আজকে মহান স্বাধীনতা দিবস, আর এই স্বাধীনতা দিবসকে কেন্দ্র করে আজকে যেন উৎসব মুহূর্তে একটি পরিবেশ আমাদের মাঝে বিরাজ করছে। আসলে স্বাধীনতা অনেক বড় একটি অর্জন
প্রত্যেক জাতি স্বাধীনভাবে বসবাস করতে চাই। কোন জাতি পরাধীন ভাবে বসবাস করতে চায় না। স্বাধীনতার মধ্যে যেন অন্যরকম শান্তি রয়েছে। আসলে স্বাধীনভাবে বসবাস করা এবং স্বাধীনভাবে জীবন পরিচালনা করার মধ্যে সবচাইতে শান্তি লুকিয়ে রয়েছে। তাই তো প্রত্যেকটা জাতি যেন স্বাধীন হতে চায়। আর স্বাধীনতা দিবস তারা গুরুত্বপূর্ণভাবে পালন করে। আসলে স্বাধীনভাবে জীবন পালন করার মধ্যে অন্যরকম শান্তি এবং ভালোলাগা রয়েছে। যে জাতি স্বাধীনতা নেই সে জাতি পরাধীন, সেই জাতি কখনোই মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে না। স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে বাসার মধ্যে যেন অন্যরকম শক্তি পাওয়া যায়। তাইতো স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সবাইকে জানাই স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান দুটি রাজ্যের জন্ম হওয়ার পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তান যেন সব সময় পরাধীন ভাবে বসবাস করত। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের উপরে কোন স্বাধীনতা ছিল না। তারা যেন পরাধীনতার মধ্যে দিয়ে জীবন পরিচালনা করত। প্রত্যেকটা বিষয়ে যেন বৈষম্য করতো। কোনো অধিকার ছিল না। তারা প্রাধান্য দেয়নি, আর এভাবে পরাধীন জাতি কখনোই জীবন পরিচালনা করতে পারেনা। তাইতো বাঙালি জাতি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মুখর হয়ে ওঠে। যার কারণে তাদের সাথে প্রতিবাদ মুখর আচরণ শুরু করে দেয়। আর নিরীহ এই বাঙালির উপরেই ২৫শে মার্চ যেন নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ড শুরু করে, অপারেশন সার্চলাইট নামে নির্মম হত্যাকাণ্ড শুরু করে। আর ঘুমন্ত বাঙালির উপরে যেন নির্মমভাবে হত্যা তারা মেতে ওঠে।
নিরীহ বাঙালিরা স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার জন্য পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ছাপিয়ে পড়ে। আসলে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার মধ্যে যেন অন্যরকম শান্তি লাগে। ১৯৭১ সালে ২৬ শে মার্চ প্রথম পড়ে স্বাধীনতার ঘোষণা যখন দেওয়া হয়, তখনই নিরীহ বাঙালিরা আর চুপ থাকতে পারেনি। তারা জেগে ওঠে, নিজেদের রক্ষা করার জন্য স্বাধীনভাবে বসবাস করার জন্য। নিজের মাতৃভূমিকে রক্ষা করার জন্য তারা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দেয় এবং জীবনের মায়া ত্যাগ করে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে দেয়।
দীর্ঘ ৯ টি মাস পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন হয়। বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এই স্বাধীনতাকে কেন্দ্র করেই যেন বাঙালি জাতি প্রতিবছরই স্বাধীনতা দিবস পালন করে। আসলে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার মধ্যে অন্যরকম শান্তি রয়েছে। যার কারণে বাঙালি জাতি আজ মুক্ত আকাশে স্বাধীনভাবে বসবাস করছে। আর এই স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে মাতৃভাষায় কথা বলার মধ্যে যে শান্তি রয়েছে এই শান্তি বাঙালি জাতি যেন মনের গভীর থেকে এখন তৃপ্তি অনুভব করে। তাইতো এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। সেই সব বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছিম তাদের অবদান আমরা কখনোই ভুলবো না। তাদের আমরা বুকের মাঝে লালন করবো।
আজ আমরা স্বাধীনভাবে মুক্ত আকাশে মাতৃভূমিতে বসবাস করছি। কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। সেইসব বীর শহীদদের আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করব এবং তাদের অবদান আমরা কখনোই ভুলবো না। তবে স্বাধীনতা অর্জনের চাইতে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। তাই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হলে প্রত্যেকটা মানুষ দেশের প্রতি ভালোবাসা এবং দেশের প্রতি অনুগত থাকতে হবে। দেশের জন্য কাজ করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, এই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে,আমাদের নিজেদেরই। তাই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সবাইকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই এবং দেশের জন্য যেন আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে পারি এই অঙ্গীকার করবো ইনশাআল্লাহ। 🖤✨।
https://twitter.com/AhmedAlif135308/status/1904940760031539360?t=mvyFFB5cEu0U4hc3Cg1uPw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! 🇧🇩 এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা আমাদের গৌরব ও মর্যাদা। শহীদদের আত্মত্যাগ চিরস্মরণীয়। আমাদের দায়িত্ব স্বাধীনতার সঠিক মূল্যায়ন করা এবং দেশকে এগিয়ে নেওয়া। দেশপ্রেম ও ঐক্যই হোক আমাদের পথচলার প্রেরণা।
মহান স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা! 🇧🇩 এই দিন আমাদের গৌরব, আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের প্রতীক। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। দেশকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার হোক সবার।