"গান্ধী জয়ন্তীর কিছু সংক্ষিপ্ত ইতিহাস"

image source: copyright freepixabay || image credit: Clker-Free-Vector-Images
Hello
বন্ধুরা
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন। প্রথমে সবাইকে জানাই গান্ধী জয়ন্তীর শুভেচ্ছা।আজ গান্ধীজির জন্মদিন। এই দিনে সমগ্র ভারতবাসী শ্রদ্ধার সঙ্গে গান্ধী জয়ন্তী উদযাপন করে।আজ আমি আপনাদের সাথে গান্ধী জয়ন্তীর কিছু সংক্ষিপ্ত ইতিহাস আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমি তেমন ভালো জানি না। আমি যে টুকু
জানি সেটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।তাহলে চলুন শুরু করা যাক। আশা করি, আপনাদের ভালো লাগবে।
এ-বিশ্বে কিছু কিছু মানুষের আবির্ভাব হয় যাদের নেতৃত্ব যদি জীবনাদর্শে গোটা মানব জাতিকে পথ দেখায়। তারা মানুষকে নতুন করে ভাবতে শেখায় নিজেদের অধিকার আদায় করতে শেখান। তেমনি একজন হলেন মোহনদাস মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, যিনি আমাদের কাছে "মহাত্মা গান্ধী" নামে অধিক পরিচিত। মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন টিকে আমরা গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করি। তিনি ছিলেন ভারতের অন্যতম প্রধান রাজনীতিবিদ।এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যাক্তিদের মধ্যে অন্যতম একজন।আবার তিনি ছিলেন একজন প্রভাবশালী নেতা। জনমানবের কল্যাণে তিনি নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। মানবহিতৈষী মহাত্মা গান্ধী। ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবরের গুজরাটের পোরবন্দরে জন্মগ্রহণ করেন। গুজরাটের ভবনগরের সমালদাশ কলেজ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উ্তীর্ণ হওয়ার পর ১৯৮৮ সালে ব্যারিস্টার পড়ার জন্য তিনি লন্ডনে যান। তিনি বিদেশ থেকে বেরিস্টারি পাশ করে দেশে ফিরে এসে আইন ব্যাবসার কাজ শুরু করেন। কিন্তু তাতে তিনি সফলতা পাননি। এরপর তিনি " দাদাভাই আবদুল্লা অ্যান্ড কোম্পানির আইন জীবি হিসাবে তিনি ১৮৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় যান।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতীয় দের ওপর অত্যাচারী গান্ধীজি কে বিচলিত করে। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণ বিদ্বেষী সরকারের বিরুদ্ধে তিনি গণআন্দোলন সংঘটিত করেন। সেখানে বসবাসকারী ভারতীয়দের সঙ্গবধ করে। নাটাল ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস গড়ে তোলেন। গান্ধীজী ছিলেন একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ। তিনি ছিলেন হিংসায় বিরোধী। ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে নেতৃত্ব গ্রহণ এর আগে তিনি সত্যাগ্রহ আদর্শে আকৃষ্ট হন। তিনি মনে করতেন সত্যাগ্রহ একটি নৈতিক শক্তি, যা সহজেই শত্রু কে জয় করতে পারে।
তিনি বলেন শত্রুর প্রতি যে মানুষ ঘৃণা বিদ্বেষ পোষণ না করে এবং কোনভাবে শত্রুকে আঘাত না করে সে মানুষই যথার্থ সত্যাগ্রহী ।গান্ধীজী সম্পূর্ণ অহিংস নীতি জাতীয় আন্দোলন পরিচালনা করতে এসেছিলেন ।দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরে এসে তিনি ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনে যোগদান করেন। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনে গান্ধীজীর শ্লোগান ছিল "করেঙ্গে ইয়ে মেরেঙ্গে"। অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় ১৯৪৮ সালে ৩০ জানুয়ারি ভারতের জাতীয় আন্দোলনের এই মহান নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
