জেনারেল রাইটিং পোস্ট || বর্তমান যুগে আপনের চেয়ে পর ভালো
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,বর্তমান যুগে আপনের চেয়ে পর ভালো। আপনারা অনেকেই জানেন যে, কয়েকদিন আগে আমার টুইন ছেলে হসপিটালের এনআইসিইউ তে ভর্তি ছিলো ৬ দিন এবং একদিন হসপিটালের কেবিনে ছিলো। তো তখন সত্যিই খুব কঠিন সময় পার করেছিলাম আমরা। বিশেষ করে আমার কাছে প্রতিটি মিনিট অনেক লম্বা মনে হয়েছিল। সত্যি বলতে লাইফে এমন পরিস্থিতির শিকার কখনোই হইনি আমি। আর এমন পরিস্থিতিতে যে পড়বো,সেটা আমি কখনোই ভাবিনি। যাইহোক যদিও হসপিটালে আমার মা বাবা, শ্বাশুড়ি এবং ওয়াইফ সারাক্ষণ ছিলো।
তাছাড়া আমার ভাইয়ের পরিবার প্রায় প্রতিদিনই আসা যাওয়া করেছে হসপিটালে। তবে কিছু কিছু আত্মীয় স্বজনরা ফোনের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়েছে ঠিকই, কিন্তু একবারের জন্যও হসপিটালে যায়নি। এই ব্যাপারটা দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়েছিলাম। কারণ যেসব আত্মীয় স্বজনের বিপদের সময় আমার পরিবার প্রায় সবসময়ই তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল,তারা একবারের জন্যও হসপিটালে আসেনি। আসলে মানুষ এতোটা স্বার্থপর হয় কিভাবে, সেটা সত্যিই আমার জানা নেই। এমনও সময় গিয়েছে, আমি শত ব্যস্ততার মাঝেও আত্মীয় স্বজনদেরকে দেখতে হসপিটালে ছুটে গিয়েছি। কিন্তু তারা সেটা একেবারেই মনে রাখেনি। তবে একদিক দিয়ে আমি ভাগ্যবান,সেটা হচ্ছে আমার প্রায় ৮/১০ জন বন্ধু বান্ধব হসপিটালে রেগুলার যাতায়াত করেছে শত ব্যস্ততার মাঝেও।
এমনকি ফোন করেও বারবার বলেছে, যেকোনো প্রয়োজনে সাথে সাথে ফোন করার জন্য। এমনকি গভীর রাত হলেও কোনো সমস্যা নেই। তাছাড়া কয়েকজন বন্ধু বান্ধবের ওয়াইফকে হসপিটালে রাতের বেলা আমাদের সাথে থাকতে বলেছিল। কিন্তু আমি নিষেধ করেছিলাম শুধু শুধু কষ্ট হবে বলে। কারণ আমার পরিবারের লোকজন হসপিটালে সারাক্ষণই ছিলো। যাইহোক বর্তমান যুগে এমন বন্ধু বান্ধব পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। তারা আসলে যেকোনো প্রয়োজনেই আমার পাশে থাকে। আমিও সবসময় চেষ্টা করি তাদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার জন্য। আসলে বর্তমানে আত্মীয় স্বজনদের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখাটা মুশকিল। কারণ আত্মীয় স্বজনরা অনেক সময় কারণ অকারণে টাকা ধার নিতে চলে আসে।
কিন্তু তাদেরকে যদি টাকা ধার না দেওয়া হয়, তাহলেই সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমান যুগে প্রায় সবার লাইফস্টাইল অন্য রকম। তাই নিজের সংসারের খরচ সহ সব ধরনের খরচ মিটিয়ে, আত্মীয় স্বজনদেরকে সবসময় টাকা ধার দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু আত্মীয় স্বজনরা সেটা বুঝতে চায় না। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থটা বুঝে। আর সেজন্য আত্মীয় স্বজনদের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখাটা আসলেই খুব কঠিন। যাইহোক আমি একটা কথা সবসময়ই বিশ্বাস করি, কারো জন্য কিছু থেমে থাকে না। হয়তোবা সাময়িকভাবে কিছুটা ঝামেলায় পড়তে হয় অনেক সময়। কয়েকদিন ধরেই এই কথা গুলো মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিলো। তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে এই কথা গুলো শেয়ার করা যাক। সেটা ভেবেই এই পোস্টটি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ৪.৫.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Thanks for upvote.
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1918590802453725474?t=zYweprsYC0SXWhxxNndFHQ&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1918652799656571340?t=Jb2XKhrSC0GlV68h9osF2w&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1918655349080637576?t=18kROpLVTuIyyMunyif2yA&s=19
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার লেখাটি খুবই সময়োপযোগী। বর্তমান সমাজে অন্যের ভালো দেখে হিংসা বা হতাশা হওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা দেয়।আপনার মতো করে চিন্তা করলে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। লিখতে থাকুন! আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাই।
আসলে বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ প্রচন্ড স্বার্থপর। বিশেষ করে আত্নীয় স্বজনরা আরও বেশি স্বার্থপর। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।