জেনারেল রাইটিং: জীবন যেখানে যেমন!

আসসালামুয়ালাইকুম, এবং হিন্দু ভাইদের কে আদাব।আমার বাংলা ব্লগ এর সবাই কেমন আছেন, আশা করি প্রত্যেকে অনেক বেশি ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের ন্যায় আজকে আপনাদের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো । আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক বেশি ভালো লাগবে।তো চলুন এবার শুরু করা যাক।

Source

প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই একটা নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হয়। কখনো সেটা রোদের মতো তীব্র, কখনো বা মেঘলা সকালে চুপচাপ। জীবন যেন এক অবিরাম স্রোত, যার গন্তব্য কেউই নিশ্চিত নয়। সকালের কাক ডাকা ভোরে হাঁটার সময় যে শান্তি মেলে, তা দিনের শেষে ক্লান্ত চোখে আর ধরা পড়ে না। কেউ কেউ ভাবে, জীবনটা হয়তো খুব সরল — সকালে উঠে কাজ, দুপুরে বিশ্রাম, সন্ধ্যায় গল্প। কিন্তু সেই সরলতার মাঝেও কত জটিলতা গেঁথে থাকে, সেটা বোঝা যায় হঠাৎ করে। একেকটা দিন আসে একেক রঙে রাঙিয়ে, আবার একেকটা দিন যেন একঘেয়ে সাদাকালো।

রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দেখা যায় কত মুখ কেউ ব্যস্ত, কেউ ক্লান্ত, কেউ খুশি, কেউ বিমর্ষ। কার কী গল্প, কেউ জানে না, তবু সবাই চলে যাচ্ছে নিজের মতো করে। চায়ের দোকানে দাঁড়িয়ে দু’চুমুক চায়ে অনেক জীবন কাহিনি জমা পড়ে যায়। শহরের কোলাহলে হঠাৎ গাড়ির হর্ন, বাচ্চার কান্না, রিকশার ঘণ্টা সবই যেন জীবনের ছন্দ। কারো ফোনে প্রিয়জনের কণ্ঠস্বর, কারো স্ক্রিনে চাকরির খোঁজ, কারো চোখে স্বপ্নের ছায়া। এত কিছুর মধ্যেও কেউ কেউ নিঃসঙ্গ, কেউ কেউ খুঁজে পায় একটুখানি শান্তি। কিছু মুখ হাসে, কারণ তারা জানে না কাঁদা কীভাবে লুকাতে হয়।

জীবনের সব গল্প বলার মতো হয় না। কিছু গল্প কেবল অনুভবের, উচ্চারণের নয়। দুপুরের রোদে শুকিয়ে যাওয়া জামার ভাঁজে যেমন লুকিয়ে থাকে কষ্ট, তেমনি সন্ধ্যার আলোয় মিশে যায় ফেলে আসা কিছু সুখ। কিছু স্মৃতি তীক্ষ্ণ, কিছুটা ঝাপসা। অনেকে ভুলে যেতে চায়, আবার কেউ কেউ আঁকড়ে ধরে রাখতে চায় যতটা পারে। জীবনের প্রতিটি দিন যেন একটা ডায়েরির পৃষ্ঠা, যার কিছু অংশ লেখা হয়, কিছু অংশ থেকে যায় ফাঁকা। আবার কিছু কিছু অংশ ভরাট থাকে। আমরা ভরাট এবং ফাঁকা দুটোই নিয়ে চলি।

গ্রামের পুকুরপাড় আর শহরের ছাদ, দুটো জায়গাই জীবন বোঝাতে পারে। একটা শান্ত, আরেকটা ব্যস্ত — কিন্তু দুই জায়গাতেই জীবন বয়ে চলে। মাটির গন্ধে যেমন আশ্রয় মেলে, তেমনি ইট-পাথরের ভিড়েও খুঁজে পাওয়া যায় আপন কিছু। সন্ধ্যার আকাশে চাঁদ ওঠে যেভাবে, তেমনি জীবনের কিছু মুহূর্তও হঠাৎ জ্বলে ওঠে। বন্ধুর মুখে বলা একটুখানি উৎসাহ, অথবা প্রিয়জনের নিঃশব্দ উপস্থিতি এমনই ছোট্ট কিছু মুহূর্ত জীবনকে অর্থ দেয়। জীবন যে কোন সময় যে কোন রুপ ধারণ করতে পারে।

জীবন নিজেই একটি অসমাপ্ত কবিতা। কোন লাইনে থেমে যাবে, কেউ জানে না। সব মুহূর্তের ব্যাখ্যা মেলে না, সব অনুভবের শব্দও হয় না। তবু প্রতিদিন আমরা এগিয়ে যাই, কারণ সামনে হয়তো নতুন কিছু অপেক্ষা করছে। কষ্টকে পাশে নিয়েও হাঁটা যায়, কারণ তাতেও থাকে একরকম শক্তি। কিছু দিন আসে কুয়াশার মতো, আবার কিছু দিন ঝকঝকে রোদেলা। জীবন সেই অনুযায়ী রঙ বদলায়। যেমনই হোক না কেন, জীবন চলে তার নিজস্ব গতিতে। আমরা কেবল যাত্রার সঙ্গী। আর তাই জীবন যেখানে যেমন, ঠিক তেমন ভাবেই গ্রহণ করতে হয়।

সবাই কে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি একজন ছাত্র, আমি আসন্ন এইচএসসি সমমান পরীক্ষা শেষ করে দিনাজপুর সরকারি কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তি হয়েছি। আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। আমি গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ড।আমি ফটোগ্রাফী ও ভ্রমণ করতে অনেক ভালোবাসি।