জেনারেল রাইটিং :- যে জাতি বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখায় তারা সিংহের মতো লড়াই করা কিভাবে শিখবে।

in আমার বাংলা ব্লগ16 hours ago

যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে?

হ্যালো বন্ধুরা

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তেমনি আজকে আপনাদের সাথে একটি বিষয় শেয়ার করব।


fantasy-3299901_1280.jpg

আজকে আমি আপনাদের মাঝে শিক্ষনের একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করব। তবে আমার শিক্ষণীয় পোস্ট হচ্ছে যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে। আমরা বেশিরভাগ মানুষ বাচ্চাদেরকে বিড়ালের ভয় দেখায়। কারণ বিড়ালের ভয় দেখালে বাচ্চারা ভয় ঘুমিয়ে যায়। তবে এই বাচ্চাগুলো একদম ভয় নিয়ে বড় হয়। আর এই বাচ্চা গুলো কখনো সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই না ‌ আমরা মনে করি ছোট বাচ্চাকে নিয়ন্ত্রণ রাখলে ভয় দেখিয়ে তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে। তবে এই চিন্তা ভাবনা একদম ভুল। কারণ বাচ্চাকে সাহস দিয়ে বড় করলে সেই সেই সাহসী হবে।

যেই বাচ্চার মধ্যে ভয় কাজ করে। সেই কখনো সাহস নিয়ে বড় বিপদের সাথে মোকাবেলা করতে পারবেনা। কারণ তাকে ছোট থেকে ভয় দেখিয়ে বড় করেছে। জাপানের লোকেরা শিশুদেরকে সাহস দিয়ে বড় করে। আর এই কারণেও ওই দেশের ছেলেগুলো বড় হলে যেকোন কাজের সাহসী হয়। এবং বাচ্চাগুলো দিয়ে যে কোন কাজ করানো যায়। পক্ষান্তরে আমাদের বাংলাদেশের বাচ্চাদেরকে ঘুমের সময় বিড়ালের ভয় দেখানো হয়। এবং বিড়ালের আওয়াজ দিয়ে ভয় দেখানো হয়। এই কারণে এই বাচ্চাগুলো ভয় নিয়ে বড় হয়। আর এরা বড় হলে সিংহের মতো গর্জেনা। বিড়ালের মত ভয় নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। আর এদের মুখে সবসময় ভয়ের কথা বিশেষ শোনা যায়। তারা মনে করে কোন কিছু নিয়ে সাহস দেখালে বিপদ।

আর যেখানে একটি শিশুকে শৈশব সময়ে হৃদয়ে ভয় বপন করা হয়। যখন বড় হয় সাহসের ফসল পলাতে পারবে না। কারণ তাদের মনে থাকবে সব সময় ভয়। তারা যদি কোন একটা ব্যবসা করতে যাই তাহলে তারা ভয় নিয়ে ব্যবসা শুরু করবে। কারণ তারা বেশিরভাগ চিন্তা করবে লোকসানের কথা। আর লোকসানের কথা সবসময় মাথা থাকলে তারা ভয় নিয়ে কাজ করবে। কারণ ছোট থেকে তাদেরকে বিড়ালের ভয় দেখানো হয়েছে। এই কারণে ব্যবসা করতে গিয়ে সেই সব সময় বিড়ালের মত মেউ মেউ করবে। সিংহের মত গর্জে ব্যবসা করা চিন্তাভাবনা করবে না। মনে সব সময় ভয় নিয়ে কাজ করবে। তাই আমি মনে করি বাচ্চাদেরকে গর্জন শেখানো দরকার। তাহলে বড় হয়ে গর্জন দিয়ে যে কর কাজ করতে পারবে।

আবার দেখা যায় অনেক মানুষ বাচ্চাদেরকে ভাত খাওয়াতে গিয়ে ভয় দেখিয়ে বড় করে। কারণ ভয় দেখালে তারা ভাত খাবে নয়তো বা খাবে না। অথচ এই বাচ্চাগুলো কখনো বড় হলে সংগ্রাম করতে পারবে না। কারণ ছোট থেকে তাদের মনের মধ্যে ভয় নিয়ে বড় করেছে পরিবার। সাহস জন্মালে তাহলে যে কোন চ্যালেঞ্জ এর মধ্যে কাজ করতে পারবে। কিন্তু এ বাচ্চাগুলো ছোট থেকে ভয় দেখাতে দেখাতে এরা চ্যালেঞ্জ ভুলে গেল। এই কারণে যে কোন কাজে তারা ভয় নিয়ে কাজ করে। তারা সিংহের মতো গর্জন করতে পারে না। আর কিছু মানুষ আছে মনে করে ছেলেকে ভীত করে বড় করলে বড় হলে কোন বিপদে পড়বে না। ইঁদুরের মত গর্তে বসে থাকবে এই ভয় দেখে।

তবে আমার মতে ছেলেমেয়েদেরকে ছোট থেকে সাহস দেখিয়ে বড় করা দরকার।। তাহলে বড় হয়ে তারা যেকোনো কাজের সাহস দেখাতে পারবে। বিড়ালের ভয় না দেখিয়ে সিংহের মত গর্জন শেখাতে হবে। সিংহের মতো গর্জন শিকারের তারা যেকোনো কাজে সাহস করতে পারবে। আর সাহস হচ্ছে এমন আপনি কাজ করবেন মনোবল থাকবে। তাহলে আপনি যে কোন কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। আর ভয় নিয়ে কাজ করলে কখনো আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন না। যে ব্যক্তি ভয় নিয়ে কাজ করে তার মন কখনো শান্তিতে থাকে না। কারণ সারাক্ষণ মনের মধ্যে ভয় কাজ করে। আর যে ব্যক্তি সাহস নিয়ে কাজ করে তার মন থাকে বড়। সেই যে কোন কাজের সফলতা অর্জন করার চেষ্টা করে। তাই আমি মনে করি দুইটারে ভয় না দেখিয়ে সিংহের মত গর্জন শেখানো দরকার। আশা করি আমার টপিক পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

IMG-20211226-WA0000.jpg

আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।

35FHZ8gBpndbrF88KC8i6DmfoqNdVfSnhzJshZCJksDJs27YpCCUjp1oaP6ko3mLJbQtLE76ZKc5r3aFXKh8EK2Xg2XbxHP97436Dksrat...K3RRDcGvdyC6bx3TE39Zctd2ho1pJ1hm9nj6RC6gfhhSEVDEf6zHmiqsgBwDTEDG8onxfxrWKe5ZMmiwAvtnX6XvsCqykCT5aFqMFBq2wcdKNs74j1RgTuza3g.png

🥰 ধন্যবাদ সবাইকে 🥰