" মেয়েদের নিজের বাড়ি বলতে আসলে কোন বাড়ি নেই "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার।আমি ঢাকা থেকে আপনাদের মাঝে যুক্ত আছি।আমি চেষ্টা করি প্রতিনিয়ত ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট শেয়ার করতে।আজ ও এর ব্যতিক্রম হয়নি।আমি আজ একটি জেনারেল পোস্ট নিয়ে চলে এলাম।আশাকরি আমার ব্লগ আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
মেয়েদের নিজের বাড়ি বলতে আসলে কোন বাড়ি নেইঃ
বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।আমার আজকের ব্লগটি একটি জেনারেল রাইটিং ব্লগ।আর আজকের বিষয়টি খুবই বাস্তব সত্যি একটি বিষয়।** মেয়েদের নিজের বাড়ি বলতে আসলে কোন বাড়ি নেই**-- এই কথাটি অদ্ভুত শোনালে ও একশ ভাগ সত্যি এটা।আজকে এহ বিষয়টি নিয়েই কিছু আলোচনা শেয়ার করে নেবো।আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আসুন,শুরু করা যাক এই বিষয়টি নিয়ে।পরিবার আমাদের স্পন্দন।একটি পরিবারে যখন কন্যা সন্তান জন্ম নেয় তখন পরিবারের খুব আদরের হয় সন্তানটি।পরিবারের সবাই মিলে সেই কন্যা সন্তানটিকে আদরে যত্নে বড় করে তোলেন।এক সময় এসে মেয়েটি বড় হয়।মা-বাবা,আত্মীয়-স্বজন খুব দেখে শুনে ভালো কোন ছেলের কাছে মেয়েটিকে পাত্রস্থ করেন।২০, ২২ বেশী হলে ৩০ এর মধ্যে ই একটি মেয়ে নিজের পরিচিত ভুবন বাবার বাড়ি ছেড়ে হাসবেন্ডের হাত ধরে শ্বশুরবাড়িতে চলে যায়।নতুন পরিবেশ,নতুন মানুষ,নতুন সবকিছুকে সেই মেয়ে আপন করে নেয়ার চেষ্টা করে।সেই পরিবারের শ্বশুর -শ্বাশুড়ি থেকে শুরু করে দেবর,ননদ এমন কি শ্বশুরবাড়ির সব আত্মীয়-স্বজনকে আপন করে নিতে চেষ্টা করে থাকে এ দেশের মেয়েরা।
এরপর এক সময় তার কোল জুড়ে সন্তান-সন্ততি আসে।সেই মেয়েটি তখন মায়ের দায়িত্ব আর তার সাথে পরিবারের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেন।দেখতে দেখতে তার সন্তানরা যখন বড় হয়।মায়ের অক্লান্ত পরিশ্রম,পরিবারের সকল বিষয়ে দৃষ্টি, তার তিল তিল করে গড়ে উঠা সংসারকে নিয়ে সেই মা তার হাসবেন্ডের বাড়িতে ই সুখ খুঁজে নেয়।এক সময় ছেলে -মেয়েকে বিয়ে দেন।মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে চলে যায়।ছেলে বউ নিয়ে বাড়িতে আসে।সেই মায়ের তিল তিল করে গড়ে উঠা সংসারের ভার তিনি তার ছেলের বউয়ের হাতে তুলে দেন।
বয়সের ভারে যখন মা নুয়ে পরেন,তখন মা তার ছেলের বাড়িতে থাকেন।ছেলে আর ছেলের বউ তার দেখাশোনা করেন।শেষ পর্যন্ত দেখতে পেলাম একটি মেয়ে প্রথমে বাবার বাড়ি এরপর শ্বশুরবাড়ি এরপর হাসবেন্ডের বাড়িকে নিজের মতো করেই কাটিয়ে দেন অনেক বছর।এরপর বয়স যখন ৬০/৭০ তখন ছেলের বাড়িতে তার শেষ ঠাঁই হয়।নিজের বলে মেয়েদের আসলে কোন বাড়ি ই থাকে না।কোন মেয়েই নিজের বাড়ি আছে এমন বলতে পারেন এমনটা দেখা যায় না।একটি মেয়ে ছোটবেলা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার নিজের বাড়ি বলে কোন বাড়িকেই দাবী করতে পারেন না।অথচ একটি পরিবারে একটি মেয়ে অনেক ভূমিকাই পালন করে থাকেন।কিন্তু দিনশেষে সেই মেয়েরই নিজের বলে কোন বাড়ি নেই।কথাটা শুনতে খারাপ লাগলেও কথাটা কিন্তু একদম সত্যি।সকল মেয়েদের কথা ভেবেই আমার আজকের এই ব্লগটি করা।আশাকরি সবার কাছে ভালো লেগে থাকবে।কারো কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ক্যামেরা | SamsungA20 |
পোস্ট তৈরি | @shimulakter |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/shimulakter403/status/1926604557477421509?t=YIRTwYhJNAziOjYAt-BkOA&s=19
https://x.com/shimulakter403/status/1926604305601118670?t=fh0MnFWr4BoRivuweuZcjw&s=19
X-promotion
https://x.com/shimulakter403/status/1926934344788029648?t=sQX9z67AibVlZCGfA6GyZg&s=19
https://x.com/shimulakter403/status/1926934004885869048?t=vvEt1_bqf7-23JFzzWUnjQ&s=19