জেনারেল রাইটিং পোস্ট || সাকাফ এবং ওয়াফি এর সাথে প্রথম ঈদ কাটালাম

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,সাকাফ এবং ওয়াফি এর সাথে প্রথম ঈদ কাটালাম। প্রথমেই সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানেই আনন্দ। ঈদের সময় এমনিতেই আনন্দ লাগে। আর এই বছর সেই আনন্দ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ এই বছর আমার দুই ছেলের সাথে প্রথম ঈদ কাটালাম। আপনারা অনেকেই জানেন যে,প্রায় ২ মাস আগে আমার টুইন ছেলের জন্ম হয়। তো তাদের জন্মের পর এটাই ছিলো প্রথম ঈদ। আমি গত সপ্তাহে ওদের জন্য ঈদের জামা কাপড় কিনতে মার্কেটে গিয়েছিলাম। যদিও ওরা প্রিম্যাচিউর বেবি,তাই তাদের ড্রেস কিনতে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে তাদের জন্য দুই সেট ড্রেস কিনতে পেরেছিলাম।


IMG-20250607-WA0013.jpg


কারণ এতো ছোট সাইজের ড্রেস খুবই কম পাওয়া যায়। তাছাড়া পাওয়া গেলেও,তেমন পছন্দ হয় না। ড্রেস কেনার পর,ওদের দুজনের জন্য ড্রেসের সাথে ম্যাচিং করে জুতা কিনে নিলাম। যাইহোক আজকে ফজর নামাজের আগে ঘুম থেকে উঠে, মসজিদে চলে গেলাম ফজরের নামাজ আদায় করতে। নামাজ আদায় করে বাসায় এসে,অল্প কিছুক্ষণ ঘুমালাম। তারপর সকাল ৭টার পর ঘুম থেকে উঠে,আমাদের গ্যারেজে চলে গেলাম। কারণ সেখানে কোরবানির পশু বেঁধে রেখেছিলাম। তো প্ল্যান ছিলো প্রথমে কোরবানির পশুকে গোসল করাবো,তারপর আমি গোসল করে মসজিদে যাবো ঈদের নামাজ আদায় করতে। কিন্তু গ্যারেজে গিয়ে দেখলাম, আব্বু আগেই কোরবানির পশুকে গোসল করিয়েছে। তারপর আমি গোসল করে মসজিদে চলে গেলাম ঈদের নামাজ আদায় করতে। আমাদের মসজিদে ঈদের নামাজ আজকে সকাল ৮টা বাজে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।


যাইহোক নামাজ আদায় করে বাসায় এসে দেখলাম, আমার দুই ছেলে সাকাফ এবং ওয়াফি কে ঈদের জামাকাপড় পরিধান করিয়ে,একেবারে রেডি করে দিয়েছে। তারপর আমি তাদের সাথে একটু দুষ্টামি করলাম এবং তাদেরকে ঈদ সালামি দিলাম। এরপর কোরবানির সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করতে করতে বেলা ৩টা বেজে যায়। তারপর জোহরের নামাজ আদায় করে খাওয়া দাওয়া করলাম। এরপর একটু রেস্ট নিয়ে, দুই ছেলেকে নিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করলাম বাসার মধ্যেই। কারণ ওদেরকে এখন বাহিরে নিয়ে যেতে ডক্টর নিষেধ করেছে। একমাত্র হসপিটালে যেতে হলে তাদেরকে বাসা থেকে বের করি। যাইহোক এবারের ঈদটা সত্যিই খুব ভালো কেটেছে। আপনারা সবাই আমার দুই ছেলের জন্য দোয়া করবেন। যাতে করে তারা দু'জন সুস্থ থাকে সবসময়।



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিজেনারেল রাইটিং
ফটোগ্রাফার@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S24 Ultra
তারিখ৭.৬.২০২৫
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Sort:  
 2 months ago 

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 2 months ago 

এক জন ঘুমিয়ে আছে আরেকজন তাকিয়ে আছে। আপনার দুই ছেলেকে অনেক সুন্দর লাগছে, মাশাল্লাহ। যখন আপনার আঙুল ধরে ঈদগাহে যাবে তখন অনুভূতি বুঝবেন।

