আমি একদিন সাভারে গিয়েছিলাম কোন একটা কাজে। জায়গাটি ছিলো সাভারের শিমুলতলা বাসস্ট্যান্ড। তো আমি আর আমার ভাগিনা রাকিব ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে রাস্তা পার হয়ে উত্তর পাশ থেকে
দক্ষিণ পাশে যাচ্ছিলাম। ফুটওভার ব্রিজের দক্ষিন পাশে যাওয়ার যেতেই একটি গার্মেন্টস আমাদের চোখের সামনে পড়লো। দেখলাম গার্মেন্টস চারপাশে দিয়ে লতা জাতীয় এক প্রকার ফুল দ্বারা আবৃত। প্রথমে দেখে আমি চমকে উঠলাম। কারণ সাত তলা একটা গার্মেন্টস প্রথম তলা থেকে একেবারে ছাদ পর্যন্ত বিভিন্ন লতা জাতীয় ফুল দিয়ে আবৃত করে রাখা হয়েছে তাও আবার ঢাকা শহরের মতো একটি জায়গায়। প্রথমে আমি একটু অবাক হলাম কিন্তু পরক্ষণেই আবার চিন্তা করলাম যে কোন মালিক পক্ষ যদি পরিবেশ বা তার তাদের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের নিয়ে চিন্তা করে তাহলে এটা কোন ব্যাপার না।
 |
চিত্র নাম্বার-২ |
আমার মনে হয় বাংলাদেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে যদি এমনভাবে পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে বা সকলের কথা চিন্তা করে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি করা যেত তাহলে প্রতিটি মানুষের মাঝে অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করতো।
প্রথমে আমি বুঝতে পারিনি গার্মেন্টস না অন্য কোন অফিস। পরে অবশ্য ভালো ভাবে খেয়াল করে দেখলাম যে এটি আল মুসলিম গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।
 |
চিত্র নাম্বার-৩ |
আমি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছি, সে অনুযায়ী বলতে পারি এটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকলের জন্য অবশ্যই একটা ভালো লাগার বিষয়। কেননা আমার মনে হয় এভাবে লতা ফুল দিয়ে আবৃত করার কারণে এই গার্মেন্টস এর ভিতরের পরিবেশটাই সম্পুর্ন পরিবর্তন হয়ে গেছে এবং যেহেতু পরিবেশ পরিবর্তন হয়ে গেছে তাহলে এখানে যারা কাজ করছে তাদের মন মানসিকতায় ও অবশ্যই বিরাট একটা পরিবর্তন আসার কথা বা উচিৎ।
 |
চিত্র নাম্বার-৪ |
আমার মনে হয় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা দারুণ একটা পদক্ষেপ। এটা যদি সবাই করতেন তাহলে আমাদের পরিবেশের অনেক উন্নতি সাধন হইতো এবং আমাদের অক্সিজেনের চাহিদা ও পূরণ হতো। তাই আসুন আমরা সবাই আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য আমাদের প্রতিটি বাড়িতে এভাবে গাছে গাছে ভরিয়ে দেই।
অবশ্য এই গার্মেন্টসটি নিয়ে একটি পোস্ট ক'দিন আগে ফেইসবুকে একজন দিয়েছিলেন।

আমি আজিজুল মিয়াঁ, আমার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর। আমি জগ্ননাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স শেষ করে বর্তমানে একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে ম্যানেজার পদে কর্মরত আছি। লিখতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আমি ছোট বেলা থেকেই কম-বেশি লেখা-লেখি করতাম। লেখা-লেখির পাশা-পাশি আমি ঘুরতে এবং খেলা-ধুলা করতে অনেক পছন্দ করি। সময় পেলেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হই। অতিরিক্ত কথা বলা এবং মিথ্যা কথা বলা আমি সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করি।




সাত তলা ভবন পুরোটাই এরকম লতাপাতা ফুল গেছে আবৃত, বাহ! ব্যাপারটা দারুন তো। বিল্ডিংটি দেখতে সত্যি অসাধারণ লাগছে। আসলেই আমরা যদি সবাই এরকম চিন্তা ভাবনা করতাম তাহলে অনেক ভালো হতো। এই গার্মেন্টসে যারা কাজ করে তাদের উপর এটা সত্যি অনেক বড় প্রভাব ফেলে। খুবই ভালো লাগলো ভাই, সুন্দর লিখেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।
