মাটিচাপা পড়া রহস্যময় স্থান।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজ মাটিচাপা পড়া রহস্যময় একটি স্থান নিয়ে শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। কুষ্টিয়া মিরপুরের ছোট্ট এক গ্রাম ধলসা। আর সেখানেই মাটিচাপা পড়ে রয়েছে বাংলার রহস্যময় এক টুকরো ইতিহাস।
এই ধ্বংস স্তুপকে কেন্দ্র করে ই লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে বিভিন্ন কল্পকাহিনির। কিন্তু এর আসল ইতিহাস সম্পর্কে তেমন কোন উল্লেখ পাওয়া যাই না।তবে স্থানীয় কিছু প্রবীণদের দাবী এখানে শাহ সিকেন্দার নামক এক বাদশাহ একটি মসজিদ স্থাপন করেন। সেই থেকে এই জায়গার নাম প্রচলিত হয়ে আছে শাহ সেকেন্দার থেকে বিকৃত হয়ে সেকনঁতারা।
এইখানে মাটি খুঁড়লেই পাওয়া যাই ইট পাথরের বিভিন্ন প্রাচীন নিদর্শন ও পোড়ামাটির ব্যবহৃত প্রাচীন তৈজসপত্র। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে এগুলো আজ প্রায় ধ্বংসের পথে।
স্থানীয়দের দাবী এখানে কোন এক প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসস্তুপ চাপা পড়ে রয়েছে। রয়েছে চওড়া ইটের প্রসস্থ গাথুনি ও প্রাচীর। ধ্বংস স্তুপের সামনে রয়েছে বিশাল দিঘি যা এখন বিভিন্ন মালিকানায় খন্ডে খন্ডে বিভক্ত। এই দিঘির পশ্চিম পাড়ে ছিল শান বাঁধানো ঘাট।ধ্বংস স্তুপের পাশেই রয়েছে ধলসা কেন্দ্রীয় গোরস্তান। আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা নামের দিঘি বা পুকুর এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মিঠাপুকুর,জোড়াপুকুর ইত্যাদি।
*ধারণা করা হয় তূর্কি সুলতান পাঠান শাসন আমল(১২০৪ থেকে ১৫৭৬) কিংবা মুঘল শাসন আমলের শুরুর দিয়ে এখানে গড়ে ওঠে সমৃদ্ধ এক জনপদ। কিন্তু কালের বিবর্তনে বিভিন্ন শাসকের জয় পরাজয়ের মধ্যে দিয়ে এই জনপদের বিলুপ্ত ঘটে।
এই ঐতিহাসিক নিদর্শ থেকে হাফ কিমি দূরে অবস্থিত নুরুতলা নামক স্থান।সেখানে আসেন বিভিন্ন ধর্ম বর্ণের পেষার মানুষ তাদের মনের বাসনা পূরণ করার জন্য মানত করতে।অনেকের নাকি মনের আশা পূরণও হয়।
এই জনপদের ১ কিমি পশ্চিমে বড়পুকুর নামক স্থানে ১৮৯৯ সালে আবিষ্কৃত হয় আরেকটি ঐতিহাসিক ধ্বংস স্তুপ।ওই স্তুপটি খনন করে স্থানীয়রা বের করে আনেন প্রাচীন কোষ্টিপাথরের শিব মন্দির ও বিভিন্ন মন্দিরে ধ্বংস স্তুপ। সেখানে নিয়মিত এখন স্থানীয় সনাতনীরা পূজা আর্চনা করে থাকেন।
যাইহোক, স্থানীয়দের দাবী যত দ্রুত সম্ভব এই ঐতিহাসিক নিদর্শগুলো সংরক্ষণ করে সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের মাধ্যমে যেন এর আসল ইতিহাস উন্মোচন করে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমাদের কুষ্টিয়াতে এমন ঐতিহ্য অনেক রয়েছে তবে এই গ্রাম সম্পর্কে আমার কোন আইডিয়া ছিল না আজকে আপনার পোস্ট পড়তে গিয়ে এই ইতিহাসটা জানতে পারলাম। নতুন কিছু জানতে পারলে বেশ ভালোই লাগে।
0.00 SBD,
0.73 STEEM,
0.73 SP
ধলসা গ্রামের সেকনঁতারার মত প্রতিটা গ্রামে এমন রহস্যময় কিছু স্থান আছে। আমরা হয়তো এগুলোর ইতিহাস জানি না বা জানার চেষ্টা করি না। আমাদের গ্রামেরও এমন রহস্যময় কিছু স্থান আছে।
0.00 SBD,
0.72 STEEM,
0.72 SP
ধলসার ইতিহাস ভিত্তিক এই পোস্টটি সত্যিই চমৎকার।প্রাচীন নিদর্শন ও লোককাহিনি মিলিয়ে এক রহস্যময় পরিবেশ তৈরি হয়েছে।সংরক্ষণের অভাবে এসব ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়া দুঃখজনক।সরকারি উদ্যোগে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন জরুরি হয়ে পড়েছে।ছবিগুলো বিষয়বস্তুকে আরও জীবন্ত করে তুলেছে।এমন তথ্যভিত্তিক লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ ভাইয়া।
0.00 SBD,
0.70 STEEM,
0.70 SP
ধলসা,বাহ গ্রামের নামটি তো খুব সুন্দর।আসলেই প্রাচীন নির্দেশনগুলি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন, এতে নতুন ইতিহাসের আবির্ভাব ঘটে।ছবিগুলো সুন্দর ছিল,ধন্যবাদ দাদা।
0.00 SBD,
0.69 STEEM,
0.69 SP
@rex-sumon, this is absolutely fascinating! Thank you for bringing this hidden piece of Bangladeshi history to our attention. The story of the buried ruins at Dholsa, with its whispers of Shah Sikandar and potential Turkish or Mughal origins, is incredibly compelling.
The fact that locals are unearthing ancient artifacts and brickwork really paints a vivid picture of a forgotten era. It's a shame these historical treasures are at risk due to lack of preservation. Your call to action for government intervention and archaeological investigation is spot on!
The connection to the Nuruttala shrine and the discovery of the Shiva temple nearby adds further layers of intrigue. What a rich and complex historical landscape! I'm curious, have you personally witnessed any of these unearthed artifacts? I'd love to hear more details if you have them.
Let's hope this post sparks some interest and helps raise awareness about the need to protect this precious piece of Bangladesh's past. Upvoted and resteemed!