 2 months ago 

হ্যাঁ ভাই দোয়া করবেন ওদের জন্য। পোস্টটি পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

পোস্টটি খুব সুন্দর হয়েছে! নতুন বন্ধু বা পরিচিতদের সাথে ঈদ কাটানোর অভিজ্ঞতা সত্যিই অনন্য।আপনি আপনার সন্তানের সাথে প্রথম ঈদ কাটালেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। সামনে আরও এমন সুন্দর মুহূর্ত আসুক, এই শুভকামনা রইল।

 2 months ago 

দুই ছেলের সাথে প্রথম ঈদ কাটাতে পেরে সত্যিই খুব ভালো লাগছে। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

ডাক্তার যেহেতু নিষেধ করেছে তাই বাহিরে না নিয়ে যাওয়াই ভালো। সত্যি ভাইয়া এত ছোট ছোট জামা খুজে বের করা অনেক কঠিন। আর এত ছোট সাইজের জামা ভালো পাওয়া যায় না। তবুও বেশ ভালো যে আপনি কিনতে পেরেছেন। দুজনকে দেখে খুবই ভালো লাগলো। বাবুদের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো। তারা যেন সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠে এই প্রার্থনা করি।

 2 months ago 

হ্যাঁ আপু অনেক কষ্টে ওদের জন্য ড্রেস খুঁজে পেয়েছিলাম। পোস্টটি পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 months ago 

ভাইয়া আপনার ছেলে দুইজনের জন্য প্রথমে দোয়া রইল। তবে ভাইয়া ছেলেমেয়েদের সাথে প্রথম ঈদ করার মজাই আলাদা। কারণ এই স্মৃতিগুলো জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মনে থাকে। আর ছোট বাচ্চাদের কাপড়চোপড় মার্কেটে পাওয়া কষ্টকর। দোয়া করি যেন সারা জীবন আপনার পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে এবং এভাবে ঈদ করতে পারেন।

 2 months ago 

আপনি ঠিক বলেছেন ভাই,এই স্মৃতি গুলো সারাজীবন মনে থাকবে। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

ভাইয়া প্রথমে আপনার দুই পুত্র সাকাফ এবং ওয়াফি এর জন্য দোয়া রইল। তবে ভাইয়া ছোট বাচ্চাদের বাইরের কম নেওয়া উত্তম। আর যেহেতু আপনাদের ডাক্তার তাদেরকে বাইরে নিতে মানা করেছে সেই হিসেবে না নেওয়াই ভালো। তবে ছোট বাচ্চাদের কে একটু সাবধানে রাখা উত্তম। আপনার ছেলেদের সাথে প্রথম ঈদ করেছেন এই খুশিটি অনেকদিন মনে থাকবে। আমার মেয়ের সাথে প্রথম ঈদ করার অনুভূতি আমার এখনো সব সময় মনে পড়ে। দোয়া রইল আপনার ছেলেদের জন্য আবারো।

 2 months ago 

বেশ ভালো লাগলো আপু আপনার মন্তব্য পড়ে। আমার দুই ছেলের জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন।

 2 months ago 

আপনার দুই পুত্র সন্তানের জন্য দোয়া ও ভালোবাসা রইলো৷ ওদের অসুস্থতার কথা অনেক আগে থেকে শুনে আসছি। ডাক্তার ওদেরকে বাইরে নিতেও মানা করেছে। আসলে বাচ্চাদেরকে বাইরে নেওয়া ঠিক না৷ আর তাদেরকে সবসময় যত্ন করা উচিত৷ সবসময় আপনি যত্নের মধ্য দিয়ে আপনি রেখে আসছেন৷ আর আজকে তাদের সাথে এই উদযাপন করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগছে৷ আসলে এরকম মুহুর্ত উপভোগ করার মধ্যে একটি আলাদা আনন্দ কাজ করতে থাকে৷ এরকম মুহূর্ত সবসময় মনে থেকে যাবে৷

 2 months ago 

হ্যাঁ ভাই আমার দুই ছেলেকে সবসময়ই যত্ন করার চেষ্টা করছি। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।