আমার বাড়ির ছোট্ট সবজি বাগান - পাটশাক [ পর্ব-০১ ]

কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। একটু চঞ্চলতা নিয়ে সময়গুলোকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। কারণ এবার গরমের উষ্ণতা যেমন একটু বেশী ঠিক তেমনি দিনের শেষে বৃষ্টির পরিমানও একটু বেশী হচ্ছে। এই জন্য দিনের শুরুটা হয়তো উষ্ণতার যন্ত্রণা দিয়ে শুরু করলেও দিনের শেষটা বেশ সুন্দর ও শীতলময় ছিলো। প্রকৃতির রহস্য এটাই, উষ্ণতায় যেমন জীবনকে উষ্ণময় করে দিচ্ছে ঠিক তেমনি আবার পর মুহুর্তে বৃষ্টির শীতলতা দিয়ে হৃদয় জুড়িয়ে দিচ্ছে।

যাইহোক, এবারের এই সময়টা আমার জন্য একটু ভালো যাচ্ছে সেই বিষয় নিয়েই আজকে আমার পোষ্ট, এই বছরের সবজি বাগানের প্রথম পর্ব। আশা করছি এবারও কয়েকটি পর্ব শেয়ার করতে পারবো আপনাদের সাথে। কারণ প্রতি বছরই আমি বাড়ির সবজি বাগানের সাথে দারুণ উপভোগ করার চেষ্টা করি। এই বছর যেহেতু রোদ ‍বৃষ্টির খেলা একটু বেশী জমে গেছে সেহেতু বাগানের সবুজতাও দারুণভাবে ছড়িয়ে গেছে। সবুজের সাথে কিছু সময় ব্যয় করার মানেই হলো হৃদয়ের চঞ্চলতাকে দারুণভাবে ফিরিয়ে আনার সুযোগ পাওয়া। সকালে ঘুম হতে উঠে যখন বাগানের সবুজ দৃশ্যগুলো দেখি, তখন সত্যি হৃদয়ে দারুণ একটা অনুভূতি কার্যকর হয়ে যায়।

তো সকালের সুন্দর দৃশ্যগুলো আরো দারুণ হয়ে উঠে যখন খালি পায়ে মাটির স্পর্শ নিয়ে যখন বাগানের সামনে যাই তখন দারুণ একটা শীতলতা হৃদয়ের স্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। সত্যি বলতে আমরা এখন শেকড় হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, মাটির স্পর্শ এখন আর আগের মতো নিতে পারি না। কিন্তু বাগান থাকার কারণে আমি সেই সুযোগটা দারুণভাবে নেয়ার চেষ্টা করছি। মূল বিষয়ে ফিরে আসছি, আজকে আপনাদের সাথে পাট শাকের পর্ব শেয়ার করবো, চলুন সুন্দর দৃশ্যগুলো দেখি-

শুরুটা অনেকটা এমন হয়, খুব একটা সবুজের সজীবতা ফুটে উঠে না। কিন্তু বীজ ফেলার পর যখন ছোট ছোট অঙ্কুরোদগম হয়, তখন সত্যি দারুণ একটা সুখের অনুভূতি তৈরী হয়। আস্তে আস্তে সেগুলো বাড়তে থাকে, সাথে হৃদয়ের মাঝে স্পন্দনের গতি। এরপর নিয়মিত পানি দেয়া, যত্ন নেয়া এবং আগাছা পরিস্কার করার মাধ্যমে সেগুলো দারুণভাবে বেড়ে উঠে।

তারপর শেষের দৃশ্যগুলো সত্যি মুগ্ধকর, দারুণভাবে হৃদয়ের চঞ্চলতা বাড়িয়ে দেয়। এই দৃশ্যগুলো দেখুন, কতটা সুন্দর ও সবুজের সজীবতা ছড়িয়েছে। এমন দৃশ্য দেখা মানেই কষ্টটাকে স্বার্থক করে তোলা, নিজের হাতে এমন কিছু করার মুহুর্তটা যে কতটা আনন্দময় সেটা হয়তো দেখেই আপনারা অনুভব করতে পারছেন। যেটা আমি নিজেও প্রতিনিয়ত অনুভব করছি।

আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy