তর্ক করা মূর্খতার লক্ষণ।
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে তর্ক করা সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
লিংক
পৃথিবীতে দুই শ্রেণীর মানুষ বসবাস করে অর্থাৎ এক শ্রেণীর মানুষ হলো মূর্খ এবং অন্য শ্রেণীর মানুষ হল শিক্ষিত। আসলে শিক্ষিত মানুষকে সবাই অনেক বেশি সম্মান করে এবং তাদের ভালোবাসে। একটা শিক্ষিত মানুষকে যখন আপনি সমাজের মধ্যে দেখতে পাবেন এবং সে যদি কোন কথা বলে তখন আপনি তার কথাগুলো মন দিয়ে শোনার চেষ্টা করবেন। কেননা সে যদিও কথা কম বলে কিন্তু যে কথাগুলো আমাদের মাঝে বলার চেষ্টা করে সেই কথাগুলো কিন্তু অনেক বেশি মূল্যবান। অর্থাৎ আমরা তাদের এই মূল্যবান কথাগুলো যদি নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করার চেষ্টা করতে পারি তাহলে কিন্তু আমরা অবশ্যই উন্নতির দিকে এগিয়ে যেতে পারবো এবং নিজেদেরকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গণ্য করতে পারবো।
আবার কিছু কিছু লোক রয়েছে যারা সব সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্ক করে এবং তারা কি করে সেই তর্কে জয় লাভ করবে সে জন্য তারা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে। আসলে এসব ব্যক্তিরা হলো মূর্খ ব্যক্তি। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন যে আপনার মূর্খতা ঢেকে রাখার জন্য অন্যের কাছে কিন্তু আপনি কখনো আপনার এই মূর্খতা ডেকে রাখতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনার আচার আচরণের মধ্যে আপনার মূর্খতা প্রকাশ পেয়ে যাবে। আর এই মূর্খতা প্রকাশের প্রথম মাধ্যম হল তর্ক করা। অর্থাৎ আপনি যত বেশি তর্ক করবেন অন্য লোকের কাছে জয়ী হওয়ার জন্য ততই আপনি আপনার মূর্খতা বেশি বেশি করে অন্যের কাছে প্রকাশ করার চেষ্টা করবেন। আসলে যারা তর্ক করে তারা কখনো প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তি নয়।
কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে এই পৃথিবীতে বর্তমানে জ্ঞানী লোক অপেক্ষা মূর্খ লোকের সংখ্যা তুলনামূলক হারে অনেক বেশি। আসলে এত বেশি মূর্খ ব্যক্তিদের জন্য আমাদের দেশটা এখনো পিছনের দিকে পিছিয়ে রয়েছে। আসলে মূর্খ ব্যক্তিদের সর্ব প্রথম মূর্খতার কারণ হলো তারা কুসংস্কারকে বিশ্বাস করে। আসলে এই আধুনিক যুগে যারা কুসংস্কারকে বিশ্বাস করে এবং কুসংস্কারের কথা মেনে তাদের জীবনটাকে নিজেদের মতো করে চলার চেষ্টা করে তারা কি করে একটা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং দেশকে আধুনিকতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে সেটি নিয়ে আমার অনেক বেশি সন্দেহ আছে। আসলে এই মূর্খতার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে। সেটি হল আমাদের এই সমাজে দারিদ্রতা।
বিশেষ করে দরিদ্র শ্রেণীর মধ্যে মূর্খতার সংখ্যা অনেক বেশি। তারা এসব কুসংস্কার বিশ্বাস করে এই কুসংস্কারের মত করে জীবনটাকে পরিচালনা করার চেষ্টা করে। আসলে একটা বিষয় আমাদের সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে আমরা যদি জীবনে জ্ঞানী হতে পারি তখন আমরা কিন্তু আমাদের দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো এবং মূর্খের মতো কখনো তর্ক-বিতর্ক আমরা কখনো জড়িয়ে পড়বো না। আমরা সবসময়ই জ্ঞান নিয়ে চলাফেরার চেষ্টা করব এবং প্রয়োজন ছাড়া অতিরিক্ত কোন কথা কারো সঙ্গে কখনো বলবো না। আর এভাবে যদি আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি তখন কিন্তু আমাদের জীবনটা অনেক বেশি সুন্দর হবে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কিন্তু সব সময় শিক্ষা অর্জন করে চলতে পারবে।
লিংক
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।