আমার বাড়ির ছোট্ট সবজি বাগানের ঢেঁড়সের দৃশ্য
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছে এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি এবংসুস্থ আছি। বৃষ্টিময় প্রকৃতির শেষে উষ্ণতা ফিরে আসতে শুরু করছে, শীতল পরিবেশ ছেড়ে উষ্ণতা উপভোগ করার চেষ্টা করছি হি হি হি, একটু মজা নিলাম। আমাদের মতো দেশে এবং রকম দূষণযুক্ত পরিবেশে উষ্ণতা উপভোগ করার ন্যূনতম সুযোগ নেই, থাকারও কথা না। তখন আরো বেশী ভীত হতে হয়, এই বুঝি নতুন কোন রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করলো! এমন একটা ভয় খুব বেশী আতংকগ্রস্থ করে দেয়। এটা কিন্তু কোনভাবেই অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
আসলে প্রকৃতি নিয়ে প্রতিনিয়ত আমি নানা কথা বলে থাকি, সবই কমন কথা এবং চারপাশের দেখা বিষয়। আমরা দেখি কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো এখন আর কেউ দেখে শেখে না। আমাদের সময় এই বিষয়টি বেশ উজ্জ্বল ছিলো চারপাশের ঘটনা দেখেও আমরা অনেক কিছু শেখার চেষ্টা করতাম। আর এখন ঠিক তার উল্টোটা করে থাকি হি হি হি। এটা এক নির্মম বাস্তবতা, দিন যত যাচ্ছে সেটা ততো বেশী নির্মম হচ্ছে। হৃদয়ের মাঝে যে মানবতা থাকার কথা ছিলো সেটাও দিন দিন ভীষণভাবে হ্রাস পাচ্ছে। যার কারণে অন্যের প্রতি সম্মান কিংবা সহানুভূতির বিষয়টি উপস্থিত থাকে না।
যাইহোক, আজকে আর সেই বিষয়ের দিকে যাচ্ছি না, বরং সবুজ প্রকৃতি নিয়ে সুন্দর কিছু দৃশ্য শেয়ার করার ইচ্ছা পোষণ করছি। যেহেতু আমার বাড়িতে সুন্দর ও ছোট একটা সবজির বাগান আছে, সেহেতু আমি চাইলেই সুন্দর ও ভালো কিছু অনুভূতি তৈরী করার সুযোগ নিতে পারি। এইতো কিছু দিন আগে আপনাদের সাথে আমার সবজি বাগানের ঢেঁড়শ গাছের দৃশ্য শেয়ার করেছিলাম। এর পর সেগুলোর ফুলের দৃৃশ্যও শেয়ার করেছিলাম। সুতরাং এর পরের দৃশ্যটাও আপনার সাথে শেয়ার করে নিবো আজকে। এর মাঝে কয়েক দিন গাছের ঢেঁড়শ এর রেসিপিও খেয়েছি। তাই চিন্তা করলাম ঢেঁড়শ ধরার শেষ দৃশ্যটাও আপনাদের সাথে ভাগ করে নিই হি হি হি।
ঢেঁড়শ এমনিতে আমার ভীষণ পছন্দের একটা সবজি কারণ এটা খাওয়ার জন্য খুব বেশী কষ্ট করতে হয় না, মুখের ভিতর চালান দিতে পারলেই কেল্লা ফতে আর কষ্ট করার প্রয়োজন হয় না, হি হি হি। অল্প সংখ্যক গাছ হলেও মোটামুটি বেশ ভালোই ঢেঁড়শ ধরেছে এখন পর্যন্ত। আজকের দৃশ্যগুলো দেখুন, অনেকগুলো ঢেঁড়শ দাঁড়িয়ে আছে। আর একটু বড় হলেই রেসিপির জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে। আর গাছের ঢেঁড়শ এর রেসিপিগুলো একটু বেশী স্বাদের হয়ে থাকে।
খুব বেশী কষ্ট করতে হয় ঢেঁড়শ গাছের যত্ন নেয়ার ক্ষেত্রে, শুধুমাত্র চারপাশের আগাছাগুলো একটু পরিস্কার করে রাখতে হয়। আর একটা বিষয় আছে সেটা হলো রোদের উপস্থিতি, ছায়াতে ঢেঁড়শ গাছ থাকলে ফল আসতে কিছুটা দেরী হয় কিন্তু রোদের মাঝে থাকলে দ্রুত ফলন আসে। সেটা কিন্তু এবার আমি বেশ ভালোভাবেই দেখেছি। বরবটি গাছের মাচার নিচে একটা গাছ আসে, সেটা বাদে সবগুলো গাছেই ঢেঁড়শ ধরেছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন রোদের দারুণ একটা প্রভাব এখানেও আছে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি শহরের মতো জায়গায় সবজি চাষ করেছেন এটাই আনন্দের বিষয়।আর নিজের হাতের লাগানো সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা।বেশ সতেজ আপনার সবজি বাগানটি,ভালো লাগলো দেখে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন ঢেঁড়স সবজি খেতে খুব একটা কষ্ট হয় না। আপনার ছোট বাগানের ঢেঁড়স গুলো দেখে খুবই ভালো লাগছে । এরকম গাছের টাটকা সবজি খাওয়ার মজাই আলাদা। ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ধন্যবাদ আপনাকে।