হালাল ইনকামেই বরকত।
আমি @rahimakhatun
from Bangladesh
,৩ ই অক্টোম্বর ২০২৫
|
---|
প্রতিবারের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি আজকে হালাল রুজি নিয়ে কিছু লিখবো।আসলে হালাল রুজি করে যে শান্তি পাওয়া যায় তা কখনও হারাম রুজিতে পাওয়া যায় না।
হালাল রুজি মানুষের জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলাম ধর্মে হালাল রুজি অর্জন করা শুধু জীবিকা নির্বাহের মাধ্যম নয়, বরং তা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। হালাল অর্থ সেই উপার্জন যা বৈধ, সঠিক এবং ন্যায়সঙ্গত পথে অর্জিত হয়। যেমন—পরিশ্রম করে কাজ করা, ব্যবসা-বাণিজ্যে সততা বজায় রাখা, প্রতারণা ও সুদ থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি।
মানুষের দেহ-মন সুস্থ রাখতে যেমন পবিত্র খাদ্য প্রয়োজন, তেমনি আত্মাকে সুস্থ রাখতে হালাল রুজি অপরিহার্য। হালাল উপার্জনে বরকত থাকে, পরিবারে শান্তি আসে এবং সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে হারাম রুজি মানুষকে অশান্তি, দুর্নীতি ও পাপের দিকে ঠেলে দেয়। নবী করিম (সা.) বলেছেন, “হালাল রুজি অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ।”
পরিশ্রমী মানুষ হালাল রুজি অর্জন করে সম্মানের সাথে বাঁচতে পারে। তারা কারো উপর বোঝা হয়ে দাঁড়ায় না, বরং সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখে। তাই জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের উচিত হালাল পথে উপার্জন করা এবং হারাম থেকে দূরে থাকা।
হালাল রুজি শুধু দুনিয়ার জীবনে শান্তি দেয় না, বরং পরকালে মুক্তির পথও সুগম করে। তাই প্রত্যেক মানুষের কর্তব্য হলো পরিশ্রম করে, সৎভাবে ও ন্যায়নিষ্ঠার সাথে হালাল রুজি অর্জন করা।
মানুষের জীবনের মৌলিক প্রয়োজনগুলোর মধ্যে রুজি-রোজগার অন্যতম। রুজি ছাড়া মানুষ তার নিজের ও পরিবারের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে পারে না। কিন্তু ইসলাম ধর্মে শুধু রুজি অর্জন করাই যথেষ্ট নয়, বরং রুজি হতে হবে হালাল। হালাল রুজি বলতে বোঝায় বৈধ, সৎ ও ন্যায়সঙ্গত উপায়ে অর্জিত জীবিকা। আল্লাহ তাআলা কুরআনে নির্দেশ দিয়েছেন, “হে মানুষ! তোমরা পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র জিনিসগুলো খাও” ।
হালাল রুজির গুরুত্ব অপরিসীম। হালাল পথে জীবিকা অর্জন করা ইবাদতের অন্তর্ভুক্ত। যে ব্যক্তি সৎ উপায়ে জীবিকা অর্জন করে, তার উপার্জনে বরকত আসে, দোয়া কবুল হয়, নামাজ-রোজা গ্রহণযোগ্য হয়। হালাল রুজি মানুষকে আত্মতৃপ্তি দেয়, মনকে শান্ত করে এবং সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে।
হালাল রুজির উৎস অনেক। যেমন—শ্রম দিয়ে কাজ করা, কৃষিকাজ, ব্যবসা-বাণিজ্যে সততা বজায় রাখা, শিক্ষকতা, চিকিৎসা, কারিগরি কাজ, শিল্প-কারখানায় শ্রমদান ইত্যাদি। যে উপার্জনে কারো অধিকার হরণ নেই, প্রতারণা নেই, ঘুষ নেই, সুদ নেই, সেটিই হালাল রুজি। একজন কৃষক যখন ঘাম ঝরিয়ে ফসল ফলায় কিংবা একজন শ্রমিক যখন পরিশ্রম করে জীবিকা উপার্জন করে, সেটিই প্রকৃত হালাল রুজি।
অন্যদিকে হারাম রুজি মানুষের জীবনে অশান্তি ডেকে আনে। হারাম উপার্জন মানে অবৈধ পথে অর্জিত রোজগার। যেমন—ঘুষ, চুরি, ডাকাতি, সুদ, প্রতারণা ইত্যাদি। হারাম রুজিতে শান্তি নেই, বরকত নেই; বরং তা মানুষের মনকে কলুষিত করে, ইবাদত নষ্ট করে এবং সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে। যে ব্যক্তি হারাম রুজি ভক্ষণ করে, তার দোয়া কবুল হয় না এবং আল্লাহর কাছে সে লাঞ্ছিত হয়।
মানুষের জীবনে সফল হতে হলে শুধু দুনিয়াতে নয়, পরকালেও মুক্তি অর্জন করতে হলে হালাল রুজি অর্জন অপরিহার্য। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সৎ পথে পরিশ্রম করা, হালাল রুজি উপার্জন করা এবং হারাম উপার্জন থেকে দূরে থাকা। হালাল রুজিই মানুষের জীবনে প্রকৃত সুখ-শান্তি ও বরকত বয়ে আনে।
আজ এই অব্দি, যাই হোক ,আজ এই অব্দি আবার আসবো অন্য কোনো ব্লগ নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন ,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি।দেখা যাক কি হয় সামনে
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