মেয়েদের নেশা।

কেমন আছেন "আমার বাংলা ব্লগ"এর সকল সদস্যরা? আশা করি সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও খুব ভালো আছি। আজ আমি একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। আশাকরি আমার পোস্টটি পড়ে আপনাদের খুব ভালো লাগবে।

সোর্স

নেশা খুবই মারাত্মক একটি ভয়ংকর জিনিস। আমাদের শরীরকে ধীরে ধীরে ভেতর থেকে শেষ করে ফেলে। প্রথম প্রথম হয়তো শখে মানুষ নেশা করে। কিন্তু পরবর্তীতে নেশা আর শখের থাকে না সেটা প্রয়োজন হয়ে যায়। শরীর এই নেশায় এতটাই আসক্ত হয়ে যায় যে কোন এক বেলা যদি নেশা না করা হয় তাহলে মাথা যেন ঠিক থাকে না। আমাদের শরীরকে তিলে তিলে শেষ করে দেয় এবং একটি মারণ রোগের সৃষ্টি করে। এই নেশার কারণে প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ক্ষতি হতে থাকে। যেকোনো ধরনের নেশায় ওয়ার্নিং দেওয়া থাকে যে সেটা ক্ষতিকর শরীরের জন্য কিন্তু তবুও প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ নেশা করে চলেছে। যেমন মাদকদ্রব্য পান করে চলেছে তেমন ফিগারেটের ধোঁয়ায় শরীরকে পুড়িয়ে ফেলছে। সিগারেটের প্যাকেটে তো এত খারাপ ভাবে ছবি দেওয়া থাকে সিগারেট খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে কি কি সমস্যা হতে পারে তবুও মানুষ ফিগারের প্যাকেট কিনে চলেছে। আগেকার মানুষ এত নেশা ভান করা পছন্দ করত না কিন্তু বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে নেশা করা মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। আর এইসব মানুষের মধ্যে বেড়ে চলেছে মেয়েদের সংখ্যা। এমন একটা সময় ছিল যে সময়ে মেয়েরা পছন্দ করত না কোন নেশা করা ছেলেদের। নিজের বিবাহের জন্য এমন ছেলে পছন্দ করত যার কোন নেশা নেই।

কিন্তু বর্তমানে সে সব চিন্তা কোন মেয়েই করে না এবং কোন ছেলেরাও করে না। ছেলেরা চায় তাদের গার্লফ্রেন্ড বা ওয়াইফ যেন একটু আধটু নেশা করতে জানে। কারণ তারা নিজেরা তাদের সাথে বিভিন্ন রকম নেশা করতে চায়। অপরদিকে মেয়েরাও ছেলেদের সাথে তাল মিলিয়ে নেশা করা শুরু করেছে। বর্তমানে রাস্তাঘাটে পথ চলতেই দেখা যায় বিভিন্ন কোনায় দাঁড়িয়ে মেয়েরা সিগারেট খাচ্ছে। আবার চায়ের দোকানে মেয়েদের বসে চা সিগারেট খেতে দেখা যায়। বর্তমানে কলেজে পড়া স্টুডেন্টদের তো আলাদা একটা স্মোকিং জোন রয়েছে যেখানে ছেলে-মেয়ে উভয়ে মিলে ধুমপান করে থাকে। তবে কলেজ থেকে যে ছেলেমেয়েরা শুরু করেছে এই ধূমপান করা তেমন কিন্তু নয়। স্কুল পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের ও বর্তমানে ধূমপান করতে দেখা যায়। এমনকি বিভিন্ন রকমের নেশা করে থাকে এই কম বয়সী ছেলেমেয়েরা। মেয়েদের নেশা করা অনেক বেশি ভয়াবহ। মেয়েরা বর্তমানে ছেলেদের সাথে নেশায় পাল্লায় এগিয়ে গেছে। আসলে মেয়েদের এই নেশা করা যে তাদের শরীরের জন্য কত বেশি ক্ষতিকর তা তারা নিজেও এই কম বয়সে বুঝতে পারে না। একটু বয়স হলে যখন বুঝতে পারে যে তাদের শরীরের ভেতরে কতটা ক্ষতি হয়েছে তখন আর কিছু করার থাকে না।

