জেনারেল রাইটিং পোস্ট || শৈশবের বৃষ্টির দিনগুলো সত্যিই খুব মিস করি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,শৈশবের বৃষ্টির দিনগুলো সত্যিই খুব মিস করি। এই বছর গরমের তীব্রতা আসলেই অনেক বেশি। কিন্তু কয়েকদিন ধরে মোটামুটি ভালোই বৃষ্টি হচ্ছে। তাই তাপমাত্রা কিছুটা কম বলে,ঘুমটা বেশ ভালো হচ্ছে। তীব্র গরমে ঝুম বৃষ্টি হলে সত্যিই বেশ আনন্দ লাগে। ইচ্ছে করে বৃষ্টিতে ভিজতে। যদিও বৃষ্টিতে ভিজতে এখন এক প্রকার ভয় লাগে। কারণ বৃষ্টিতে ভিজলেই আমার সর্দি ঠান্ডা লেগে যায়। যাইহোক বৃষ্টির দিনগুলোতে শৈশবের স্মৃতি প্রায়ই মনে পড়ে। কারণ শৈশবে বৃষ্টি হলেই, আমরা বল নিয়ে মাঠে চলে যেতাম ফুটবল খেলার জন্য।
আমরা মূলত শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে থাকা বিশাল বড় মাঠে ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলতাম। যদিও বেশিরভাগ সময় আমরা ক্রিকেট খেলতাম মাঠে। কিন্তু বৃষ্টির দিনে তো আর ক্রিকেট খেলা সম্ভব নয়। তাই বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলতে হতো। তবে বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলতে যে কি আনন্দ লাগে, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তাছাড়া ফুটবল খেলার সময় ধাক্কাধাক্কি তো প্রচুর হতো। এর ফলে মাঠের মধ্যে পড়ে যেতাম। অনেক সময় একে অপরের উপরেই পড়ে যেতাম। মাঠের মধ্যে বেশ ভালোই ঘাস ছিলো তখন। তাই পড়ে গেলেও ব্যথা পেতাম না তেমন। বরং বেশ ভালোই লাগতো তখন। তাছাড়া ফুটবল খেলা শেষ হলে,আমরা শীতলক্ষ্যা নদীতে নেমে,জামাকাপড় মোটামুটি পরিষ্কার করে বাসায় যেতাম। কারণ জামাকাপড়ের মধ্যে যদি কাঁদা লেগে থাকতো, তাহলে বাসায় গিয়ে তো আম্মুর হাতে মার খেতে হতো হা হা হা।
শৈশবে কিন্তু এসব কারণে আম্মুর হাতে প্রায়ই মার খেতাম হা হা হা। যাইহোক একদিন বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলার সময় আমার পায়ের মধ্যে প্রচুর ব্যথা পেলাম। অর্থাৎ পায়ের একটা আঙ্গুল মচকে যায়। কারণ আমরা তো তখন কেডস জুতা না পড়ে অর্থাৎ খালি পায়েই ফুটবল খেলতাম। তো পায়ের আঙ্গুল মচকে যাওয়ার পর, সেদিন আর ফুটবল খেলা হয়নি আমাদের। তো আমাকে কয়েকজন ধরে বাসায় নিয়ে যায়। বাসায় যাওয়ার পর আম্মু তো প্রথমে বকাবকি শুরু করলো। কারণ আম্মু এমনিতেই বৃষ্টির মধ্যে ফুটবল খেলতে নিষেধ করতো। যদিও আমি লুকিয়ে মাঠে চলে যেতাম। তো তারপর আমাকে ডক্টরের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বললো। তারপর ডক্টর দেখিয়ে বেশ কয়েকদিন মেডিসিন খাওয়ার পরেও, পায়ের আঙ্গুল পুরোপুরি ভালো হয় না।
তারপর একজন লোক বললো, কবিরাজের কাছে নিতে। কবিরাজ নাকি সরিষার তেল এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসেজ করে দেয় এসব ক্ষেত্রে। তিনদিন ম্যাসেজ করলেই নাকি মচকানো আঙ্গুল পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। তো কবিরাজ পরপর তিনদিন সকালবেলা সরিষার তেল এবং লবণ দিয়ে ভালোভাবে ম্যাসেজ করার পর,মচকানো আঙ্গুল পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। যদিও ম্যাসেজ করার সময় প্রচন্ড ব্যথা পেতাম। ব্যথার কারণে তো একেবারে কান্না করে দিতাম হা হা হা। যাইহোক বৃষ্টির দিনে হঠাৎ করে শৈশবের সেই স্মৃতি গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করা যাক। আর শৈশবের সেই স্মৃতি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে ভীষণ ভালো লাগছে। আশা করি আপনাদের কাছেও খুব ভালো লেগেছে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ২৪.৫.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1926267282147233998?t=r9IW5snfHoxU39ZJXGeVFQ&s=19
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্ট টা পড়ে আমিও সেই অতীতে ফিরে গেলাম। সেই দিনগুলো এখন অনেক মিস করি। বৃষ্টির দিনে ভিজে ফুটবল খেলার আনন্দ তারপর মায়ের কাছে মার খাওয়া। বেশ সুন্দর লিখেছেন আপনি।
সেই দিনগুলোতে সত্যিই ফিরে যেতে ইচ্ছে করে। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।