মেরুদন্ড সোজা রাখতে হবে।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ মেরুদন্ড সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
আসলে এই জীবনে মানুষের মত মানুষ হতে হলে সর্বপ্রথম আমাদের নিজেদের মেরুদন্ড সোজা রাখতে হবে। অর্থাৎ অন্যের সামনে কখনো আমরা মাথা নিচু করব না। এই পৃথিবীতে যারা নিজেদের মেরুদন্ড সোজা রেখে সবসময় সামনের দিকে এগিয়ে চলার চেষ্টা করে তারাই জীবনে উন্নতি লাভ করতে পারে এবং তাদের কাছে কোন ধরনের অন্যায় কাজ কখনো প্রশ্রয় পায় না। একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে যে সব কিছুর মূলে রয়েছে হলো মানুষের আচার আচরণ। অর্থাৎ মানুষের আচার-আচরণ যদি ভাল হয় তাহলে কিন্তু আমরা সেই মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে পারি এবং তাদের সঙ্গে মেলামেশা করতে পারি। কিন্তু মানুষের আচার-আচরণ যদি খারাপ হয় তখন আমরা কিন্তু তাদের সাথে মেলামেশা করব না।
একটা জিনিস আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে এই পৃথিবীতে আমরা যদি আমাদের নিজেদের মেরুদন্ড সোজা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারি এবং কোন ধরনের অন্যায় কাজকে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারি তাহলে কিন্তু প্রত্যেকটা মানুষ আমাদেরকে আলাদাভাবে ভালবাসবে এবং আমাদের থেকে তারা বিভিন্ন ধরনের ভালো শিক্ষা নিয়ে তারা নিজেদের জীবনে সেই জিনিসটা প্রয়োগ করার চেষ্টা করবে। একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে যে এই পৃথিবীতে মেরুদন্ড সোজা রাখতে গেলে সর্বপ্রথম নিজেকে অনেক বেশি শক্তিশালী অর্থাৎ মনের দিক থেকে শক্তিশালী হতে হবে। কেননা আপনার মন যদি দুর্বল থাকে তাহলে আপনি কখনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে পারবেন না।
আসলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটা জিনিস আমরা খেয়াল করে দেখেছি যে এই মানুষগুলোর মধ্যে এমন কিছু কিছু মানুষ রয়েছে যারা সব সময় মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে এবং কি করে মানুষের মেরুদন্ড নষ্ট করে তাকে অন্যায়ের সামনে মাথা নিচু করে দাঁড়ানোর চেষ্টা করাবে সেই জিনিসগুলো তারা সব সময় চেষ্টা চালিয়ে যায়। আসলে আপনি যদি আপনার মনোবল শক্ত রাখতে পারেন তাহলে কিন্তু তারা কখনো আপনার মেরুদন্ড নিচু করতে পারবে না। অর্থাৎ এই মানুষগুলো সব সময় মানুষকে আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করে এবং মানুষের সারা জীবনের ভালো কাজকর্ম গুলোকে মিথ্যে করে দিয়ে তাদেরকে খারাপ কাজকর্মের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আসলে এই মানুষদের থেকে দূরে থাকা আমাদের অবশ্যই উচিত।
আর আমরা যদি সবাই এভাবে মানুষের পাশে থেকে মানুষকে ভালবাসতে পারি এবং মানুষের মেরুদন্ড যাতে অন্যায়ের সামনে মাথা নত না করে এজন্য তাদেরকে যদি মনবল দিতে পারি তাহলে কিন্তু তারা অবশ্যই জীবনে মানুষের মত মানুষ হতে পারে এবং তারা কখনো কোনো ধরনের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে থেমে থাকবে না। আসলে এই ধরনের চরিত্র যদি আমরা প্রত্যেকটা মানুষের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে পারি তাহলে কিন্তু আমাদের দেশ থেকে অন্যায় অত্যাচার দূরে সরে যাবে এবং দেশে যে মানুষগুলো বসবাস করবে তারা অনেক বেশি সুখে শান্তিতে দিন কাটাতে থাকবে। এজন্য আমরা সব সময় মানুষের কাছে থেকে মানুষকে ভালোবাসার চেষ্টা করব এবং মানুষের সম্মান করার চেষ্টা করব।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
খুব গভীর এবং অনুপ্রেরণাদায়ক লেখা। সত্যিই, নিজের মেরুদণ্ড সোজা রেখে ন্যায়ের পথে চলা একজন মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি মনোবল। আপনি যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ, সাহস এবং ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য তুলে ধরেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে এমন চিন্তাভাবনারই প্রয়োজন। আপনার কথাগুলো অনেকের মনে দাগ কাটবে এবং নিশ্চয়ই মানুষকে ভালো ও সৎ পথে চলতে অনুপ্রাণিত করবে। এই চিন্তাধারা গুলো ছড়িয়ে দিন আরও বেশি করে সমাজ তখনই সুন্দর হবে।
একদম বাস্তবসম্মত কিছু কথা বলেছেন দাদা। আমাদের মেরুদন্ড সোজা রাখার জন্য প্রথমে নিজেকে শক্তিশালী হতে হবে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। দুর্বল মন মানসিকতা নিয়ে কোন কাজ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।আপনার কথাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ দাদা দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।