জেনারেল রাইটিং পোস্ট || শৈশবের ঈদের সাথে এখনকার ঈদের আকাশ পাতাল পার্থক্য

in আমার বাংলা ব্লগ9 days ago

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,শৈশবের ঈদের সাথে এখনকার ঈদের আকাশ পাতাল পার্থক্য। দেখতে দেখতে রমজান মাস শেষ হয়ে গেলো এবং গতকালকে ঈদের দিনটাও অতিবাহিত হয়ে গেলো। এবার রমজান মাসটা মনে হচ্ছে খুব দ্রুত অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে। কারণ প্রথমত রমজান মাসে ওয়েদার বেশ ভালো ছিলো। অর্থাৎ হাতেগোনা কয়েক দিন ছাড়া, গরমের তীব্রতা তেমন ছিলো না। দ্বিতীয়ত ছোট দিন ছিলো। তাই রোজা রাখতে একেবারেই কষ্ট হয়নি। তবে রমজান মাস শেষ হয়ে গিয়েছে বলে আফসোস হচ্ছে। কারণ এই মাসে আমল করলে অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।


kids-4263581_1280.jpg

Source


তাই মুসলিমরা সারাবছর রমজান মাসের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। যাইহোক মূল কথায় ফেরা যাক,শৈশবে ঈদের আনন্দটাই ছিলো অন্য রকম। বিশেষ করে চাঁদ রাতে যে কি পরিমাণে আনন্দ লাগতো, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এককথায় বলতে গেলে,আমরা যখন চাঁদ দেখতাম,তখন খুশিতে লাফালাফি করতাম। তারপর দলবেঁধে সবাই পুরো মহল্লায় ঘুরাঘুরি করতাম। তাছাড়া আমরা প্ল্যান করতাম ঈদের ৭ দিন, আমরা কোথায় কোথায় ঘুরাঘুরি করবো এবং কি কি করবো। তাছাড়া সালামি কার কার কাছ থেকে নিবো,সেই প্ল্যান করে রাখতাম হা হা হা। তখন ঈদের আমেজ নূন্যতম ৭ দিন থাকতো। ঈদের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ভালোভাবে গোসল করে নিতাম এবং তারপর নতুন পাঞ্জাবি পরিধান করে, ঈদগাহে চলে যেতাম ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য।


তারপর নামাজ শেষ করে বাসায় এসেই মজার মজার খাবার খেয়ে, নতুন জামাকাপড় পরিধান করতাম। তো রেডি হওয়ার পর, সর্বপ্রথম বাসায় থাকা মুরুব্বিদের সালাম করতাম এবং সালামি নিতাম। তারপর চলে যেতাম আত্নীয় স্বজন এবং প্রতিবেশীদের বাসায়। তো কারো বাসায় যাওয়ার পর খাবার খেতে দিলে না খেয়ে, সালামি নিয়েই বাসা থেকে বের হয়ে যেতাম। কারণ খাবার খেয়ে সময় নষ্ট করার কোনো মানেই নেই হা হা হা। তাছাড়া টার্গেট তো থাকতো অনেক বড়। অনেকের বাসায় গিয়ে সালামি নেওয়াটা তো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যাইহোক সালামি নেওয়ার পর সবাই মিলে কাউন্ট করতাম কে কতো টাকা পেলো। সেই সময়টা সবচেয়ে বেশি উপভোগ করতাম। যে সবচেয়ে বেশি সালামি পেতো,সে সবচেয়ে বেশি ভাব নিতো হা হা হা।


যাইহোক সেই সালামি দিয়ে একেক দিন একেক পার্কে ঘুরতে যেতাম এবং পুরো ঈদটা সেই উপভোগ করতাম। আর এখনকার ঈদের কথা যদি বলি,চাঁদরাতে তো চাদ দেখতেই পারি না। তারপর ঘোষণা শুনে জানতে পারি যে আগামীকালকে ঈদ। অর্থাৎ ২৯ রোজা হলেই এমনটা হয়। আর ঈদুল ফিতরের দিন তো ঈদের নামাজ আদায় করার পর কোনো কাজ-ই থাকে না। অর্থাৎ বাসায় এসে কিছুক্ষণ ঘুমানোর পর বন্ধুদের সাথে এলাকায় একটু আড্ডা দেই। তারপর বিকেলে একটু ঘুরাঘুরি করার পরেই ঈদের আমেজ শেষ হয়ে যায়। যাইহোক কালকে থেকেই এই ব্যাপারটা ভাবছিলাম। আর আপনাদের সাথে এই ব্যাপারটা পোস্ট আকারে শেয়ার করতে পেরে আরও বেশি ভালো লাগছে।



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S24 Ultra
তারিখ১.৪.২০২৫
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 9 days ago 
 9 days ago 

শৈশবের একটি বিষয় আমার খুব মনে পড়ে। তখন ঈদের সময় একটাকা দুই টাকা করে কাগজের টুপি বিক্রি করা হতো। সেই টুপি পেয়ে কত যে খুশি হতাম সেটা বলে বুঝানো যাবে না।

 9 days ago 

শৈশবের বেশ কিছু বিষয় প্রায়ই মনে পড়ে। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।