জেনারেল রাইটিং: বিশ্বাস করতে গেলেই ঠকতে হয়
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
★আসসালামুয়ালাইকুম এবং হিন্দু ভাই ও বোনদের প্রতি আমার আদাব★। আমার বাংলা ব্লগের আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে জেনারেল রাইটিং বিশ্বাস করতে গেলেই ঠকতে হয় এই বিষয়ে ব্লগ শেয়ার করবো।তাহলে চলুন এবার শুরু করা যাক।
![]() |
---|
বিশ্বাস মানে হলো, চোখ বুজে কারো কথা মেনে নেওয়া, তার প্রতি অবিচল আস্থা রাখা। বিশ্বাস এক ধরনের আত্মার সংযোগ, যেখানে কোনো সন্দেহ নেই, কোনো প্রশ্ন নেই—শুধু নির্ভরতা আর অনুভূতির জোরে গড়ে ওঠে সম্পর্ক।কিন্তু বর্তমান সমাজে সেই বিশ্বাসের মূল্য যেন দিন দিন কমে যাচ্ছে। মানুষ এখন আর অনুভূতিতে বিশ্বাস করে না, করে স্বার্থে। কারো পাশে থাকা মানেই যেন কিছু পাওয়ার আশায় থাকা। এই আত্মকেন্দ্রিক মানসিকতা ধীরে ধীরে আমাদের সমাজ থেকে বিশ্বাসের অস্তিত্বকেই মুছে দিচ্ছে।
অনেকেই প্রশ্ন করেন, “আমি তো কাউকে কষ্ট দিইনি, তার পরও সে আমাকে ঠকাল কেন?” উত্তরটা সহজ – আপনি ভালো ছিলেন, কিন্তু সে ছিল না। আপনি নিষ্পাপ মনে বিশ্বাস করেছিলেন, কিন্তু সে ছিল পরিকল্পনাকারী। এই দুনিয়ায় সবাই আমাদের মতো ভাবে না, আর এটাই মূল সমস্যা।❌ সে ঠকাল – কারণ তার মন ছিল ভিন্ন, লক্ষ্য ছিল ভিন্ন।আজকাল মানুষ শুধু তখনই কারো পাশে থাকে, যখন তার প্রয়োজন থাকে। প্রয়োজন ফুরালেই সম্পর্কও ফুরিয়ে যায়।
তখন বিশ্বাস হয় বোঝা, ভালোবাসা হয় দুর্বলতা। আর এখান থেকেই শুরু হয় বিশ্বাসভঙ্গের যন্ত্রণা।সেই বন্ধু, যাকে আপনি সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করতেন, সেই হয়তো আপনার গোপন কথা সবার সামনে ফাঁস করেছে।সেই প্রিয়জন, যাকে চোখ বুজে ভালোবেসেছেন, সেই হয়তো অন্য কারো সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করেছে।এমনকি পরিবারের মধ্যেও কেউ কেউ বিশ্বাস ভেঙে দেয়, শুধুমাত্র অর্থ বা সম্পদের জন্য।এইসব গল্প আমাদের সবার জীবনে কমবেশি আছে।
শুধু চরিত্র বদলায়, কষ্ট একই থাকে।এই প্রশ্নটাই আসল। কারণ আমাদের সমাজে সম্পর্ক ছাড়া তো বাঁচা যায় না। কিন্তু যেভাবে মানুষ ঠকাচ্ছে, তাতে মনে হয়—বেঁচে থাকাটাই নিরাপদ, তবে দূরে থেকে।তবে বাস্তবতা হলো, বিশ্বাস করা দরকার, কিন্তু তা হোক বুদ্ধি দিয়ে, চোখ বুজে নয়।কিছু সহজ নিয়ম।অল্পতে কাউকে বিশ্বাস করবেন না,কাজে-আচরণে মূল্যায়ন করুন,সময় নিন, পরীক্ষিত হোক সম্পর্ক,গোপন কথা সবাইকে বলবেন না, নিজের আত্মমর্যাদাকে সবসময় অগ্রাধিকার দিন।
প্রথমেই বুঝে নিতে হবে, ঠকে যাওয়া মানেই আপনি দুর্বল নন। বরং আপনার ভেতরের ভালোবাসা ও বিশ্বাসযোগ্যতাই কাউকে সুযোগ দিয়েছে। সেই বিশ্বাসভঙ্গের কষ্ট থেকে শিখুন—নতুন করে শুরু করুন, তবে এবার সাবধান হয়ে।নিজেকে দোষ দেবেন না,বিশ্বাস ভাঙলেও ভালোবাসতে ভয় পাবেন না,জীবন থেমে থাকে না, সম্পর্কও সবসময় এক রকম হয় না, ভুল মানুষদের অভিজ্ঞতা হিসেবে গ্রহণ করুন।পরবর্তী সম্পর্কের জন্য অভিজ্ঞতা হয়ে থাকুক ।
এই ব্যথা বিশ্বাস করতে গেলেই ঠকতে হয়—এই বাক্যটি যতই কঠিন হোক, তা আজকের সমাজে অনেকটা সত্য হয়ে উঠেছে। তবে আমরা যদি সঠিকভাবে চলি, ভুল থেকে শিক্ষা নেই, তাহলে প্রতারিত না হয়েও সম্পর্ক গড়া সম্ভব।বিশ্বাস হারিয়ে গেলেও মানুষ থেকে যায়। আর মানুষ মানেই সম্ভাবনা।তাই কষ্ট পেলেও বিশ্বাসে মৃত্যু টানবেন না—শুধু মানুষ চেনার চোখটা খুলে দিন।
আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।
আল্লাহ্ হাফেজ
Device | Motorola g34 5g |
---|---|
Camera | 52 MP |
County | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
Vote@bangla.witness as witness
X-promotion
DAILY TASK:👇
COMMENT LINK:👇
https://x.com/Moto5g638776/status/1959110307382538247?t=QIRXbJautGPZkWEYJNGlLQ&s=19
https://x.com/Moto5g638776/status/1959109925118124287?t=tczeLTGt349WA1nTNi9AYg&s=19