জেনারেল রাইটিং পোস্ট || আমাদের জীবনের এক সেকেন্ডেরও নিশ্চয়তা নেই
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে, আমাদের জীবনের এক সেকেন্ডেরও নিশ্চয়তা নেই। মাসেক খানেক আগে আমি মদনপুর থেকে যাত্রাবাড়ীর দিকে যাচ্ছিলাম এবং যখন চিটাগাং রোড ক্রস করলাম, তখন দেখলাম রাস্তার এক পাশে প্রচুর ভিড়। তো ভিড় দেখে ধারণা করেছিলাম হয়তো বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেছে। তারপর আমি সাথে সাথে গাড়ি থেকে নেমে দেখার চেষ্টা করলাম কি হয়েছে। ভিড় ঠেলে সামনে গিয়ে দেখলাম দুটি ছেলে রাস্তায় পড়ে আছে এবং দু'জন দুইদিকে।
তাছাড়া একটু সামনে একটি বাইক থামানো। বাইক দেখে আমি ধারণা করেছিলাম, হয়তোবা ছেলে দুটি বাইকে ছিলো এবং কোনো গাড়ি পিছন থেকে ধাক্কা দিয়ে তাদেরকে ফেলে দিয়েছে। তো পরবর্তীতে লোকজনের কাছ থেকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম, একটি মালবাহী ট্রাক নাকি বাইকের পিছন দিকে ধাক্কা দেয় এবং এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। বাইকের মধ্যে থাকা ছেলে দুটি সাথে সাথেই মারা যায়। সেই মালবাহী ট্রাক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে সাথে সাথেই চলে যায় এবং কেউ আটকাতেও পারেনি ট্রাকটিকে। ছেলে দুটির অবস্থা দেখে আমার নিজেরই ভয় লেগেছিল। তাই আমি কোনো ফটোগ্রাফি করিনি। আসলে এমন ভয়ানক দুর্ঘটনা দেখলে বেশ খারাপ লাগে।
আমি এর আগেও বেশ কয়েকবার এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা দেখেছিলাম এবং প্রায় প্রতিটি দুর্ঘটনা বাইককে কেন্দ্র করেই। আসলে বাইক দুর্ঘটনায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যু হয়। যাইহোক থানায় ফোন করা হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে আসবে বলে সবাই সেখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলো। তো আমার প্রয়োজনীয় কাজ ছিলো বলে,সেখানে বেশিক্ষণ না দাঁড়িয়ে আবার আরেকটি গাড়িতে উঠে যাত্রাবাড়ীর দিকে চলে গিয়েছিলাম। আসলে বাইক খুব সাবধানে চালাতে হয়। তাছাড়া হাইওয়ে রোডে তো আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যাইহোক আমাদের জীবনটা আসলেই খুব ছোট। আর এই ছোট্ট জীবনটা যে কিভাবে পার হয়ে যাচ্ছে, সেটা আমরা অনেক সময় টেরই পাই না।
তাছাড়া মৃত্যুর চেয়ে সত্য আর কিছুই হতে পারে না। অর্থাৎ আমাদেরকে অবশ্যই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে একদিন না একদিন। তাই মৃত্যুর জন্য সবাইকে সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। সেজন্য জীবিত থাকা অবস্থায় বেশি বেশি ভালো কাজ করতে হবে। তাহলে আমাদের মৃত্যুর পরেও মানুষজন আমাদেরকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে এবং মহান সৃষ্টিকর্তাও সেজন্য আমাদেরকে পুরষ্কৃত করবেন। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ সবকিছু জানা সত্ত্বেও এসব মানতে চায় না। মানুষের উপকার করবে তো দূরে থাক,বরং মানুষ ঠকানোর চিন্তায় থাকে সারাক্ষণ। যাইহোক সবার শুভবুদ্ধির উদয় হোক সেই কামনা করছি। সর্বোপরি আমাদেরকে অবশ্যই মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করতে হবে। তাহলে আমাদের দ্বারা পাপকর্ম কম হবে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২৩.২.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
আমাদের জীবনের এক সেকেন্ডেরও নিশ্চয়তা নেই।মৃত্যুর স্বাদ আমাদের সকলকে গ্রহণ করতে হবে এ কথা আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই।আমি এই গত কয়েকদিন আগে একটা মটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজনকে সামনাসামনি মৃত্যু বরণ করতে দেখেছি। আপনি আজকে চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