মেয়েদের এই বিভিন্ন খারাপ নেশার কারণে তাদের শরীরের এমন কিছু ক্ষতি হয়ে যেতে পারে যা লিভারের সমস্যা, হার্টের সমস্যা এমনকি তাদের মা হওয়ার ক্ষমতাও নষ্ট করে দিতে পারে। কিন্তু কম বয়সী মেয়েরা এসব কথা কিছুতেই বুঝতে পারে না। কারণ এই কম বয়সে তারা নিজেদেরকে অনেক বেশি কুল প্রমাণ করার চেষ্টায় লেগে থাকে এবং আশেপাশের বন্ধু-বান্ধবের সাথে মিশে অনেক বেশি খারাপ হয়ে যায় যে কারণে ভালো খারাপের পার্থক্য তারা করতে পারে না। আর এছাড়াও ছেলেদের শরীরের তুলনায় মেয়েদের শরীর অনেক বেশি কোমল হয়ে থাকে আর মেয়েদের শরীরে অনেক কিছু সিস্টেম চলতে থাকে যা এইসব ধূমপান বা নেশার কারণে ব্যাহত হয়। যার কারণে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের শরীরে ক্ষতিকারক যে কোন জিনিস অর্থাৎ মাদকদ্রব্য সিগারেট বা অন্য কোন নেশার দ্রব্য অনেক বেশি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে এবং অনেক দ্রুত শরীরের ক্ষতি করে থাকে। আমাদের এই পৃথিবীতে ভালো জিনিসের এবং ভালো খাবারের অভাব থাকলেও খারাপ খাবারের কোনই অভাব নেই তাই আমাদের শরীরে এমনি বিভিন্ন খাদ্যের দ্বারা ক্ষতি হয়ে চলেছে তারপরে আমরা জেনে বুঝেও অনেক বেশি ক্ষতি করে চলেছি।

বিভিন্ন ধরনের নেশার জিনিস ইচ্ছাকৃত ভাবে খেয়ে নিজের শরীরকে নষ্ট করার কোন মানে হয় না। তাই আমাদের অনেক বেশি নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন হওয়া দরকার এবং নিজের শরীরকে সবসময় সুস্থ রাখার চেষ্টা করা উচিত। আমাদের চারপাশে প্রচুর পরিমাণে খারাপ খাবার এবং খারাপ নেশাজাত দ্রব্য রয়েছে তাই বলে আমরা তাদের প্রতি কখনোই আকৃষ্ট হব না। এমনকি একবারের জন্য টেস্ট করে দেখার চেষ্টা করবো না। কারণ নেশা কখনো একদিনে হয় না নেশা তৈরি হয় একটু একটু করে। তাই প্রথম থেকেই খারাপ জিনিস এবং খারাপ নেশা থেকে দূরত্ব বজায় চলতে পারলে আমরা অনেক বেশি ভালো থাকতে পারবো। আর সবচেয়ে বেশি সচেতন হওয়া দরকার মেয়েদেরকে। বর্তমানে মেয়েদের সংখ্যা অনেক বেশি বেড়ে গেছে নেশা করার দিক থেকে। মেয়েরাই বর্তমানে অনেক বেশি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। মেয়েদেরকে সবসময় নিজের শরীর সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত কারণ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের মেয়েদের ওপরেই নির্ভরশীল। তাই আমরা আমাদের শরীরকে নেশা মুক্ত এবং সুস্থ রাখতে পারলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম অনেক বেশি সুস্থভাবে আসবে এবং সুস্থ থাকবে।


আশা করি আজকের পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করে অবশ্যই আমাকে জানাতে ভুলবেন না।