পাখিদের আত্নকাহিনী

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

আমি @rahimakhatun
from Bangladesh

৬ রা শ্রাবন ১৪৩২

১৯আগষ্ঠ ২০২৫


এখন ষড়ঋতুর বর্ষাকাল ।

1000002994.jpg

প্রতিবারের মত নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজকে লাইফস্টাইল নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। লাইফস্টাইল বলতে হাবল তাবল কাহিনী আরকি।বেশ কিছু দিন আগে আমি দুইটা বাজিঘর পাখি আনি।কেন জানি বেশ মনে চাইলো পাখি পালনের জন্য,শচারচর আমার তেমন ইচ্ছে করে না কেন মনে হলো জানি না।

যাই হোক বেশ সুন্দর দেখে একটা খাঁচা ও কিনে আনতে বলি,খাঁচা ও নিয়ে আসে।যাই হোক বেশ অনেক হয়ে গিয়েছে ডিম ও দেয় না পরে মনে হলো খাঁচায় একটি হাঁড়ি দেই তাহলে হয়তো দিবে।হাড়িঁ পাততে যেয়ে আমার মেয়ের আচড় লেগেও অনেক খানি কেটে যায়।


যাই হোক বেশ ভালোই যাচ্ছিলো হঠাৎ ঐ১বএকদিন খাঁচা বাধার জন্য যে দড়ি দিয়ে সেই দড়ি ওরা ঠোঁট দিয়ে টেনে এনেছে কিভাবে যেন আমি খেয়াল ও করি নি,পরে একদিন সকালে ওই দড়ির সাথে কিভাবে যেন গলায় আটকিয়ে যায় পরে দড়ি টা পেচিয়ে যায় ছটপট করাতে পরে ছেলে পাখিটা মারা যায়।


পরে এখন তো মেয়ে পাখিটা সারাক্ষণ কিচিরমিচির করে বেশ জোরে জোরে।পরে ভাবছি আরো দুইটা পাখি এনে দিব।সেইদিন বেশ দাম দিয়ে দুইটি পেয়ার এনে দেই।এখন তো তিনটা বেশ ঝগড়া করে সারাক্ষণ।পরে আর কি ভাবছি আরো একটা কিনতে হবে তাহলে দুইটা পেয়ার হবে।


যাই হোক ভাবতে ভাবতে দেখি একটা পাখি কেমন জানি অসুস্থ। ঠিক ভাবে খায় না।বেশ চিন্তায় পরে গেলাম, ইউটিউব থেকে শুধু পাখির সমস্যার ভিডিও দেখি পরে তুলসি পাতা জ্বাল দিয়ে পানি দেই কিন্তু পানি তো খায় না।যাই হোক কাল আবার পাখির দোকানে গিয়ে আরো একটি পাখি আর একটি খাঁচা নিয়ে আসলাম।


এখন আলাদা আলাদা পেয়ার করে দিয়েছি এখন হচ্ছে আরো মুশকিল। আলাদা করে দেওয়াতে ওরা আরো কিচির মিচির আর একজন আরেকজন কে খাঁচার উপর দিয়ে দেখে আর পারলে খাঁচা খুলে ঐ খাঁচায় চলে যায়। তারপর সত্যি সত্যি কিভাবে যেন আগের পাখিটা খাঁচার দরজা খুলে ঐ খাঁচার উপরে বসে আছে আর খাঁচার দরজা খুজছে ওদের সাথে যাওয়ার জন্য।


কি আর করা দরজা খোলে দেওয়াতে নিজে নিজে ঘরে ঢুকলো এখন শুধু একটা এক খাঁচায় আর বাকি তিনটা এক খাচায় কি ওরে একা রাখতে যেয়ে মনে হয় ডিপ্রেশন এ চলে গিয়েছে এখন আমার ছেলে এসে ঐটাকে একসাথে রেখে দিয়েছি।এখন আল্লাহর অশেষ রহমতে বেশ ভালোই আছে।আসলে মন খারাপ থাকলে পাখি গুলোর দিকে তাকালে ভালোই লাগে। একজন আরেকজনের সাথে এই খুনসুটি আবার একজন আরেকজন কে খাইয়ে দিচ্ছে। ওদের একটা দোলনা কিনে দিয়েছি ওরা দোলনায় ওঠে বসে থাকে।দেখতে ভালোই লাগে।এই হচ্ছে হাবল তাবল কাহিনী।
আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আবার আসবো অন্য কোনো দিন অন্য কোনো পোস্ট নিয়ে ,সেই অব্দি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায়।

এতক্ষন সাথেই থাকার জন্য ধন্যবাদ

device Galaxy A13
LocationDhaka
Photograpy bird