নারী কোথায় নিরাপদ
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
১১ই মার্চ ২০২৫
মানুষ ইদানিং অপরাধ করতে ভয় পায় না।মনে হচ্ছে অপরাধ করতে পারলে গর্বিত। এখন মানুষ রাস্তায় বের হতে ভয় পায়।মানুষ বলতে আমি নিজেই রাস্তাশ বের হতে ভয় পায়।এই বুঝি একটা অঘটন ঘটবে।আমি আমার সন্তান কে নিয়ে ভয়ে থাকি।আমার সন্তান কিংবা আমি কোথায় নিরাপদ। আসলে একটা সমাজে যখন বিচার ব্যবস্হা ভালো না হলে একটা পর একটা ভয়ংকর অপরাধ বাড়তে থাকে।বলছিলাম আছিয়ার কথা।কত সুন্দর ফুটফুটে বাচ্চা মেয়ে।
নিশ্চিয়ই আপনারা সকলে হয়তো জানেন। একটা বাচ্চা মেয়েকে ও হায়নারা রেহাই দিলো না।আচ্চা তাদের কি একবারও নিজের মেয়ে কে নিয়ে ভাবনা হয় না।আমি বলছিলাম ছোট মেয়ে আছিয়ার কথা।বোনের বাড়িতে গিয়েছিলো বেড়াতে।বোনের জামাই, শশুর আর ভাসুর মিলে নির্মর ভাবে পৈশাচিক কাজ করছে,তাও আবার গলায় কোন কিছু দিয়ে পেচিয়েছে যার জন্য অক্সিজেনের অভাবে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে।এখনও বেশ খারাপ অবস্থা অনেকে অনেকে বলছে মারা গিয়েছে নাকি।
জানি না তবে অনেক খারাপ লাগছে কেন এমন করলো এদের কি সৃষ্টিকর্তার ও ভয় নেই। মেয়েটা কত কষ্ট না পেয়েছে।এমন ঘটনা ইদানিং অনেক বেশিই ঘটছে।মানুষকে সৃষ্টি সেরা জীব বানিয়েছে আর মানুষ কত নিকৃষ্ট কাজ করছি।আমাদের ইসলাম ধর্মে বলা আছে এমন নিকৃষ্ট কাজ করলে শাস্তির বিদান কি, সেই অনুযায়ী শাস্তি দিলে হয়তো মানুষ এমন নিকৃষ্ট কাজ করতো না।সমস্যা হচ্ছে আমাদের সমাজে এসব কাজের তদন্ত করতে করতে চলে যায় বছর খানিক।
আর অপরাধী যদি টাকা পয়সার মালিক হয় কিংবা বড় পদের আত্মীয় স্বজন হলে তো কোন শাস্তি পায় না।বরং ভুক্তভুগীরা নানান নির্যাতনের স্বীকার হয়।একটা মেয়ে বাচ্চা কিংবা মেয়ে কোথাও নিরাপদ নেই। নিজেদের আপন আত্মীয় স্বজন কাছে নয়, দেখা নিজেদের আত্নীয় স্বজন কাছেই বেশি নির্যাতিত হয়।
আজকে আর নয় ,আবার আসবো অন্যকোন দিন অন্যকোন পোস্ট নিয়ে সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।
এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। আমি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর B.S .C করেছি। আমার ভালো লাগে নতুন নতুন জিনিস দেখতে এবং শিখতে।আমার বাংলা ব্লগের সাথে সকল নিয়ম কানুন মেনে থাকতে চাই।
ডিসকর্ড লিংক:
https://discord.gg/VtARrTn6ht
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণ আসলে কিছু বিকৃত মনস্ক মানুষের কাজ। সঠিক পুরুষ কখনো নারীর সাথে অসভ্য আচরণ করতে পারে না। আর সেই ক্ষতচিহ্নগুলি সমাজে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে। তাই পৃথিবীতে বিভিন্ন কোণে নারী নির্যাতনের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। কিন্তু আসলে নির্যাতন বিষয়টি একেবারে মানসিক বিকৃতি ছাড়া আর কিছুই নয়। পৃথিবীতে একটি নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করা ভীষণ জরুরি। যাতে সকলে নিরাপদে সব সময় হাঁটাচলা করতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এরকম অসংখ্য ভিডিও দেখতে পাই যেগুলো দেখে আসলে খুব কষ্ট লাগে।আসলে মানুষের মধ্যে মানবিকতা কমে যাচ্ছে, ফলে সমাজে ভয়ংকর অপরাধ বাড়ছে। ছোট্ট শিশু আছিয়াও এমনই নির্মমতার শিকার হয়েছে, যা সত্যিই হৃদয়বিদারক। অপরাধীরা শাস্তির ভয় না পাওয়ায় অপরাধ বাড়ছে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত না হলে সাধারণ মানুষ কখনো নিরাপদ থাকবে না। সমাজের সকলকে একসাথে দাঁড়িয়ে অন্যায় বন্ধ করতে হবে।ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মানুষের মানবতা নেই বললেই চলে এখন কে কার ক্ষতি করবে তাই নিয়েই প্রতিযোগিতা। ধন্যবাদ আপনাকে