ঠকে যাওয়া বিধাতার এক অপরূপ উপহার।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
ঠকে যাওয়া বিধাতার এক অপরূপ উপহার। |
---|
বন্ধুরা টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন আজকে কি বিষয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি।ঠকে যাওয়া বিধাতার এক অপরূপ উপহার।এ বিষয়ে কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আসলে আমরা সব সময় নিজেদের ভালো লাগা, মন্দলাগা, নিজেদের চিন্তা,চেতনা, আমার বাংলা ব্লগে সবার সাথে শেয়ার করি, তাইতো আপনাদের মাঝে চলে এলাম। যাই হোক চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করি।
জীবনে ঠকে যাওয়াকে আমরা খুব খারাপ মনে করি। মনে হয় কেন এমন হলো,কেন মানুষ ঠকালো?কেন আমি এত সহজে বিশ্বাস করেছিলাম?মনে হয় আমিই শুধু অবলা পৃথিবীতে এমন আর কেউ নেই। কিন্তু একটু গভীরে ভাবলে বুঝতে পারি,ঠকে যাওয়াও বিধাতার এক অনন্য উপহার।তবে সেটা উপলব্ধি করলে বোঝা যায়। আমরা প্রথম যখন কারো হাতে ঠকি, তখন খুব কষ্ট হয়। মনে হয়,পৃথিবীতে কারো ওপর বিশ্বাস করা উচিত নয়।
তখন খুব খারাপ লাগে, আর এ খারাপ লাগা থেকে রাগ এ ক্ষোব এ মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি,আর কাউকে সহজে বিশ্বাস করবো না।কিন্তু কিছু সময় পর বুঝি,এই ঠকে যাওয়াই আমাকে জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা দিয়েছে।ঠকানোর এই অভিজ্ঞতা ছাড়া আমি কখনোই মানুষ চেনার বিদ্যা শিখতে পারতাম না।উপরওয়াল আমাদের ঠকানোর মধ্য দিয়ে সতর্ক থাকতে শেখান। আর সেই শিক্ষা থেকে আমাদের হৃদয়ে একটা শক্তি তৈরি হয়, যাতে পরবর্তী সময়ে কেউ সহজে আঘাত দিতে না পারে।
ঠিক যেমন আগুনে পোড়া মানুষ একবার পুড়ে যাওয়ার পরে দ্বিতীয়বার অগ্রিম সতর্ক হয়,তেমনি ঠকে যাওয়া মানুষও জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে একটু বেশি সতর্ক হয়ে ওঠে।যেটা হয়তো না ঠকলে সে এই প্রেক্ষাপটে আসতো না।আবার ঠকে যাওয়ার মধ্যে একটা সুন্দর দিকও আছে। যে মানুষ আমাকে ঠকালো,সে আমাকে সত্যিকারের আপন পর চিনতে সাহায্য করেছে। সে আমার জীবন থেকে নিজে নিজে সরে গেছে। যদি ঠকানোর ঘটনা না ঘটত, হয়তো আমি সারাজীবন ভুল মানুষকে আপন ভেবে রাখতাম।
আর সেটার মাশুল হয়তো প্রতিটি পদে পদে আমাকে দিতে হতো। তাই কথায় আছে না দাগ থেকে যদি এই ভালো কিছু হয়,তাহলে দাগই ভালো।বিধাতার বিধান অনুযায়ী পৃথিবীতে ভালো,মন্দ দুটোই আছে।আর ঠকে যাওয়ার মধ্য দিয়েই আমরা ভালো খারাপ চিনতে পারি।যদি না ঠকে কেউ তাহলে সে হয়তো জীবনের আসল মূল্য বুঝতেই পারবে না।একটা কথা আছে না,সোনাকে পুড়ে পুড়ে খাঁটি সোনায় রূপান্তর করা হয়। তেমনি ঠকে ঠকে একটা সময় সে নিজেকে খাঁটি স্বর্ণে পরিণত করে। আর এটাই তার মধ্যে বিশদ গুণ হয়ে ওঠে।
তাই আমি মনে করি ঠকাকে অভিশাপ মনে না করে মনে রাখতে হবে এটা আসলে এক আশীর্বাদ অথবা বিধাতার এক উপহার। এটা আমাদের সতর্ক করে,মানুষ চিনতে শেখায়।আসলে জীবন মানে শুধু হাসি নয়, কিছু কান্নাও লাগে জীবনকে সুন্দর করে তুলতে। ঠকে গিয়েও যেন আমরা আশায় থাকি বিধাতা আমাদের জন্য সামনে আরও ভালো কিছু রেখেছেন।যাই হোক সবাইকে ধন্যবাদ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের বিষয়বস্তু, হঠাৎ করে এই বিষয়টি মাথায় আসলো তাই ভাবলাম আপনাদের মাঝে নিজের মনের কিছু কথা তুলে ধরি। যাই হোক আশা করছি বিষয়টি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকে আর কথা না বাড়িয়ে বিদায় নিচ্ছি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানে বিদায় নিলাম।সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন। আগামীতে আবারো হাজির হবো অন্য কোন না কোন বিষয় নিয়ে। আজকে এখানেই বিদায় নিলাম আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | জেনারেল রাইটিং । |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
লোকেশন | - বাংলাদেশ। |
আমার নাম নিভলু। আমি বাংলাদেশে থাকি এবং এই প্ল্যাটফর্মে শখের বশেই কাজ করছি। এখানে কাজ করতে আমার ভালো লাগে কারণ আমি আমার পছন্দের বিষয়গুলো সহজে সবার সাথে ভাগ করে নিতে পারি। নিজের ভালো লাগার বিষয়গুলো অন্যদের দেখাতে পারাটা আমার জন্য আনন্দের।আমি ঘুরতে ভালোবাসি, নতুন জায়গা দেখতে আর নতুন অভিজ্ঞতা নিতে খুব ভালো লাগে। ভ্রমণের পাশাপাশি আমি গান শুনতে এবং মাঝে মাঝে গাইতেও ভালোবাসি। এছাড়াও আমি ভিডিও এডিটিং, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি করতে পছন্দ করি। সময় পেলেই ক্যামেরা হাতে বেরিয়ে যাই কিছু ভালো মুহূর্ত ধরে রাখতে।আর্ট এবং ডিজাইনের দিকেও আমার আগ্রহ রয়েছে। তবে অনেক আগে টুডি ও থ্রিডি ডিজাইন শিখছি এবং নিজের মতো করে কিছু কাজ করতাম। তবে এখন তেমন একটা করা হয়না।যাইহোক আশা করি সবাই আমার কাজ পছন্দ করবেন এবং পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ।
এই পোস্টটি সত্যিই হৃদয়স্পর্শী! 'বিধাতার অপরূপ উপহার' বলতে আপনি প্রকৃতির সৌন্দর্য, জীবনের অমূল্য মুহূর্ত, নাকি অন্য কোনো গভীর অর্থ বোঝাতে চেয়েছেন—তা জানতে ইচ্ছে করছে।আপনার লেখায় বিধাতার সৃষ্টির রহস্যময় দিক ফুটে উঠেছে।ঠকে যাওয়ার মাঝেও যে সৌন্দর্য খুঁজে পেয়েছেন, তা অসাধারণ।আমিও একবার প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গিয়ে অনুভব করেছিলাম যে প্রতিটি 'অসফল' মুহূর্তই আসলে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির দরজা খুলে দেয়। আপনার লেখায় তা স্মরণ করিয়ে দিল। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
https://x.com/Nevlu123/status/1917264665140244512