২০০৭ সালে ১৫ জুন জাতিসংঘ গান্ধীজীর জন্ম তারিখ ২ রা অক্টোবরকে "অহিংস দিবস "হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিশ্বজুড়ে এই দিনটিকে "অহিংস দিবস" হিসেবে পালন করা হয়। পরিশেষে তার শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে হয় শান্তিপ্রিয় এই মানুষটি জাতির জনক হিসেবে সমগ্র ভারতবাসীর মনের মনি কোঠায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বিষয়টি অনেক সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন বৌদি।
সত্যি বলতে ভারত উপমহাদেশে তিনিই প্রথম, যিনি অহিংস আন্দোলন এর দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন। সবাইতো সব কিছু জোর করে নিতে এবং পেতে চান কিন্তু তিনি ছিলেন ব্যতিক্রম, শত্রুকে আঘাত না করে অধিকার আদায় করা যায় এটা দেখিয়ে দিয়েছেন।
ভালোবাসা রইল তার প্রতি এবং অহিংস দিবসটির প্রতি। ধন্যবাদ
ঠিক বলেছেন বলেছেন ভাইয়া। তিনি ছিলেন একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ।
অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু।
ধন্যবাদ।
গান্ধী জি সম্পর্কে অনেক ভালো তথ্য দিয়েছেন আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা।
বৌদি আপনি প্রতিদিন নতুন নতুন কিছুনা কিছু লেখেন ই। যা আমাদের জন্য খুব উপকারের কারণ এর মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি,আমরা অনেক কিছু জানতে পারি।
অনেক ধন্যবাদ বৌদি আপনাকে।
আমি চেষ্টা করি দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের কথা সবাই জানুক। আর গান্ধীজী ভারতবাসীর মনের মণিকোঠায় রয়েছে। আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যে শেয়ার করার জন্য।
গান্ধীজী অসাধারণ একজন ব্যক্তি ছিলেন। সবাই যখন ইংরেজদের বিরুদ্ধে স্বদেশী আন্দোলনের ঝুকছিলেন। ঠিক সেই মূহুর্তেই গান্ধীজী অহিংস আন্দোলন শুরু করে। এবং সেটা সফলও হয়। খুব ভালো লিখেছেন। অজানা অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম।।
আপনাকেও ধন্যবাদ দাদা।
🙂🙂🙏🙏
আজ আপনার পোস্টটি পড়ে গান্ধীজীর সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক অজানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করলাম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে প্রতিটি লাইন আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এই মহৎ একজন মানুষ সম্পর্কে আপনি লিখেছেন এটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
ঠিক বলেছেন উনার মত একজন মহৎ মানুষ সম্পর্কে লিখতে পেরেছি সে জন্য আমি গবির্ত।
ধন্যবাদ আপনাকে।
দিদি, গান্ধীজীর কথা আমি আমার বাবার থেকে শুনেছি। ওনি খুব সুন্দরভাবে তার রাজনৈতিক জীবন চালিয়েছেন। নেতা হিসেবে বিশ্বের দরবারে ছিলেন উজ্জল। গান্ধীজীর একথাটি আমার বাবার মুখ থেকে শুনেছিলাম।
শত্রুর প্রতি যে মানুষ ঘৃণা বিদ্বেষ পোষণ না করে এবং কোনভাবে শত্রুকে আঘাত না করে
গান্ধীজী ছিলেন খুব শান্তিপ্রিয় একজন মানুষ।আমরা বাঙালিরা গান্ধীজীর জয়ন্তী শ্রদ্ধার সাথে উযাপন করি। ধন্যবাদ দিদি আপনার এই লেখাটি পড়ে গান্ধীজীর জীবন সম্বন্ধে জানতে পেরেছি।
গান্ধীজী ছিলেন একজন শান্তিপ্রিয় মানুষ। উনার কথা বলে শেষ করা যাবে না। আমি সংক্ষেপে একটু বলার চেষ্টা করেছি।
আপনি খুব সুন্দরভাবে গান্ধী জয়ন্তী সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন বৌদি।এইসব মহান মানুষ চিরদিন মানুষের অন্তরে জাগ্রত থাকবে জলন্ত প্রদীপের মতো।ধন্যবাদ বৌদি।
তোমাকেও ধন্যবাদ বোন।
এমন মহান নেতাকে নিয়ে যতই লেখা হোক না কেন তবু শেষ হবে না। ছোট বেলা থেকেই অল্প অল্প করে জেনেছি গান্ধীজি কে নিয়ে । আপনার এই লেখা পড়ে আরো নতুন কিছু জানলাম।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
কীর্তিমানের মৃত্যু নাই ।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া। সোনা বাবুটা কেমন আছেন?