যৌতুক

লিংক


যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। আসলে বর্তমান সময়ে এখন চারিপাশে এতই যৌতুকের মতো এই সামাজিক ব্যাধি ছড়িয়ে রয়েছে তা আমরা কখনো ধারণা করতে পারছি না। আসলে বর্তমান আধুনিক সমাজে এই ধরনের জিনিসগুলো যখন আমরা দেখতে পাই তখন আমাদের সত্যিই নিজেদেরকে ছোট মনে হয়। আসলে আমরা সব সময় কোন সমাজের জন্য কাজ করছি এটা ভাবলে আমাদের কষ্ট লাগে। কেননা একজন শিক্ষিত লোক কখনো এই যৌতুকের পক্ষে যেতে পারে না। এছাড়াও এই যৌতুক যারা আদান প্রদান করে তারা দুজনই কিন্তু সমান অপরাধী। যদিও এখন মানুষ এই যৌতুকের ধরনটা একটু বদলে ফেলেছে। অর্থাৎ আগে যেখানে সামনাসামনি দেওয়া নেওয়া হতো আর এখন পিছনে দেওয়া নেওয়া হয়। অর্থাৎ যৌতুক শুধুমাত্র তার পোশাক বদল করেছে তার চরিত্র কখনো বদল করিনি।


কেননা আমরা গ্রাম অঞ্চলে এখনও দেখতে পাই যে সেখানে একজন পিতা তার মেয়ে সন্তানের বিবাহের জন্য কত বেশি কষ্ট করতে হয়। আসলে অনেকে মনে করে যে মেয়েদের শিক্ষার কোন প্রয়োজন নাই। কিন্তু তাদের এই ধারণাটা সম্পূর্ণ একটা ভুল ধারণা। আসলে মেয়েরা যদি শিক্ষিত না হয় তাহলে আমাদের সমাজ কখনো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে না এবং যে মা-বাবা এই ধরনের চিন্তা ভাবনা করে সেই মা-বাবা কখনো প্রকৃত জ্ঞানী হতে পারে না। একজন প্রকৃত জ্ঞানী মা-বাবা সব সময় তাদের মেয়ে সন্তানদেরকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য চেষ্টা করে এবং তারা কখনো যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়াকে মোটেও পছন্দ করে না। আসলে যারা যৌতুক গ্রহণের জন্য ছেলের বিয়ে দেয় তারা কখনো ভাল মানুষ হতে পারে না। আসলে এইসব লোকেদের থেকে আমাদের সবসময় দূরে থাকা উচিত।


একটা জিনিস আমাদের ভাবতেই অবাক লাগে যে সমাজে যৌতুক আদান প্রদান করে বিবাহ হয় সে সমাজের মানুষগুলো কিরকম ধরনের তা ভাবলেই আমার কষ্ট লাগে। কেননা এই যৌতুকের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদে যায় না বরং সবাই এই যৌতুককে সমর্থন করে। এমন এমন এলাকা রয়েছে যেখানে যৌতুক ছাড়া কোন মেয়ের বিয়ে কখনোই হয় না। আর এই যৌতুকের টাকা জোগাড় করার জন্য একজন পিতাকে তার সর্বস্ব বিক্রি করে দিতে হয়। তবুও সেসব ছেলের বাবাদের চাহিদার কোন শেষ থাকে না। আর এজন্য আমাদের একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে এই সমাজে যারা যৌতুক দেওয়া এবং গ্রহণ করে তারা দুজনেই কিন্তু সমান অপরাধী এবং এইসব অপরাধীদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। কেননা বর্তমান সময়ে যৌতুক দেওয়া এবং নেওয়া দুটোই সমান অপরাধ।


এছাড়াও সরকার এই যৌতুক প্রথাকে বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আমাদের আশেপাশে যদি আমরা দেখতে পাই যে কোন এলাকায় যৌতুক আদান প্রদান করে বিবাহ সম্পন্ন হচ্ছে সেটি যদি আমরা আইনের সহায়তায় নিয়ে আসি তাহলে তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তি হবে এবং এর ফলে একটা পরিবারের মেয়ে অবশ্যই বেঁচে যাবে। আর এই জন্য এই যৌতুকের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে না বলতে হবে এবং ছেলে মেয়ের সমান অধিকার নিয়ে তাদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবশ্যই পাঠাতে হবে। আসলে এভাবে যদি আমরা আমাদের সমাজ থেকে যৌতুক তুলে দিতে পারি তাহলে আমাদের সমাজে একটা সুন্দর শান্তি বিরাজ করবে এবং সবাই সবার সন্তানদেরকে সঠিকভাবে মানুষ করার চেষ্টা করবে। তাইতো আজই সবাই মিলে যৌতুককে না বলুন।

আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আজকের পোস্টটি । ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।


আজ এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।