আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আসলে আমাদের সবার ছোটবেলা অনেক সুন্দর। যদিও এখন ছোট বেলায় ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে এখন বাচ্চাদের ঈদের আনন্দ দেখলে সত্যি ছোট বেলায় ফিরে যেতে ইচ্ছে করে।আজ যখন বাচ্চাদের নতুন জামা কেনার জন্য উৎসাহ দেখছিলাম , তখন কিছু সময়ের জন্য ফিরে গিয়েছিলাম সেই শৈশবে। সত্যি বলতে শৈশবের মতো জীবন আর কখনো হয় না।তবে এখনকার বাচ্চাদের শৈশব কাটে ডিভাইসের মাধ্যমে। আর আমাদের সময় সম্পূর্ণ বিভিন্ন ভাবে কেটেছে। আসলে শৈশব অনেক সুন্দর ছিল তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

আমরা ছিলাম পাঁচ ভাইবোন। তবে আমি ছিলাম চার নম্বর। আমার ছোট ছিল একজন। আসলে আমাদের পরিবার মোটামুটি ভালোই ছিল। কোন রকম খেয়ে পড়ে ছিলাম।তবে আমরা ছোট দুই ভাইবোন প্রতি ঈদে নতুন জামা কাপড় পেতাম।তবে একবার আমাদের ঈদুল আযহার সময় তেমন টাকা পসয়া ছিল না। কিন্তু আমি ও আমার ছোট ভাই বাবার কাছে নতুন জামা কেনার জন্য বাইনা ধরলাম। কিন্তু বাবা আমাদের কিনে দেবে না।আসলে টাকা পয়সার সংকট তাই হয়তো দিতে চায়নি।কিন্তু আমরা তো নাছরবান্দা জামা চায় চায়।

তবে এখনকার দিনে মানুষ যেভাবে জামাকাপড় কিনে আগের দিনে তেমন কিনত না।যাইহোক দেখতে দেখতে চলে আসল ঈদের সময়। তারপর বাবা ঈদের আগের দিন আমার দুই ভাইবোনকে নিয়ে গেল মার্কেটে।তারপর আমাদের দুজনের জন্য দুটি নতুন জামা কিনল।আর সেই জামা নিয়ে বাড়িতে এসে আমরা মহাখুশি। তখন আমাদের খুশি দেখে আমার বাবা আর চোখের পানি ধরে রাখতে পারলেন না। সত্যি আজ আমার মেয়ে যখন তার বাবার কাছে জামা কিনবে বলছে তখন আমার সেই ছোট বেলার কথা মনে পড়ে গেল।আসলে ছোট বেলা কোন কিছু পেলেই আনন্দ পেতাম হোক সেটা কম দামের তখন আনন্দে মন ভরে যেত। আসলে শৈশবের স্মৃতি অনেক মধুর।

যদিও আজ বাবা আমাদের মাঝে নেই তবে তার কথা মনে পড়ে অনেক খারাপ লাগছে।আসলে বাবারা আপ্রাণ চেষ্টা করে বাচ্চাদের আশাপূর্ণ করার জন্য। তারা কখনো বাচ্চাদের অভাব বুঝতে দেয় না।তখন আসলে বুঝতে পারিনি কিন্তু এখন বুঝি। পৃথিবীতে সবার বাবা বেঁচে থাকুক সবারই অন্তরে।