাববে এই গৃহে অবাধ্য ব্যক্তি থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।
জীবন চলার পথে সামাজিক বাস্তবতা এবং নিজের জীবনের কিছু বাস্তবতা একত্রিত করে গভীর অনুশীলন করে বুঝতে পেরেছি। কোন মানুষ চায়না তার গোয়াল বা গৃহশূন্য থাক। সবাই চাই নিজের গৃহটাকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে তুলি একটা ফুলের বাগানের মত। একটু ফুলের বাগানের মালিক যেমন চাই নিজের পরিচর্যায় সুন্দরভাবে গড়ে উঠুক বাগানটা। সেখানে যদি ছাগল গরু অথবা কোন মানুষের এসে হামলা করে বাগানটা নষ্ট করে তখন তার খুব খারাপ লাগে। আবার দেখা যায় আগাছা পোকামাকড় যদি বাগানটার ভেতরে ক্ষতি করে, সে চেষ্টা করে যত দ্রুত সম্ভব সেগুলো দমন করে ফেলি কারণ বাগানটা তো তার। নিজের মত সুন্দরভাবে বাগানটা সাজিয়ে রাখি। ঠিক তেমনি একটা বাড়ির গার্জিয়ান চাই নিজের ফ্যামিলিটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলি। সেখানে পরিবারের কোন ব্যক্তি যদি উল্টাপাল্টা চলে তখন তার খুবই কষ্ট লাগে কারণ সে পরিবারটা পরিচালনা করছে তাই বলে শুধু পরিচালনা নয় সেখানে তার শ্রম রয়েছে, তার অর্থ ব্যয় রয়েছে, রয়েছে আরো অনেক ক্লান্তি।
আর যখনই সেই পরিশ্রম শেষে দেখে পরিবারের মানুষ তার বাইরে চলছে তার কথার অবাধ্য হচ্ছে তখনই তার খারাপ লাগা সৃষ্টি হবে। আর এভাবে যদি দীর্ঘদিন চলতে থাকে তখন সে চাবে যে তার কথার অবাধ্য তার মত মানুষ এই ফ্যামিলিতে অর্থাৎ এই ফুলের বাগানের মধ্যে না থাকাই ভালো। আশা করি কথাটা বোঝানোর সক্ষমতা আমার লেখার মধ্যে রয়েছে। ঠিক তেমন ভাবে একটা সংসারে, স্বামীকে যখন তার বউ মান্য করে না। উল্টাপাল্টা চলে, কখনো স্বামীকে বোঝার চেষ্টা করে না, নিজের জ্ঞানটাকে বড় মনে করে, তখনই গার্জিয়ান এমন মনোভব হয়ে ওঠে। আমাদের বুঝতে হবে। আমি যখন কোন একটা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হব, অবশ্যই সে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রয়েছে ও নিয়ম শৃঙ্খলা রয়েছে। সে প্রতিষ্ঠানের নিয়ম শৃঙ্খলার বাইরে যদি আমি হুট করে উপস্থিত হয়ে নিজের জ্ঞানে চলতে যায়, তাহলে তো সেটা নিয়ম ভঙ্গ করা হতে পারে। তাহলে আমাকে বুঝতে হবে সেই পরিবেশে নিয়ম কিভাবে আমাকে মেনে চলতে হবে, নিজের বুদ্ধি খাটাতে গেলে তো আর হবে না। ঠিক এভাবে একটি মেয়ে যখন নতুন সংসারে আসেন অবশ্যই তাকে বুঝতে হবে এই সংসারের বা এই সুন্দর ফুলের বাগানের নিয়ম শৃঙ্খলা কি এবং সেই নিয়ম-শৃঙ্খলে আমাকে মেনে চলতে হবে। যখনই সে সেই সুন্দর ফ্যামিলির নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে না চলে নিজের জ্ঞানের চলতে যায় তখন ভুলে পা বাড়ায়। যখনই সেই ফ্যামিলির গার্জেন পক্ষ থাকে সঠিক পথ দেখায় আর সে যদি সঠিক পথ অনুসরণ না করে, তখনই তার জন্য ক্ষতি হয়ে আসে। যখন গার্জেন পক্ষ দেখে যে এই দুষ্টু গরু অর্থাৎ ব্যক্তিটা নিয়ম-শৃংখলার বাইরে চলছে তখন এমন খারাপ জন এই ফ্যামিলিতে অথবা এই সুন্দর বাগানটাতে না থাকলে অনেক ভালো। তাই আমি মনে করি নতুন পরিবেশে এসে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে, অযথা নিজের আইন বুদ্ধি প্রয়োগ করে লাভ নেই। আর যখনই অযথা বুদ্ধি প্রয়োগ করে গার্জেন কে অতিষ্ঠ করে ফেলা হয় তখনই গার্জিয়ান এর মনোভাবটা এই পর্যায়ে এসে যায় যে, দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল আমার অনেক ভালো।
ব্লগিং ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
---|---|
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
আলোচনার বিষয় | দুষ্টু গরুর থাকার চেয়ে শুন্য গোয়াল অনেক ভালো |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার ও ব্লগার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আমার আজকের টাস্ক
https://x.com/dream_boy56923/status/1905096947578601778?t=zReFJ1DCQQ-u0yFWp3Jf7Q&s=19
https://coinmarketcap.com/community/share/post/356668916
Twitter-promotion
দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো— এই কথাটি আসলে আমাদের জীবনের অনেক ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যেমন, কোনো ক্ষতিকর সম্পর্ক বা পরিবেশে থাকার চেয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসাই উত্তম। আপনার উদাহরণটি খুবই বাস্তবসম্মত।এই কথাটি ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। কোনো অলাভজনক বা সমস্যাযুক্ত ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে বন্ধ করে নতুন সুযোগ খোঁজা বুদ্ধিমানের কাজ। ধন্যবাদ এমন একটি মূল্যবান ভাবনা শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই ঠিক বুঝেছেন