জেনারেল রাইটিং- ছোটদের মাঝে নোংরা ভাষা ব্যবহার করবেন না।
হ্যালো বন্ধুরা!
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে আপনারা অনেক অনেক ভাল রয়েছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় বেশ ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক্স নিয়ে আলোচনা করব। আমার আলোচনার বিষয় থাকবে মানুষের মাঝে কেমন ভাষা প্রয়োগ করতে হবে, এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত।
মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষ পারেনা এমন কাজ নেই বলে চলে। মহান সৃষ্টিকর্তা দুনিয়ার বুকে যত প্রকার জীবজন্তু কীটপতঙ্গ পোকামাকড় গাছপালা ইত্যাদি সৃষ্টি করেছে না কেন, তার মধ্যে একমাত্র মানুষের দিয়েছে জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক ও জাগ্রত শক্তি। যে জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক দ্বারা মানুষ সবকিছু উপলব্ধি করতে পারে। তাই আমি মনে করি একজন খারাপ মানুষ ভালো জিনিস মন্দ জিনিস উভয় কিছু বোঝে। যখন একটা প্রাপ্ত বয়স হয়ে যায় তখন মানুষ সবকিছু অনুধাবন করতে শেখে যায়। সে কোন কাজটা করলে ভালো হচ্ছে, কোন কাজটা করলে মন্দ হতে অবশ্যই বুঝতে পারে। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে আমরা জ্ঞানীগুণী শিক্ষিত সর্বশ্রেণীর মানুষ সবকিছু বোঝার পরেও নিজের ভুলগুলো সংশোধন না করে আরো বৃদ্ধি করি। এক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের ভুলের প্রভাবটা আমাদের উপরে এসে পড়ে। আর সে ভুলের মাশুলগুলো হয়ে যায় অনেক সময় বেশ কঠিন। তাই আমাদের জ্ঞান বুদ্ধি থাকা সত্ত্বে যে বোকামিগুলো করে থাকি তার মধ্যে বেশ কিছু রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমি একটা বিষয় সামনে নিয়ে কথা বলতে চাই। সেটা হচ্ছে বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয়। ছোটরা বড়দের থেকে শিখে। আপনি আমি যা করব আমাদের সমাজের ছোট ছেলেমেয়েরা সেই থেকে শিক্ষা নিবে এটাই স্বাভাবিক। সে ক্ষেত্রে আমি আপনি যদি সংশোধন না হয়ে চলতে পারি তাহলে আমাদের ব্যর্থতা। এর ফলে আমাদের ছোটরা যদি খারাপ দিকে এগিয়ে যায় তাহলে সেটাও আমাদের ব্যর্থতা।
শিক্ষিত-অশিক্ষিত
উভয় শ্রেণীর মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা যায় অশ্লীল কথাবাত্রা ও গালিগালাজ। কখনো কোন ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হলে দেখা যায় মানুষ অশ্লীল ভাষা দিয়ে গালিগালাজ করছে। এগুলো শুধু তাদের উভয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না, অনেক মানুষের কানে যায়। আর সেই থেকে ছোট বড় সবার মধ্যে এই খারাপ গালিগালাজের প্রবন্ধ চলে আসে। দেখা যায় এমন কিছু কিছু গালিগালাজ রয়েছে যেগুলো কানের শোনা মাত্র নিজের কাছে লজ্জা লাগে। ঠিক এমনই কিছু কথাবার্তা অনেক সময় সমবয়সী বয়সের ছোট ছেলেদের মানুষেরা বলে ফেলে তখন অন্যের কাছে নিজের মুখ দেখাতে লজ্জা লাগে। কিন্তু যখন একজন ব্যক্তি মুখ থেকে উচ্চারণ করে তখন সে এতটা ভাবতে চায় না। সে মনে করে মুখ থেকে খারাপ শব্দ বের করে অন্যের সাথে খারাপ আচরণ করলে বড় হয়ে গেলাম। এক্ষেত্রে সে অন্যের কাছে ঘৃণার পাত্র তো হবেই, তার খারাপ কথাবার্তার প্রভাবটা পড়বে সমাজের উপর। যত প্রকার রাগারাগির ঝরে ঝগড়া হোক না কেন সব সময় নিজের মুখটাকে সংযুক্ত রাখতে হবে। কখনো যেন মুখ থেকে খারাপ অশ্লীল ভাষা বের না হয়।
