"ভাইয়ের জন্মদিনে আনন্দঘন পরিবেশ"
আসসালামুআলাইকুম/আদাব🤝
বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থান করছি ।

এর আগে আমি আর আম্মু বেরিয়েছিলাম তার জন্য একটি সুন্দর উপহার কিনতে। উপহার কেনা আসলেই একধরনের শিল্প, কারণ শুধু কিছু কিনলেই হয় না—মনে হতে হবে, এই উপহার তার মুখে হাসি আনবে। আমরা অনেক দোকানে ঘুরলাম, বিভিন্ন খেলনা দেখলাম। গাড়ি, পুতুল, বল, রঙিন ব্লক—সবই সুন্দর, কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল কিছু যেন ঠিক ঠিক মিলছে না।তারপর হঠাৎ আমার চোখে পড়ল একটি রেললাইনের সেট—ট্রেন, ট্র্যাক আর ছোট্ট স্টেশনসহ। এটা দেখেই আমার মন ভরে গেল। কেন জানি না, এই খেলনাটা আমাকে আমার নিজের ছোটবেলার দিনগুলিতে ফিরিয়ে নিয়ে গেল। তখন আমিও ঠিক এরকম একটি ট্রেন খেলনা পেয়েছিলাম, আর সেই ট্রেনের শব্দে, ট্র্যাকের ঘুরপাক আর ছোট্ট কোচগুলোর মুভমেন্টে সারাদিন কেটে যেত। সেই স্মৃতি যেন আবার নতুন করে জেগে উঠল। তাই আর দেরি না করে আমরা সেটি কিনে নিলাম।যখন উপহারটি ছোট্ট ভাইর হাতে তুলে দিলাম, তার চোখের চাহনি বদলে গেল। আনন্দের ঝিলিক এমনভাবে ফুটে উঠল যে, মনে হচ্ছিল সে যেন ছোট্ট একটা ধনভাণ্ডার পেয়েছে। রেললাইনের বাক্স খুলেই সে লাফিয়ে উঠল, নাচতে শুরু করল, আর ট্রেনের শব্দ করতে করতে বলল, “চল চল!” তার এই উচ্ছ্বাস আমাদের সবার মুখে হাসি এনে দিল।এরপর এল জন্মদিনের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত মুহূর্ত—কেক কাটা। টেবিলের মাঝখানে রাখা ছিল সুন্দরভাবে সাজানো কেক, যার উপরে রঙিন ক্রিম দিয়ে লেখা ছিল “হ্যাপি বার্থ ডে”। মোমবাতি জ্বালানো হলো, আর সবাই মিলে জন্মদিনের গান গাইলাম। ছোট্ট রাজপুত্র মোমবাতি নিভিয়ে দিল, আর হাততালির শব্দে ঘর ভরে গেল। কেক কেটে সবাইকে খাওয়ানো হলো, আর কেকের মিষ্টি গন্ধ যেন হৃদয় পর্যন্ত পৌঁছে গেল।এরপর শুরু হলো খাওয়া-দাওয়া। মামা-মামি নিজের হাতে অতিথি আপ্যায়ন করছিলেন। টেবিলে নানা রকম খাবার—পোলাও, মাংস, কাবাব, সালাদ, মিষ্টি—সবই ছিল। আমরা সবাই মিলে একসাথে বসে খাচ্ছিলাম, আর আড্ডা দিচ্ছিলাম। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে হাসির রোল উঠছিল। কেউ শৈশবের স্মৃতি বলছিল, কেউ আবার আজকের দিনের মজার ঘটনা শেয়ার করছিল।এই পুরো সময়টা আমার কাছে ছিল খুবই বিশেষ। শুধু খাওয়া-দাওয়া বা কেক কাটা নয়, বরং পরিবারের সবাইকে একসাথে পাওয়া—এটাই আসল আনন্দ। এমন মুহূর্তে মনে হয়, জীবন যত ব্যস্তই হোক, এই মিলনমেলা আর ভালোবাসার সম্পর্কগুলোই আসল সম্পদ।শেষে সবাই বিদায় নিলাম, আর বাড়ি ফেরার পথে মনে হচ্ছিল—দিনটা সত্যিই অসাধারণ ছিল। আনন্দ, হাসি, ভালোবাসা আর স্মৃতিতে ভরা এই দিনটি আমি চিরদিন মনে রাখব। এমন সুন্দর মুহূর্তের জন্য মামা-মামি ও ছোট্ট রাজপুত্রকে ধন্যবাদ। সত্যিই, ছোটদের হাসি ও ভালোবাসা জীবনে এক অনন্য প্রশান্তি এনে দেয়।
এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি, অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi note 9 |
---|---|
ক্যামেরা.মডেল | note9 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ। |
আমার পরিচয়
আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে। 🌼💖🌼 |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
ভাইয়ের জন্মদিনে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আপু। সত্যি কথা বলতে জন্মদিন ঘিরে বাচ্চাদের অনেক আনন্দ উদযাপন করার ইচ্ছে থাকে। আর পরিবারের মানুষগুলো মিলে দারুন সময় কাটিয়েছেন।
https://x.com/JannatulF57996/status/1956046119232004242

https://x.com/JannatulF57996/status/1956046823032021283
https://x.com/JannatulF57996/status/1956047473501462980

🎉 Congratulations!
Your post has been manually upvoted by the SteemX Team! 🚀
SteemX is a modern, user-friendly and powerful platform built for the Steem ecosystem.
🔗 Visit us: www.steemx.org
✅ Support our work — Vote for our witness: bountyking5