ধৈর্য শক্তি বেড়ে গেলে আর কোন কিছুতেই খারাপ লাগেনা ।।

🥰.. আসসালামুয়ালাইকুম ...🥰

🥰...এবং হিন্দু ভাই বোনদের কে আদাব.💗🙏।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ? আশা করছি সকলেই ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নতুন সদস্য, এই প্লাটফর্মের সাথে দীর্ঘ কয়েক মাস আগে যুক্ত হয়েছি। সত্যি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হতে পেরে আমার কাছে অনেক ভালো লাগতেছে ।আজকে আমি আপনাদের সাথে জেনারেল রাইটিং শেয়ার করবো " ধৈর্য শক্তি বেড়ে গেলে আর কোন কিছুতেই খারাপ লাগেনা "। আশাকরি আপনাদের প্রত্যেকের অনেক অনেক ভালো লাগবে। চলুন এবার শুরু করা যাক।

সোর্স

ধৈর্য শক্তি বেড়ে গেলে আর কোন কিছুতেই খারাপ লাগেনা। জীবন চলার পথে আমাদের প্রতিনিয়ত নানা বাধা, চাপ এবং অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু এই সমস্ত কিছু মোকাবিলা করার শক্তি যদি আমরা নিজের মধ্যে তৈরি করতে পারি, তাহলে জীবনের সব পরিস্থিতিতে শান্ত থাকতে পারব, এবং ছোট বড় সমস্যা আমাদের মনকে আঘাত করতে পারবে না।

ধৈর্য শক্তি মানে হলো সেই সামর্থ্য বা ক্ষমতা, যার মাধ্যমে আমরা সইতে পারি, সময় নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি এবং মানসিক শান্তি বজায় রাখতে পারি। এই শক্তি আমাদের যে কোনো পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথ প্রদর্শন করে। ধৈর্য মানে এটি নয় যে আমরা নীরব থাকবো বা কিছুই করবো না, বরং এটা আমাদের মনে স্থিরতা আনতে সহায়তা করে যাতে আমরা জীবনের চ্যালেঞ্জগুলোর সামনে নিজেকে হালকাভাবে মোকাবিলা করতে পারি।

ধৈর্য শক্তি বাড়ানো বেশ সময়সাপেক্ষ হতে পারে, কিন্তু এটি শেখা সম্ভব এবং এর মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু অর্জন করতে পারি।যখন মন অস্থির থাকে, তখন সব কিছুই খারাপ মনে হয়। ধৈর্য শক্তি বাড়াতে প্রথমেই প্রয়োজন শান্ত মন। একে অর্জন করতে ধ্যান, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা এমন কিছু করুন যা আপনার মনকে শান্ত রাখে।জীবনে অনেক সময়েই অঘটন ঘটে, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমরা এসব থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারি। অতীতের ভুল এবং হতাশার সময়ে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো যদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করি, তবে ভবিষ্যতে এগুলো আমাদের আরো ধৈর্যশীল করে তুলবে।

ধৈর্য শিখতে হলে জীবনের প্রতিটি অর্জনকে সময় নিয়ে গ্রহণ করতে হবে। একদিনে সফলতা আসে না, বরং সময়, পরিশ্রম এবং অটল মনোবল দরকার। ধৈর্যশীল মানুষ জানে যে, ফলপ্রসূ হতে হলে প্রতিটি পদক্ষেপে ধৈর্য ধরতে হয়।আপনার লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য স্পষ্ট হলে ধৈর্য ধরে সেই লক্ষ্য অর্জন করতে আরো সহজ হবে। যখন জানবেন যে, কোনো কিছু দীর্ঘ সময়ের মধ্যে অর্জনযোগ্য, তখন তাড়াহুড়ো বা হতাশা অনুভব করবেন না। ধৈর্য শিখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে দৃঢ়ভাবে থাকতে।

নেগেটিভ চিন্তা আমাদের মনকে অবসাদগ্রস্ত করে এবং ধৈর্যহীন করে তোলে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হলে ইতিবাচক চিন্তা ধারনা গ্রহণ করা উচিতযেকোনো ধৈর্যশীল মানুষ কম উদ্বেগ এবং স্ট্রেস অনুভব করে, কারণ তারা জানে যে সব কিছু সময় নিয়ে ঠিক হয়ে যাবে। এতে মানসিক শান্তি বজায় থাকে।ধৈর্যশীল ব্যক্তিরা পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এবং কোন তাড়াহুড়ো না করে তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এতে জীবনের যেকোনো সমস্যার সমাধান আরও সঠিকভাবে হয়।ধৈর্য মানুষকে সবার প্রতি সহানুভূতিশীল এবং সহ্যশীল করে তোলে, যা সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। ধৈর্য ছাড়া সম্পর্কগুলো হয় উচ্ছৃঙ্খল এবং অস্থির।

আমাদের জীবনে ধৈর্য শক্তির প্রভাব এক কথায় বলা যায়, এটি আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। কোনো কঠিন পরিস্থিতিতেও যদি ধৈর্য ধরে রাখি, তাহলে সব কিছু সহজ হয়ে যায়। ছোট ছোট সমস্যাগুলো বড় সমস্যা মনে হয় না, এবং যে কোনো বিপদে আমাদের মনোবল এবং দৃঢ়তা বেড়ে যায়। এর ফলে, জীবনে যে কোনো দিক থেকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।আমরা যদি নিজেদের মধ্যে ধৈর্য শক্তি তৈরি করতে পারি, তাহলে কোনো কিছুই আমাদের আটকাতে পারবে না। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকে অনুপ্রেরণায় পরিণত করা সম্ভব হবে এবং একে একে আমরা সব কিছু পার করতে সক্ষম হবো।

এই ছিল আজকের ব্লগ । আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।কার কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই কমেন্টের মন্তব্য করে জানাবেন। কোন ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি, আবার নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং সবার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ।

আমার নাম মোছাঃ সামছুন্ নাহার সুইটি । আমি একজন বাংলাদেশী মুসলিম নাগরিক । আমি আমার মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি। আমার বাড়ি বাংলাদেশের রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত। আমি অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ালেখা করি । আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করার জন্য যুক্ত হয়েছি । আমি গত ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হই । এই প্লাটফর্মের মধ্যে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি ।আমি ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।সেই সাথে নতুন নতুন ফটোগ্রাফি করতে ও ইউনিক রেসিপি এবং নতুন নতুন ইউনিক ডাই তৈরি করতে বেশ পছন্দ করি । আর স্টিমিট প্ল্যাটফর্মকে আঁকড়ে ধরে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যেতে চাই, এটাই আমার লক্ষ্য।