আল মুসলিম গ্রুপের এই প্রতিষ্ঠানটি সামনাসামনি দেখতে কেমন আমি জানিনা তবে ছবিতে কিছু কিছু জায়গা আমার কাছে একেবারে জঙ্গল মনে হয়েছে। কোন বিল্ডিং এর চারপাশ দিয়ে গাছ লাগানো ভালো তবে এরকম লতাপাতা দিয়ে ভরে রাখলে সেটা জঙ্গলের মতো লাগে। কিছু কিছু জায়গায় ফুল গুলো দেখতে খুব সুন্দর লাগছে।
জি আপু, ফুলগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া যতবার ঢাকা গিয়েছি ততবার এই প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যটি আমার চোখে পড়েছে।আপনি তো অনেক কাছ থেকে দেখেছেন কিন্তু আমি দূর থেকে দেখেছি।ঠিক কথা বলছেন সবাই যদি প্রকৃতি নিয়ে এভাবে ভাবত তাহলে দেশের পরিস্থিতি এমন হতো না।সুন্দর পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি।
ধন্যবাদ আপু, এমন সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমি কিছু দিন আগে এই বিল্ডিং এর ছবি ফেসবুকে দেখেছিলাম তবে এত সুন্দর ও নিখুঁত ভাবে আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। সত্যি সবার মনমানসিকতা যদি এমন হতো তাহলে হয়তো আজ ঢাকা শহরের প্রতিটা অফিস আদালত সবুজের সমারোহ হয়ে যেত। আমার কাছে এই গার্মেন্টসের মধ্যে এত সুন্দর ভাবে গাছ লাগানোর জন্য খুব ভালো লেগেছে। যদি কারো মন পবিত্র থাকে তাহলে একমাত্র সেই ব্যক্তি পারে অন্যের উপকার করতে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু, কয়েকদিন আগে এই পোস্টটি আমি ও দেখেছিলাম। কাছে থেকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
এই প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যটি সত্যি চোখে পড়ার মতো। আসলে এমন লতাপাতা দিয়ে ঘেরা ঢাকার শহরের মতো জায়গায় প্রতিষ্ঠানটি দেখতে অনেক চমৎকার লাগছে। ফুল দিয়ে আবৃত করার কারণে গার্মেন্টস এর ভিতরের পরিবেশটাই সত্যি পরিবর্তন হয়ে গেছে। যাইহোক সবাই প্রকৃতি নিয়ে ভাবলে দেশের অবস্থা এমন হতো না।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু,সুন্দর একটি কমেন্টের জন্য।
পুরো বিল্ডিংটি সবুজে ঘিরে রয়েছে,অনেক চমৎকার লাগছে। আর এটি সত্য কথা বলেছেন একটা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকলে সে প্রতিষ্ঠানের উপরে মায়া জন্মায়। আর সে মায়া থেকে আবার ভালো ভালো ফটোগ্রাফি কিন্তু শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
এমন সুন্দর এবং গঠনমূলক কমেন্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আল মুসলিম গ্রুপের প্রতিষ্ঠানটি দেখে খুবই ভালো লাগলো। এভাবে যদি বিভিন্ন গাছ-গাছিলে দিয়ে প্রতিটি বিল্ডিং সাজিয়ে ফেলা যেত তাহলে আর পরিবেশ এত বেশি দূষিত হতে না। তাছাড়া একটি বিল্ডিং এর নিচ থেকে সাত তলা পর্যন্ত এভাবে গাছ লাগানো চারটে খানি কথা না। দেখতেও খুবই ভালো লাগছে। ঠিকই বলেছেন এই প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের কাজের প্রতি অন্যরকম একটা আগ্রহ আসবে এরকম পরিবেশ দেখলে।
অনেক আগে এই গার্মেন্টস নিয়ে একটা নিউজ দেখেছিলাম।এই লতাপাতা হওয়ার কারনে ভিতরে নাকি গরম কম লাগে।তবে আমার কাছে এই উদ্যেগ টা বেশ ভালো লেগেছে। সরাসরি দেখতেও নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর হবে।পুরো সাত তলা ভবন এমন আবৃত অক্সিজেনেরও কোন সমস্যা হয় না।এমন যদি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান হতো তাহলে অনেক ভালো হতো।ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে।ধন্যবাদ
আপনার পেজটা থেকে চলেই যাচ্ছিলাম, হঠাৎ করে এই পোস্টটা চোখে পড়ে থমকে গেলাম।এই জিনিস আমারও প্রথম দেখা।এই আইডিয়াও যে কারো মাথায় আসতে পারে এটাই ভাবতে পারি না। সত্যিই মানুষ কত রকম হয়। কিছু মানুষ ধ্বংসের পথে আর কিছু মানুষ বাঁচাতে চায় এ পৃথিবীকে।এই ধরনের মানুষগুলো সত্যিই ভালো।তারা বেঁচে থাকুক। তাদের এই ভাবধারা আরো মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিক। অসাধারণ দেখতে লাগলো।