জেনারেল রাইটিং পোস্ট || এমন স্বার্থপর সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাও অনেক ভালো
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,এমন স্বার্থপর সন্তান থাকার চেয়ে না থাকাও অনেক ভালো। আসলে আমি সবসময়ই চেষ্টা করি, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে জেনারেল রাইটিং শেয়ার করার। তাছাড়া বাস্তবে যা ঘটে, সেগুলো পোস্ট আকারে তুলে ধরার চেষ্টা করি। যাতে করে আপনারাও বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পেতে পারেন। আসলে প্রতিটি মা বাবা অনেক কষ্ট করে সন্তানদের লালন পালন করে থাকেন। তাছাড়া তারা মনেপ্রাণে এটা চান যে,তাদের বৃদ্ধ বয়সে সন্তানেরা তাদের পাশে দাঁড়াবে এবং এটা একেবারেই যুক্তিযুক্ত। কারণ বৃদ্ধ বয়সে সবারই শেষ সম্বল হচ্ছে নিজের সন্তান।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে,বর্তমানে বেশিরভাগ সন্তান মা বাবার বৃদ্ধ বয়সে তাদের পাশে থাকে না। এমনকি তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব পর্যন্ত নেয় না। যাইহোক মূল কথায় ফেরা যাক,২ দিন আগে ওয়াইফকে নিয়ে হসপিটালে গিয়েছিলাম। ডক্টর দেখাতে দেখাতে রাত হয়ে গিয়েছিল। তো ডক্টর দেখিয়ে যখন হসপিটাল থেকে বের হলাম, তখন দেখি জুম বৃষ্টি হচ্ছে। হসপিটালের নিচে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। তো বৃষ্টি কিছুটা কমার পর,একটা রিকশা পেলাম। যদিও লোকটা ছিলো বয়স্ক এবং সেই রিকশা তে মটর লাগানো ছিলো না। অর্থাৎ প্যাডেল চালিত রিকশা আর কি। যাইহোক আমরা দু'জন রিকশা তে উঠলাম ঠিকই, কিন্তু লোকটার জন্য খারাপ লাগছিলো। তাছাড়া অল্প কিছুক্ষণ রিকশা চালানোর পর,লোকটা ক্লান্ত হয়ে গেলো। যেহেতু বৃষ্টি হচ্ছিলো,তাই তাপমাত্রা বেশি ছিলো না।
কিন্তু লোকটা তবুও ক্লান্ত হয়ে গেলো। তাই লোকটা রিকশা থামিয়ে বললো একটু পানি পান করবে। তো লোকটা পানি পান করে আবারও রিকশা চালানো শুরু করলো। তারপর লোকটাকে আমি অনেক কথা জিজ্ঞেস করলাম। লোকটা বললো উনি নাকি স্ট্রোক করেছিলেন গত বছর। তারপর থেকে শরীরটা বেশ খারাপ। একটু কাজ করলেই শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। তাছাড়া উনার দুই ছেলে নাকি একেবারেই খোঁজ খবর নেয় না। তাই বাধ্য হয়ে লোকটা রিকশা চালিয়ে জীবনযাপন করে। আমি ওনাকে বললাম মটর চালিত রিকশা নেওয়ার জন্য। তাহলে তো কষ্ট অনেক কম হয়। তো তিনি বললেন, মটর চালিত রিকশা চালালে,প্রতিদিন ৫০০/৬০০ টাকা জমা দিতে হয় রিকশার মালিককে। তাই তিনি প্যাডেল চালিত রিকশা চালিয়ে থাকেন।
তো উনি কথায় কথায় অনেক কিছু শেয়ার করলেন। উনার দুই ছেলে নাকি মোটামুটি ভালোই চাকরি করে। কিন্তু তবুও তাদের কোনো খোঁজ খবর নেয় না। তো রিকশা চালিয়ে বুড়া-বুড়ির সংসার নাকি কোনো রকমে চলে যায়। কথাগুলো শুনে সত্যিই খুব খারাপ লাগছিলো। সন্তান কতটা নির্দয় হলে এমন কাজ করতে পারে। আসলে প্রতিটি সন্তানের উচিত মা বাবার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়া। যাইহোক আমরা দু'জন নবীগঞ্জ ঘাটে নেমে গেলাম। রিকশা ভাড়া ছিলো ৩০/৪০ টাকা। কিন্তু লোকটাকে আমি ৮০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়েছিলাম। আসলে এমন লোকদের একটু সাহায্য করতে পারলেও খুব ভালো লাগে। যাইহোক কথাগুলো মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২৮.৭.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1949773678520234461?t=u9Wttg2ZtjbawEMbOK0Iww&s=19
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.