আসলে বাইক এক্সিডেন্ট গুলো বেশ মর্মান্তিক হয়ে থাকে। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মৃত্যুর স্বাদ আমাদের সকলকে গ্রহণ করতে হবে এ কথা আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাই। রাস্তার ধারে এমন দুর্ঘটনা গ্রস্থ কাউকে দেখলে শরীর মন সবই খারাপ হয়ে যায়। আপনার ঘটনাটি শুনে আমারই মন খারাপ হয়ে গেল। তবে জীবনের কোন নিশ্চয়তা নেই একথা একদম ঠিক। তাই সব সময় নিজেকে অপরাধমূলক কাজ থেকে দূরে রাখা উচিত।
আসলেই দাদা ঘটনাটি দেখে খুব খারাপ লেগেছিল। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
X-promotion
ভাই পোস্ট টি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো।আসলে আমি এইরকম অনেক দুর্ঘটনার কথা শুনছি।আর সেটা মালবাহী ট্রাকের সাথে। যাইহোক একদিন না একদিন সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তাই আমাদের সবার উচিত মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হওয়া। ধন্যবাদ ভাই পোস্ট টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই আমাদের উচিত মৃত্যুর জন্য সদা প্রস্তুত থাকা। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিপদ বা দুর্ঘটনা যেকোনো মুহূর্তে চলে আসতে পারে এটার কোন নিশ্চয়তা নেই। তবে যারা বাইক ড্রাইভ করে তাদের সাবধানে চলাচল করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ট্রাক অথবা বাস ড্রাইভার বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে বাইকারদের দোষ না থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে কোন না কোন ভাবে এক্সিডেন্ট করিয়ে ফেলে। আসলে মৃত্যু যখন আসবে যে কোন মুহূর্তেই চলে আসতে পারে। এটার জন্য কারো হাত থাকবে না। ছেলেগুলোর কথা ভাবতেই যেন খারাপ লাগছে।
আসলে আমাদের দেশের গাড়ি চালকরা ট্রাফিক রুলস সেভাবে ফলো করে না বলেই তো এমন দুর্ঘটনা গুলো ঘটে থাকে। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সময় বাইকাররাও বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালায়।সে ক্ষেত্রে তাদেরও দোষ থাকে ভাইয়া।
সেটা তো অবশ্যই। বিশেষ করে উঠতি বয়সের তরুণেরা একদম বেপরোয়াভাবে বাইক চালায়। ফলস্বরূপ অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হয়।
এটা সত্যি খুব মর্মান্তিক ঘটনা, এমন দুর্ঘটনা দেখে যে কারও মন খারাপ হয়ে যায়। বাইক দুর্ঘটনায় বিশেষ করে প্রাণহানির ঘটনা তো প্রায়ই ঘটে, এবং রাস্তার নিরাপত্তা নিয়ে আরও বেশি সচেতন হতে হবে আমাদের। মৃত্যুর অমোঘ সত্যি আমরা সবাই জানি, তাই আমাদের জীবন যেন সদ্ব্যবহারে কাটে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। সবার জন্য শুভ কামনা, যেন সবাই ভালোভাবে সচেতন থাকে এবং প্রতিদিন ভালো কাজের মাধ্যমে জীবনকে পূর্ণতা দেয়।
আসলে আমাদের দেশের বেশিরভাগ ট্রাক ড্রাইভার বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায়। আর সেজন্যই এতো দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া আমাদের জীবনের এক সেকেন্ডেরও গ্যারান্টি নেই। কারণ মানুষের মৃত্যু কোনো না কোনোভাবেই আসবে। সত্যি দুঃখজনক বাইক এক্সিডেন্টে ছেলে দুটি মারা গেল। তবে বেশিরভাগ এক্সিডেন্ট হয় পিছন থেকে বা অন্য গাড়ি ধাক্কা মারে এই কারণে এক্সিডেন্ট হয়। আর এই ধরনের মরণ গুলো কেউ কামনা করে না।
এই ধরনের মৃত্যু গুলো মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।