শীতের সকাল
আশাকরি " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ভালো আছেন। আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আপনারা সবাই সুস্থ আছেন। মহান সৃষ্টিকর্তা এবং আপনাদের আশীর্বাদে আমিও সুস্থ আছি। আজ আপনি আপনাদের সাথে শীতের সকাল সম্পর্কে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট করলাম।
আমাদের বাঙ্গালীদের কাছে ছয়টি ঋতুর মধ্যে সবথেকে প্রিয় ঋতু হলো এই শীত। অর্থাৎ প্রত্যেকটা মানুষ এই শীত কালকে অনেক বেশি পছন্দ করে। এর কারণ হলো এই শীতকালে মানুষ একটু বেশি পরিশ্রম করতে পারে এবং এর ফলে তাদের ক্লান্তি যেমন একটা বেশি হয় না। কিন্তু বাকি অন্যান্য কাল গুলোতে গরমের পরিমাণ অনেক বেশি থাকার জন্য মানুষ অল্প কাজ করলে হাঁপিয়ে যায়। আসলে শীতকাল যদি উপভোগ করতে হয় তাহলে সর্বপ্রথম আমাদের গ্রাম অঞ্চলে চলে যেতে হবে। কেননা একমাত্র শীতকালের পূর্ণতা পায় গ্রাম অঞ্চলের দিকে। যদিও শহরাঞ্চলে এখন আর তেমন একটা বেশি শীত পড়ে না এই অতিরিক্ত বায়ু দূষণের ফলে। অর্থাৎ গাড়ি ধোঁয়া জন্য শহরের পরিবেশটা সবসময় খারাপ থাকে।
কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে যারা গ্রামের শীতকাল উপভোগ করতে পেরেছে। ঠিক সেরকম একজন ভাগ্যবান মানুষ আমিও। আসলে গ্রামাঞ্চলের দিকে শীতের সকাল মানে একটা আলাদা অনুভূতি। আর এই গ্রামের কিছু কিছু জায়গায় দেখা যায় যে বুড়ো বয়স্ক মানুষ থেকে শুরু করে কিছু কিছু যুবক ছেলেরা এক জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে সেখানে আগুনের উত্তাপ গ্রহণ করে। অর্থাৎ গ্রাম অঞ্চলে গাছের পরিমাণ যেমন বেশি থাকে তেমনি নদী-নালা খাল বিলের সংখ্যা অনেক বেশি থাকে। এজন্য গ্রাম অঞ্চলের দিকে শীতকালের শীতের পরিমাণটা একটু বেশি হয় এবং তারা যতই শীত হোক না কেন তারা তাদের কাছ থেকে কিন্তু কখনো পিছিয়ে থাকে না। অর্থাৎ এই শীতকালের কুয়াশার চাদরে ঢাকা পরিবেশের মধ্য দিয়ে কৃষক মাঠে কাজ করতে যায়।
আপনি হয়তোবা এই ঠান্ডা তেমন একটা বেশি সহ্য করতে পারবেন না কিন্তু তাদের এই ঠান্ডা সহ্য করতে করতে তাদের আর তেমন কোন কিছু মনে হয় না। অর্থাৎ তারা সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে কাঁধে কোদাল নিয়ে মাঠে যায় বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করার জন্য। আর আমরা সবাই জানি যে শীতকালে সবথেকে বেশি শাকসবজি উৎপাদন করা হয় এজন্য কৃষকেরা এই সময়টাতে খুব একটা বেশি ব্যস্ত থাকে। আরে ব্যস্ততার মাঝেও তারা কখনো শীতকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারে না। কেননা পরিশ্রম করতে করতে শীত তাদেরকে একবারও ছুঁয়ে দেখতে পারেনা। তবুও এই শীতের সকাল গুলো আমাদের কাছে একটা অন্যরকম আলাদা আর মনে হয়। কেননা এই সময়ে মানুষ শীতের চাদর মুড়ি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আনন্দ উপভোগ করে।
এছাড়াও শীতকালে বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের পিঠা পায়েস তৈরি করা হয়। বিশেষ করে শীতের সকালে ঠান্ডা খেজুরের রস খাওয়ার মত সৌভাগ্য সবার কপালে থাকে না। আসলে এই অনুভূতিগুলো সত্যিই একটা আলাদা ধরনের। আর এজন্য আমার কাছে মনে হয় যে গ্রামের দিকের মানুষেরা বেশি ভাগ্যবান। কেননা তারা প্রত্যেকটা ঋতুকে সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে পারে। কিন্তু আরেকটা বিষয় হল গরিব মানুষ। যারা কিনা এই শীতকালে অনেক বেশি কষ্ট পায়। আর এজন্য আমাদের সব সময় উচিত এইসব গরিব মানুষদের জন্য শীতকালে শীতের বস্ত্র উপহার দেয়ার জন্য এবং যতটুকু সম্ভব ততটুকু কাজ করার জন্য। কেননা আমরা শুধুমাত্র আনন্দের কথা উল্লেখ করব না মানুষের দুঃখ নিয়েও কিন্তু আলোচনা করব। আর এভাবে আমরা মানুষের সাহায্য করলে তাদের শীতের সকালটা ভালো যাবে।
লিংক
আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।
আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
শীতের সকাল বলতেই মনে পড়ে যায় শীতের কিছু আনন্দদায়ক সময়ের কথা। শীত কাল আমার খুব পছন্দ। শীতের সময় সকালে উঠে মিষ্টি রোদ পোয়ানো এবং শীতের সময় নানা রকমের পিঠা খেতেও মজা। শীত কাল মানেই প্রতিটা দিন সুন্দর।