জেনারেল রাইটিং পোস্ট || আমাদের জীবনের নিরাপত্তা একেবারেই নেই

in আমার বাংলা ব্লগlast month

আসসালামু আলাইকুম,

আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।



প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে, আমাদের জীবনের নিরাপত্তা একেবারেই নেই। আমি শুরুতেই বলে রাখছি এটা কোনো রাজনৈতিক পোস্ট নয়। আসলে আমরা এখন বাসা থেকে বের হওয়ার আগেই টেনশনে থাকি ঠিকমতো বাসায় ফিরতে পারবো কিনা। কারণ বর্তমানে রাস্তাঘাটে বের হলেই ছিনতাই, রাহাজানি সহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম দেখা যায়। এমনকি রাস্তাঘাটে কেউ বিপদে পড়লেও,কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে যায় না। তাছাড়া আমরা এখন বাসায়ও নিরাপদে নেই। কারণ চুরি ডাকাতির মতো ঘটনা সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘটছে। এসব কারণে মাঝেমধ্যে ভাবি,কেমন দেশে বসবাস করছি আমরা।


child-2737064_1280.jpg

Source


মাঝেমধ্যে ভাবি দেশ ছেড়ে বাহিরের দেশে গিয়ে সেটেল্ড হয়ে যাবো। আবার পরিবার এবং আত্মীয় স্বজন সহ সবাইকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করে না। যাইহোক মূল ঘটনায় ফেরা যাক। আমার এক পরিচিত ভাই,উনার নাম হচ্ছে রফিকুল। উনি ঢাকার উত্তরায় বসবাস করে থাকেন। তো গত সপ্তাহে উনার সাথে যখন দেখা হলো,তখন উনি বললো যে উনার ছেলে হসপিটালে ভর্তি। কিন্তু তিনি তবুও আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছেন। উনি অবশ্য মিটিংয়ের কারণে সেদিন আমাদের এদিকে এসেছিলেন এবং মিটিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। তাই উনার ছেলেকে হসপিটালে রেখেই উনি আমাদের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। যাইহোক গত সপ্তাহে একদিন সন্ধ্যার পর রাস্তা দিয়ে উনার ছেলে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। উনার ছেলে মূলত কলেজে পড়ে। তো বাসা থেকে অল্প একটু দূরে একটি বাসায় গিয়ে সে প্রাইভেট পড়ে।


তো পড়া শেষ করে বাসায় ফেরার সময়ই ঘটনাটি ঘটে। রফিকুল ভাইয়ের ছেলে যে রাস্তা দিয়ে বাসায় ফিরছিলো, সেই রাস্তা মোটামুটি নীরব ছিলো তখন। তো সেই রাস্তায় কিশোর গ্যাংয়ের কয়েকজন পোলাপান দাঁড়িয়ে ছিলো। তারা রফিকুল ভাইয়ের ছেলেকে দেখামাত্রই ডাকলো। তো রফিকুল ভাইয়ের ছেলে যখন তাদের সামনে গেলো,তখন তারা তার মোবাইলটা চাইলো। কিন্তু সে তার মোবাইল দিতে অস্বীকৃতি জানালে,তারা জোর করে তার মোবাইলটা নিয়ে নেয়। তারপর সে তাদের সাথে চিৎকার চেচামেচি করা শুরু করে। আসলে মোবাইলটা তার খুব শখের ছিলো। তাই সে মোবাইলটার মায়া ত্যাগ করতে পারছিল না। তো পরবর্তীতে কিশোর গ্যাংয়ের পোলাপান তাকে ছুরি দিয়ে খুবই বাজেভাবে জখম করে এবং তারা মোবাইলটা নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।


অল্প একটু পরেই সেই ছেলের বাসার পাশের এক লোক তাকে আহত অবস্থায় রাস্তায় দেখতে পায় এবং তাকে ধরে বাসায় নিয়ে যায়। তো রফিকুল ভাইয়ের পরিবার সাথে সাথে তাকে হসপিটালে ভর্তি করে। আসলে এমন অবস্থায় রফিকুল ভাইয়ের পরিবারের লোকজন তাকে দেখে,একেবারে ভয় পেয়ে যায়। কারণ এই ঘটনাটি একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিলো। আজকে রফিকুল ভাইয়ের মুখ থেকে শুনতে পারলাম, উনার ছেলে এখন সুস্থ আছে। তবে কয়েকদিন বেশ কষ্টে ছিলো। যাইহোক রাস্তায় কেউ বিপদে পড়লে, আমাদের সবার উচিত সহযোগিতা করা। নয়তো সামনে হয়তোবা বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম আরও বাড়বে। কারণ পুলিশ এখন অনেকটাই নীরব ভূমিকা পালন করছে। কোনো প্রয়োজনে তাদেরকে ফোন করলে কিংবা তাদের কাছে গেলে,তারা সেভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে না। এমনটা এখন অনেকের মুখ থেকেই শুনছি। এমনকি আমি নিজেও এই ধরনের বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছি।



2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZA8GzS2DQRCenaYmQc8PKmKoqUpUeK1EYkXvpDQ1G4vq9r2thnL24nVMe9HEoTA18P3XxZmEBqKV5Qa.png

