চিৎকার করা বোকামির লক্ষণ।

লিংক


আসলে কিছু কিছু মানুষকে আমরা দেখতে পাই যে যারা প্রতিনিধি বিভিন্ন ধরনের চিৎকার করে এবং মনে করে যে তারা যদি যত বেশি চিৎকার করতে পারবে তত তারা অন্যান্য ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তর্ক করে এগিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু একটা জিনিস আপনাকে সবসময় মাথায় রাখতে হবে যে এই পৃথিবীতে যারা প্রকৃত বুদ্ধিমান লোক তারা কিন্তু কখনো কোন কাজে চিৎকার চেঁচামেচি করেনা। অর্থাৎ তারা সবসময় চেষ্টা করে যে কি করে ঠান্ডা মাথায় সবকিছু সমাধান করা যায় এবং মানুষের সাথে যদি তারা কখনো কোনো বিষয়ে তর্ক করে না পারে তবুও কিন্তু তারা কখনো চিৎকার করতে চায়না। আসলে চিৎকার করা হলো এক ধরনের বোকামির লক্ষণ। আর এই বোকামির লক্ষণ গুলো যাদের মধ্যে আছে তারা মূর্খ ব্যক্তি।


আমাদের সমাজে আমরা বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করে এবং তারা কতটা জ্ঞানী ও কতটা মূর্খ এগুলো কিন্তু আমরা সবাই জানতে পারি। আসলে আপনি একজন জ্ঞানী ব্যক্তিকে সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন। কিন্তু একদম মূর্খ ব্যক্তিকে কিন্তু আপনি খুব সহজে চিহ্নিত করতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনি মনে করেন যে এই পৃথিবীতে যারা মূর্খ ব্যক্তি তারা কিন্তু সবসময় নিজেদেরকে অনেক বেশি চালাক চতুর মনে করে এবং অন্যের সামনে তারা নিজেদেরকে জ্ঞানী বলে প্রকাশ করতে চেষ্টা করে। কিন্তু একটা জিনিসই তারা সব সময় ভুল করে ফেলে যে জ্ঞানী মানুষেরা বেশি কখনো তর্ক করে না এবং চিৎকার করে না। অর্থাৎ জ্ঞানী মানুষেরা সবসময় ঠান্ডা মাথায় কাজ করতে পছন্দ করে।


কিন্তু আপনাদের এই বোকামির জন্য কিন্তু আপনাদের সেই মূর্খ চিন্তাভাবনা মানুষের সামনে প্রকাশ পেয়ে যাবে। আসলে এ ক্ষেত্রে আমাদের সব সময় মনে রাখতে হবে যে আমরা যদি চিৎকার করার মাধ্যমে কোন বিষয়ে জয়ী লাভ করার চেষ্টা করি তাহলে কিন্তু সেখানে আমরা আমাদের মূর্খতার পরিচয় দিয়ে থাকব। এই পৃথিবীতে যারা ঠান্ডা মাথায় সকল ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে পারে তারা কিন্তু প্রকৃত মানুষ এবং এই মানুষগুলো সব সময় অন্যান্য মানুষ অপেক্ষায় এগিয়ে থাকে। আর আপনি যখন এই জ্ঞানী লোকেদের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন তখন কিন্তু আপনার মনের মধ্যে আলাদা ধরনের একটা শান্তি চলে আসবে। অর্থাৎ সবাই আপনাকে অনেক বেশি সম্মান করবে।


তাইতো জীবনে যা কিছুই করুন না কেন অবশ্যই কখনো কোনো কাজে চিৎকার করা যাবে না। এজন্য আমাদের সবসময় ভদ্রভাবে সমাজের প্রত্যেকটা লোকের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে হবে এবং ভালোভাবে মেলামেশা করার চেষ্টা করতে হবে। আসলে মানুষ যতই চেষ্টা করি না কেন এই বোকামি মানুষের লক্ষণগুলো কখনো কোন অশিক্ষিত লোক তাদের নিজেদের মধ্যে চেপে রাখতে পারবে না। এজন্য আমাদের মনে রাখতে হবে যে আপনি যদি নিজে বোকা হোন তাহলে আপনার বোকামির লক্ষণ একদিন না একদিন মানুষের সামনে অবশ্যই প্রকাশ করবেন। তাই তো নিজেদেরকে অবশ্যই জ্ঞানীর পরিচয় দিতে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং জীবনে বড় হওয়ার জন্য সব সময় কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।

লিংক


আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।