জেনারেল রাইটিং :শৈশবে বৃষ্টিতে স্কুলে পালানো
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।
জেনারেল রাইটিং :শৈশবে বৃষ্টিতে স্কুলে পালানো
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আজ এসেছি একটা জেনারেল রাইটিং নিয়ে। আসলে সপ্তাহে একটি করে জেনারেল রাইটিং লেখার চেষ্টা করি। আর আমার বাংলা ব্লগ এমন জায়গা যেখানে মনের কথা লিখা যায়।আসলে আমাদের শৈশব অনেক সুন্দর ছিল। তবে এখনকার বাচ্চাদের শৈশব মনে হয় বেশির ভাগ সময় ডিভাইস এর মাধ্যমে কাটে।আগে বৃষ্টি হোক বা ঝড় হোক কখনো আমরা স্কুল বন্ধ দিতাম না। আর এখনকার বাচ্চারা স্কুলে না গেলেই বাঁচে।বিশেষ করে আমার মেয়ে।এমন আর কারো বাচ্চা আছে কি না আমার জানা নেই। তবে ছোট মেয়ে স্কুলে যাবার জন্য অস্হির ঝড় বৃষ্টি যাইহোক না কেন। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
গতকাল আমার মেয়ে বৃষ্টিতে ভিজে স্কুল থেকে চলে এসেছে। আর সেটা দেখে কিছু সময়ের জন্য শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। আসলে আমি যখন ক্লাস ফাইভে পড়ি তখনকার ঘটনা। একদিন প্রচুর বৃষ্টি ছিল তবে স্কুলে যাবার সময় তেমন বৃষ্টি ছিল না। তারপর টিফিন খেতে আসব তবে বৃষ্টির জন্য আসতে পারছি না। এদিকে পরিচিত স্যার থাকার জন্য আসতে পারছি না। কারণ সে বৃষ্টির ভিতরে আসতে দেবে না।এটা নিয়ে পড়েছিলাম মহা বিপদে। তারপর আমরা জোর করে যখন আসব তখন বাড়িতে ফোন দিল। আমার সাথে কথা বলল আমার বাবা যাতে বৃষ্টিতে না আসি।
এভাবে কিছু সময় চলে গেল তবে বৃষ্টি থামার নাম নেই। এক পর্যায়ে বৃষ্টিতে আমরা কয়েক জন বই রেখে বাড়িতে চলে আসলাম। এটা দেখে সবাই অনেক রাগ করল।কিন্তু স্কুল ড্রেস চেঞ্জ করে খাওয়া দাওয়া শেষ করে আবার স্কুলে যাবার উদ্দেশ্য রওনা দিলাম।
তবে যেহেতু দেরি হয়েছে তারপর ড্রেস নেই তাই স্কুলে না গিয়ে বাইরে পালিয়ে ছিলাম। এভাবে একটা ক্লাস শেষ হবার পরে এক স্যার আমাদের বাড়িতে ফোন দিল। এদিকে বাবা মা ও স্যার সবাই আমাদের কয়েক জনকে খুঁজতে লাগলো। তবে আমরা তাদের দেখছি কিন্তু মার খেতে হবে তারজন্য আর সামনে আসিনি।এদিকে স্কুল ছুটি হয়েছে তারপর বাবা বই নিয়ে স্কুলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এদিকে আমরা বৃষ্টিতে ভিজে মুমূর্ষু অবস্থায়। তারপর এক জন আমাদের দেখে ডেকে নিয়ে আসল।ততক্ষণে আমার এক চাচাত ভাইয়ের জ্বর এসেছে। তারপর কোন রকম আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসল।
বেশি বৃষ্টিতে ভেজার জন্য প্রায় এক সপ্তাহ আমাদের চারজনের জ্বর ছিল। তাই গতকাল মেয়ে ও স্কুল থেকে বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে এসেছে কিন্তু বই রেখে।এটা দেখে সত্যি শৈশবের এমন স্মৃতি কখনো ভুলা সম্ভব নয়। আসলে আমাদের শৈশব অনেক সুন্দর ছিল। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রলয়োজনীয় | উপকরণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদপুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1941155916054946209?t=hnz9yTnrzB_S7be3Iq24Rg&s=19
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1941156273137078302?t=q9mxxnkjHsObZsQPnZFV1g&s=19
https://x.com/MimiRimi1683671/status/1941156813787046241?t=t7l5Rnn-WTwuwrAEZylwGA&s=19