প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
কেমন আছেন " আমার বাংলা ব্লগ " পরিবারের সবাই ? আশাকরি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই খুব ভালো আছেন। আপনাদের আশীর্বাদে আমিও খুব ভালো আছি। আসলে আজ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে আমার কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশাকরি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
সোর্স
বর্তমান সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের পৃথিবীতে সব সময় যেন লেগেই আছে। কখনো খরা, কখনো বন্যা, কখনো ভূমিকম্প এবং কখনো ঝড়। এইতো কালই তো একটা বড় ঝড় হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের নামটি হল মোখা।
এই মোখার তাণ্ডব শেষ হতে না হতে আরেকটি ঝড় আসছে নাকি। ঝড়টির নাম হল ফ্যাবিয়েন এবং এই ঝড়টির গতিবেগ নাকি প্রতিদিনই বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটা শেষ হতে না হতেই আরেকটা শুরু হয়ে যাচ্ছে ঝড়।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন, এই সব প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য কারা দায়ী। আসলে আগেরকার সময় আমার মনে হয় এত বেশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল না। এছাড়াও বিভিন্ন মহামারী রোগও ছিল না। কিন্তু দিন দিন বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, নতুন নতুন রোগ আক্রান্ত হচ্ছে বহু মানুষ এবং এর ফলে সারা পৃথিবীতে বহু লোক মারা যাচ্ছে।
আসলে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আমরা মানুষ নিজেরাই দায়ী। দিন দিন পৃথিবীতে জনসংখ্যা অতিরিক্ত হারের বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য বেশি বাসস্থানের দরকার হয়। আর এই বাসস্থানের জন্য দরকার হয় অধিক পরিমাণ জমি। ফলে মানুষ গাছপালা কেটে বসবাসের উপযোগী জমি তৈরি করছে।
এই অতিরিক্ত গাছ কাটার ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে সারা বছর আমাদের এই পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে। এছাড়াও পৃথিবীর উষ্ণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পৃথিবীর মেরু অঞ্চলের বরফ গলে জলে পরিণত হচ্ছে। ফলে আমাদের এই পৃথিবীতে বন্যা সৃষ্টি হচ্ছে প্রায় প্রতিবছরই।
আসলে এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে একদিকে যেমন বহু মানুষ মারা যাচ্ছে অন্যদিকে আমাদের দেশের বিভিন্ন সম্পদের অনেক বেশি ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। এসব ক্ষয়ক্ষতির ফলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের গরীব শ্রেণীর লোকেরা।
এর থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের কৃষক শ্রেণীর লোকেরা। আমরা কিন্তু প্রায় প্রতিবছরই দেখি ধান কাটার সময় অতিরিক্ত হারে বৃষ্টি হবার ফলে এইসব কৃষকদের অধিকাংশই ফসলই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও অতিরিক্ত খরার ফলে তারা তাদের জমিতে ফসল করাতে পারেনা। আর এজন্যই আমরা সংবাদপত্রে দেখতে পাই প্রায় প্রতিবছরই বহু সংখ্যক কৃষক আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
একদিক দিয়ে যেমন বিভিন্ন সাধারণ শ্রেণীর লোকেদের ক্ষতি হচ্ছে। অন্যদিকেও দেশের জেলে শ্রেণীর লোকেদেরও অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে। অতিরিক্ত ঝড় বৃষ্টি ফলে তারা সমুদ্রের মাছ ধরতে যেতে পারে না। এর ফলে তাদের সংসারে অভাব-অনাটন সব সময় লেগেই থাকে। এছাড়াও অনেক ছেলের প্রাণ যায় ঝড়ের রাতে মাঝ সমুদ্রে।
এছাড়াও বহু সংখ্যক লোকেদের ঘরবাড়ি ভেঙে যায় এই ঝড়ের কারনে। অর্থের অভাবে তারা পাকা বাড়ি করতে পারেনা। ঝড়ের রাতে এসব কাঁচা বাড়ি খুব সহজেই ভেঙে যায়। এরপর এই বাড়ির নিচে চাপা পড়ে মারা যায় বহু সংখ্যক লোক।
কিন্তু এই সব কিছুর পিছনে মানুষের হাত রয়েছে। মানুষ বিভিন্নভাবে প্রাকৃতিক দূষণ করছে। আর এসব প্রাকৃতিক দূষণের ফলে এইসব দুর্যোগ বড় আকার ধারণ করছে। আর এর ফলে মারাও যাচ্ছে বহু সংখ্যক লোক।
তাই আমাদের উচিত প্রকৃতি যাতে দূষিত না হয় সেই সব কাজ আমাদের সর্বদা করতে হবে। এছাড়াও আমাদের অনেক বেশি করে গাছ লাগাতে হবে। আরেকটি বড় সমস্যা হলো অতিরিক্ত জনসংখ্যা। এই অতিরিক্ত জনসংখ্যা সম্পর্কে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।
আশাকরি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের খুব ভালো লেগেছে। আর ভালো লাগলে কমেন্ট করতে অবশ্যই ভুলবেন না।
সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভাল লেগেছে আমার। এরকম জনসচেতনতা মূলক পোস্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি ঠিক বলেছেন প্রাকৃতিক দূর্যোগ মানুষের সৃষ্টি। আমাদের আরাম-বিলাসের জন্য প্রতিনিয়ত প্রকৃতিকে ধবংস করছি। আর প্রাকৃতিক দূর্যোগ মানেই কৃষক আর নিম্ন আয়ের মানুষের হাহাকার। আসুন আমাদের পৃথিবীকে আমরা বাচাই-বেশি করে গাছ লাগাই। শুভ কামনা আপনার জন্য।
আসলে আমাদের সবাইকেই খুব দ্রুত সচেতন হতে হবে । তা না হলে একসময় পৃথিবীটাই ধ্বংস হয়ে যাবে।
ভাইয়া অনেক সুন্দর এবং সময়োপযোগী একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি। আসলে ভাইয়া বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংগঠিত হচ্ছে। আর সকল ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংগঠিত হওয়ার প্রধান কারণ হলো নিয়মিত গাছপালা কেটে বন ধ্বংস করা। বন ধ্বংস করার ফলে দিন দিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি বাড়ছে। ফলে যে কোন সময় যে কোন ধরনের মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগ গুলো সংগঠিত হচ্ছে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদেরকে সার্বিকভাবে সচেতন হতে হবে। অসাধারণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।