পোস্টের বিবরণ

ক্যাটাগরিজেনারেল
পোস্ট তৈরি@mohinahmed
ডিভাইসSamsung Galaxy S24 Ultra
তারিখ১৩.৩.২০২৫
লোকেশননারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ

বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

9vWp6aU4y8kwSZ9Gw15LFL3aMdhmgmBBFMpDJregpdP328CzpX9QvbjSPXbrW8KqUMMwTrRCn3xcSQ6EA6R67TcD5gLnqAWu8W41xe41azymkyM19LEXr548bkstuK4YE8RXJKQJWbxQ1hVAD.gif

আমার পরিচয়

IMG-20240212-WA0036.jpg

🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹

5ZJ4Z52ZRyQfNkCWFfXsATSsPtfkBwT3a5k8RVinr67352Jpu6E5J43D5L7yhn5d5CrcpnTvTLcF5db3ftZK7V9GzsAkLjb3PriF27x53soS8yKq9EnT1Gez2W6L2XUZu7jXnMduxdzGd4QzpYoozSDTPz3jUEkZ8x9rPrFry12vk2pkpsukTxq2kgJhF2zDYwrV.png

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81RRg3nBstm6z4qmufGsvFT24rqXwtpQD564XVCvACqesd3KULjLw7vQPhCNBNpraDPBk9z8jqn3ncuykugzMhQ2.png

6nSeSEzKEwjJN68tMqgZXvpyk1cf2ihqXgmWESDgXSh21PxWHDWW9CETD5B5Jw9Q6ERAnD25KhyHKAX53jBLJKQRtPJf1WFG3aJd6PXbp2rpTXdWPxnRnq65CqtM8PawHiD5knScnfCbWvcVRuFVv1rtwzsXe59AixEGDGYZT2EWzPMzrWjWrbujcJd79Q1Sjs2X.gif

puss_mini_banner2.png

PUSS COIN: BUY/SELL

Sort:  
 last month 

ডেইলি টাস্ক প্রুফ:

GridArt_20250313_112413917.jpg

 last month 

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last month 

কিছু বলার নেই ভাইয়া৷ পড়ে জাস্ট স্তব্ধবাক হয়ে গেলাম। কিশোর আবার গ্যাং! এভাবে একটি জাতি তো নষ্ট হচ্ছেই সাথে একটি দেশও। আমি জানি না ভবিষ্যতে কি দিন আসতে চলেছে৷ কিন্তু এই ভাবে নিরাপত্তাহীনতায় কিভাবে আপনারা নিশ্চিন্তে রাতে ঘুমোবেন! উফফ কী ভয়ঙ্কর।

 last month 

কিশোর গ্যাং আমাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। অথচ তাদেরকে ধরা হয় না। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last month 

একদম বাস্তবিক ও সময়োপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। এই লেখায় আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন, যা সত্যিই দুঃখজনক। মানুষ এখন রাস্তায় নিরাপদ নয়, এমনকি ঘরেও অনিরাপত্তার ভয় থাকে।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা এবং মানুষের অসহযোগিতার কারণে অপরাধ আরও বাড়ছে। সবার উচিত একে অপরকে সাহায্য করা যার যার জায়গা থেকে সোচ্চার হওয়া। ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য।

 last month 

দিনদিন অন্যায় অপকর্ম বেড়েই চলেছে। এককথায় বলতে গেলে, আমাদের দেশটা বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাচ্ছে। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last month 

একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। দেশে বসবাস করতেও এখন যেন ভয় লাগে।

Loading...
 last month 

আমাদের জীবনের নিরাপত্তা এখন অনিশ্চিত। রফিকুল ভাইয়ের ছেলের ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, রাস্তায় বিপদে পড়লে কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে আসে না। পুলিশও অনেক সময় সহযোগিতা করে না। আমাদের উচিত একে অপরকে সাহায্য করা, অন্যথায় অপকর্ম বাড়তেই থাকবে। সমাজে নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের মাঝে বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।

 last month 

বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবার উচিত একজোট হয়ে অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 29 days ago 

একেবারে বাস্তবিক একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি৷ এই পোস্টের মধ্যে যে কথাগুলো পড়েছি সেগুলো যেন একেবারে বাস্তবিক ঘটনা গুলো চোখের সামনে ভেসে আসছে৷ আসলে মানুষ এখন কোন ভাবে নিরাপদ নয়৷ মানুষ তার ঘরেও এখন নিরাপদ নয়৷ একইসাথে বাইরেও তারা নিরাপদ নয়। এখন একজন মানুষ বিপদে পড়লে অন্যান্য মানুষদের যে সাহায্য করার প্রবণতা থাকে সেটিও মানুষের মধ্যে নেই৷ তারা শুধুমাত্র নিজের স্বার্থ নিয়ে পড়ে থাকে৷ অন্য কোন মানুষকে যদি তাদের সামনে অনেক বেশি ক্ষতি করে ফেলা হয় তারপরও তারা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসে না৷ এর ফলেই প্রতিনিয়ত এরকম দুর্ঘটনা দুর্নীতির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে৷ মানুষেরও নিরাপত্তা আরো অনেক বেশি পরিমাণে ঝুকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে৷

 29 days ago 

বর্তমানে আমাদের দেশের প্রায় সব মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই এই মুহূর্তে একতার কোনো বিকল্প নেই। যাইহোক এভাবে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।