লক্ষ্য করে দেখা যায় পরিবারে পিতা-মাতার মধ্যে যদি কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হয় সেখানে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সৃষ্টি হয়। সেই পরিবারে ছোট সন্তানেরা যখন থাকে তখন পিতা-মাতার থেকে খারাপ শব্দগুলো শিখতে থাকে। মাঝেমধ্যে দেখা যায় ছোট বাচ্চারা সে শব্দগুলো মাথার মধ্যে এমন ভাবে গেছে নাই মুখ থেকে বের করতে রয়েছে। যাকে সাথে করে নিয়ে অন্য কোথাও মানুষের মধ্যে চলা যায় না। যে কোন মুহূর্তে মুখ থেকে এমন খারাপ কিছু শব্দ বের করে ফেলে যখন নিজের কাছে লজ্জা লাগবে। সেক্ষেত্রে পরিবার থেকে সংযুক্ত হতে হবে। রাগারাগি ঝগড়া বিবাদ দেয়া হোক না কেন কখনো ভাষা ভঙ্গি খারাপ করা যাবে না। আমরা ছোট থেকে একটা বিষয় খুব ভালোভাবে জেনে এসেছি যেটা বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে খুব কম। ছোটবেলায় পিতা মাতার মুখে শুনতাম খারাপ শব্দ উল্লেখ করলে আল্লাহ গুনা দেবে আল্লাহ মারবে। কখনো কারো সাথে খারাপ আচরণ করা যাবে না গালাগালি করা যাবে না। পিতা-মাতা বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখাতেন। সেই তখন আল্লাহর ভয় আর নিজের মধ্যে লজ্জা সৃষ্টি হয়েছে। যেগুলো এখনো নিজের মধ্যে বিবেক কাজ করে থাকে। কিন্তু পথ চলার সময় অনেক সময় খেয়াল করে দেখি, মানুষের মধ্যে খারাপ কথাবার্তা গুলা খারাপ চলাচল গুলো। আমার তখন মনে হয় যদি আমাদের পিতা মাতার মত তাদের পিতা মাতা আল্লাহর ভয় দেখাতো লজ্জার বিষয় বলতো তাহলে এরা অবশ্যই আমাদের মত সংযত থাকতে পারতো। আবার শুধু পরিবার নয় সমাজেও যদি সেভাবে একটা একটা পরিবার সুন্দরভাবে তার সন্তানদের শিক্ষা দিতে এবং নিজেরা নিজেদেরকে কন্ট্রোলে রাখত তাহলে সমাজটাও সুন্দরভাবে গড়ে উঠতো। কিন্তু আজ পরিবার সমাজ সবকিছুই যেন বিফলে চলে যাচ্ছে।
আজকে কেউ কাউকে মান্য করতে জানে না এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পারিবারিক নৈতিক শিক্ষা যেন হারিয়ে যাওয়ার পথে। পারিবারিক নৈতিক শিক্ষা যদি থাকতো তাহলে কেউ খারাপ ভাবে গালিগালাজ করতে পারত না। কেউ অশ্লীল কথা মুখ থেকে উচ্চারণ করতে পারত না। সবার কথার মধ্যে একটা মার্জিত জ্ঞান থাকতো এবং লজ্জাবোধ থাকতো। তাই এখনো সময় রয়েছে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে এবং সুন্দর সমাজ গড়তে এখন থেকে আমাদের সংযত হতে হবে। কারণ আমরা যদি নিজেদের ভাষা ভঙ্গি মার্জিত না করতে পারি তাহলে আমাদের সমাজ কখনোই সংস্কার করা সম্ভব হবে না। তাই আমাদের দৈনন্দিন পথ চলায় মাথায় রাখতে হবে কোন ঝগড়া-বিবাদের মধ্যে জড়িত হবো না। যদিও ঝগড়া-বিবাদের মধ্যে জড়িত হয়ে যায় মুখের ভাষা ভঙ্গিটা সংযুক্ত রাখবো। যেখানে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হয় সেখানে মানুষ এর উপস্থিতি বেশি থাকে। সে জায়গায় মানুষের কথাবাত্রা গুলো ছোটদের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এটাই স্বাভাবিক। ফাস্টে বলেছি ছোটরা অনুকরণ প্রিয় একের দেখাদেখি অন্যরা শিখে। তাই আমাদের সুন্দর সমাজ গড়তে হলে আমাদের মনটাও সুন্দর থাকা প্রয়োজন।
ব্লগিং ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
---|---|
বিষয় | জেনারেল রাইটিং |
আলোচনার বিষয় | মার্জিত ভাষা |
আমার ঠিকানা | গাংনী-মেহেরপুর |
বর্তমান অবস্থান | ঢাকা সাভার |
ফটোগ্রাফার ও ব্লগার | @helal-uddin |
ধর্ম | ইসলাম |
দেশ | বাংলাদেশ |
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোঃ হেলাল উদ্দিন। আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুরে। আমার বর্তমান ঠিকানা,ঢাকা সাভার বিশ-মাইল। আমি একজন বিবাহিত ব্যক্তি। কর্মজীবনে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী।
আমার আজকের টাস্ক
Twitter-promotion
https://x.com/dream_boy56923/status/1912807800557981908?t=F_OlW8omUg5YDFyiyr0tTw&s=19
https://x.com/dream_boy56923/status/1912808497160626530?t=h4vnzvdDvjAE445gyAuiAA&s=19
https://x.com/dream_boy56923/status/1912807886872535527?t=ZNjYw8RvzA-0J66keEUJrA&s=19
https://x.com/dream_boy56923/status/1912908600152113518?t=KCRfPSVWUi1xbu1T4mxWNw&s=19
https://x.com/dream_boy56923/status/1912909400203018531?t=VL_gikkQ4RMi5KusuAep2A&s=19