জেনারেল রাইটিং পোস্ট || মৃত্যুর সময়ও ভালোবাসার মানুষ পাশে ছিলো না

in আমার বাংলা ব্লগ29 days ago (edited)

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,মৃত্যুর সময়ও ভালোবাসার মানুষ পাশে ছিলো না। একেবারে সমসাময়িক একটি ঘটনা শেয়ার করবো আজকে। আসলে ভালোবাসার চেয়ে মূল্যবান কিছু পৃথিবীতে আর নেই। কিন্তু সেটা অবশ্যই সত্যিকারের ভালোবাসা হতে হবে। কারণ সত্যিকারের ভালোবাসায় কোনো স্বার্থ থাকে না। স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা যদি পবিত্র হয়,তাহলে তাদের মতো সুখী আর কেউ নেই পৃথিবীতে। তাহলে একে অপরের সুখ দুঃখের সাথী হয়ে সারাজীবন পার করে দিতে পারে। যদিও এমন পবিত্র সম্পর্ক বর্তমানে কম-ই দেখা যায়।


man-8352686_1280.jpg

Source


যাইহোক মূল কথায় ফেরা যাক, আমাদের পাশের মহল্লার একটি মধ্যবয়স্ক লোক ৩ দিন আগে মারা গিয়েছেন। লোকটার নাম ছিলো রশিদ। শুনলাম লোকটা নাকি ৪/৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছে,কিন্তু উনার সেবা যত্ন করার কোনো মানুষ ছিলো না। যেমন উনার ছেলে মেয়ে উনার কোনো খোঁজ খবর রাখে না দীর্ঘদিন ধরে। তাছাড়া উনার স্ত্রী নিজের বাবার বাড়িতে গিয়েছেন ২/৩ মাস আগে। তো লোকটা বেশ কিছুদিন ধরে একাকী জীবনযাপন করছিলো। রশিদ মিয়া যখন প্রচন্ড জ্বরে ভুগছিলো,তখন উনার স্ত্রীর কাছে খবর পাঠানো হয়েছে। তবুও রশিদ মিয়ার স্ত্রী বাসায় আসেনি। উনার স্ত্রী ভেবেছিল এমনিতেই জ্বর এসেছে। তাই তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি। যদিও এটা একেবারেই উচিত হয়নি রশিদ মিয়ার স্ত্রীর।


তো ৩ দিন আগে রশিদ মিয়ার প্রতিবেশী যখন রশিদ মিয়ার ঘরে প্রবেশ করে, তখন দেখতে পায় রশিদ মিয়ার শরীর প্রচন্ড খারাপ। তাই উনি আরও লোক সাথে নিয়ে রশিদ মিয়াকে হসপিটালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার পথে রশিদ মিয়ার মৃত্যু হয়। আসলে রশিদ মিয়ার তীব্র জ্বর ছিলো ঠিকই, কিন্তু রশিদ মিয়া ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলো। আর এমন একজন অসুস্থ মানুষকে রেখে উনার স্ত্রী কিভাবে যেতে পারলো,সেটা সবাই বলাবলি করছে। শুনলাম রশিদ মিয়ার নাকি আগে কিছু বাজে স্বভাব ছিলো। আর সেজন্য নাকি উনার স্ত্রী একবার নিজের বাবার বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন এবং ২/৩ বছর পর রশিদ মিয়ার বাসায় ফিরে এসেছিল। তো এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনা রয়েছে তাদের।


কিন্তু অতীতে যা-ই ঘটুক না কেনো, রশিদ মিয়ার মতো এমন অসুস্থ মানুষকে রেখে, নিজের বাড়িতে যাওয়াটা একেবারেই উচিত হয়নি রশিদ মিয়ার স্ত্রীর। তাই উনাকে অনেক কথা শুনিয়েছে অনেক মানুষ। যদিও মহিলা প্রচন্ড কান্নাকাটি করছে রশিদ মিয়ার জন্য। তবে উনি যদি রশিদ মিয়ার পাশে থাকতেন, তাহলে হয়তোবা রশিদ মিয়ার এই অবস্থা হতো না। রশিদ মিয়ার জন্য সবাই আফসোস করে। ঘটনাটি আসলেই হৃদয়বিদারক। এমন ঘটনা যাতে অন্য কারো সাথে না ঘটে, সেই কামনা সবসময়ই করি। যাইহোক ভাবলাম এই ঘটনাটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলে একটু ভালো লাগবে। আর সেটা ভেবেই এই পোস্টটি শেয়ার করা। সবশেষে একটি কথা বলতে চাই,নিজের ভালোবাসার মানুষকে বেশি বেশি ভালোবাসুন এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে ভালোবাসার মানুষের পাশে থাকুন। তাহলে জীবনটা সার্থক হয়ে যাবে।



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিজেনারেল রাইটিং
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S24 Ultra
তারিখ১৪.৭.২০২৫
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Sort:  
 29 days ago 

ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:

GridArt_20250714_235339121.jpg

https://x.com/mohin3242127/status/1944743308296945912?t=n8yMjrbxQoTuQxRcv4f26Q&s=19

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 29 days ago