ফান ফেয়ারে কাটানো কিছু মুহূর্ত : পর্ব -১
বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
কাল থেকে শরীর হঠাৎ করে খারাপ হয়ে পড়েছে। হঠাৎ করে সর্দি ও জ্বর।কয়েকদিন আগে সর্দি ও জ্বর হতে সুস্থ হয়ে উঠেছি কিন্তু এরপর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লাম।হয়তো ওয়েদারের কারণে এমন হচ্ছে। হঠাৎ করে এই দুইদিন বেশ বাতাস ও সাথে ছিল বৃষ্টি।প্যারাসিটামল খেয়ে যাচ্ছি, আশা করছি দুই একদিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাব।যাহহোক গতকাল আমাদের কমিউনিটিতে ছিল ঈদের বিশেষ হ্যাংআউট। কিন্তু কাল হঠাৎ করে একটু প্রবলেমে পড়ে যাওয়ায় আর জয়েন হতে পারিনি।বাচ্চাদেরকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলাম। এরপর স্কুলে পৌঁছানোর পাঁচ মিনিট পূর্বে হঠাৎ রাস্তায় দেখি এক্সিডেন্ট হয়েছে।এ কারণে রোড পুরো ক্লোজ ছিল। তখন আর মাত্র পাঁচ মিনিট বাকি ছিল স্কুল ছুটি হওয়ার। ওই মুহূর্তে গাড়ি ঘুরে ব্যাক হয়ে অন্য রোড দিয়ে ১৫/২০ মিনিট আরও বেশি টাইম লেগেছিল।সবসময় ছোট মেয়েকে পিকআপ করে চলে যাই বড় মেয়ের স্কুলে। কিন্তু ওই মুহূর্তে আমাদের যেহেতু লেট হয়ে গিয়েছিল তাই বড় মেয়েকে আর আনতে পারিনি। দ্রুত তাকে আনার জন্য অন্য কাউকে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।খুব একটি ঝামেলার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম গতকাল। তাই আসতে আসতে অনেক লেট হয়ে যায়। তখন আর জয়েন হতে পারিনি হ্যাংআউটে।তখন খুব খারাপ লেগেছিল হ্যাংআউটে জয়েন হতে পারলাম না। যাই হোক আশা করি সকলেই বেশ ভালই উপভোগ করেছেন গত কালের হ্যাংআউট অনুষ্ঠানটি।
এবার চলে যাচ্ছি আমার আজকের মূল পর্বে।কিছুদিন আগে বাচ্চাদেরকে নিয়ে ফান ফেয়ারে গিয়েছিলাম।ফান ফেয়ার টি আমাদের বাসা থেকে খুব বেশি দূরে নয়, দেড় মাইল বা এক মাইলের মতো হবে হেঁটে গেলে।বিশাল একটি মাঠ, খালি পড়ে থাকে। সেখানেই প্রতিবছর এভাবে ফান ফেয়ারে আয়োজন করা হয়।প্রায় এক সপ্তাহ জুড়ে তাদের এই আয়োজন থাকে। এরপর এক সপ্তাহ পর আবার জায়গা খালি হয়ে যায়।এক মাস আগে থেকেই তাদের এডভার্টাইজমেন্টের কাজ চলতে থাকে।আর তখন থেকেই বাচ্চাদের এক্সাইটমেন্ট শুরু হয়ে যায় সেখানে যাওয়ার জন্য।এরপর সময় সুযোগ করে শনিবারের দিন চলে গেলাম তাদেরকে নিয়ে। যেহেতু শনিবার স্কুল বন্ধ থাকে তাই সুযোগটি পেয়ে গেলাম।ওখানে যাওয়ার পর বড় মেয়ের দুজন ফ্রেন্ড এড হয়ে যায় আমাদের সাথে।তখন তাদের আনন্দ আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়।এখানে অনেক রকমের রাইড ছিল ছোট বড় সকলের জন্য। যেহেতু অনেকগুলো রাইড, অনেকগুলো ফটোগ্রাফি তাই আমার এই পর্বকে দুটি পর্বে ভাগ করেছি।আজকে তার প্রথম পর্ব এবং আগামীকাল এর শেষ পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
এটি ছোট ছোট বাচ্চাদের জন্য যা ট্রেনের মত চলতে থাকে।
উপরে দেখতে পাচ্ছেন ডান্স জোন। এটি বড়দের জন্য, খুবই ভয়ানক লাগে দেখতে, খুব দ্রুত ওঠা নামা করে। আর আমার বাচ্চারা এই রাইড এ উঠতে ভয় পায়। গতবার বড় মেয়েটি যখন উঠেছিল তখন অনেক ভয় পেয়েছিল এবার আর উঠেনি।রাইডে উঠতে কিন্তু টিকিট লাগে। এ কারণেই অনেকগুলো টিকিট কেটে নিয়েছিলাম। তবে খুব এক্সপেন্সিভ প্রতিটি রাইড।
এই রাইডটি দেখুন, জাম্প করে অনেক উপরে ওঠা যায়।
এটি কাপ, ছোট মেয়ে উঠেছিল এই কাপে। তার খুবই পছন্দ এটি।
আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল এই রাইডটি। বড় মেয়ে ও তার ফ্রেন্ডরা মিলে উঠেছিল এই রাইড এ। খুবই দ্রুত চলে এটি মিউজিক এর তালে তালে।দারুন উপভোগ করেছিল তারা এই রাইডে উঠে।
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।আগামীকাল এর শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
Location | Horley |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি। কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে যদি কয়েকজন বন্ধুর সাথে যুক্ত হয় সেক্ষেত্রে আরো বেশি মজা হয়। আর হ্যাঁ সেখানে অনেক রকমের রাইড ছিল যেগুলো উপভোগ করতে পারলে পুরোপুরি মজাটা লুফে নেওয়া যায়।
নরমাল দিনের থেকে ওয়েদার একটু অন্যরকম হলেই সাবধানে থাকা উচিত। তা না হলে এরকম অসুস্থ হয়ে যেতে হয়। আশা করি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। বাচ্চাদেরকে আনতে গিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়েছিলেন বোঝা যাচ্ছে। আসলে এরকম বিশেষ হাং আউট এ জয়েন হতে না পারলে খুব খারাপ লাগে। যাইহোক আপু আপনার বাচ্চাদের কে নিয়ে ফান ফেয়ারে যাওয়ার মুহূর্ত দেখে খুব ভালো লাগলো। অনেক মজা করেছে দেখে বোঝা যাচ্ছে।
আপু প্রথমেই আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। প্রচন্ড ঝামেলার কারণে তাহলে ঈদ স্পেশাল হ্যাংআউটে জয়েন হতে পারেননি, তবে আমরা সত্যিই বেশ উপভোগ করেছি স্পেশাল হ্যাংআউট প্রোগ্রামটি। যাইহোক ফান ফেয়ারে গিয়ে তো দেখছি আপনারা দারুণ সময় কাটিয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের রাইডের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। যাইহোক এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপু আপনার অসুস্থতার কথা শুনে সত্যি অনেক খারাপ লাগছে। একদিকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্যদিকে অনেক সমস্যার মধ্যে পরতে হয়েছে। রাস্তায় এক্সিডেন্ট এর কারনে আপনাকেও বেশ সমস্যার মধ্যে পরতে হয়েছে আপু। মামণিদের স্কুল ছুটির পর তাদেরকে আনতে যেতেও লেট হয়ে গিয়েছে। যাইহোক আপু ছুটির দিনে সবাইকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন দেখে ভালো লাগলো। আর মামনিরা অনেক খুশি হয়েছে বুঝতেই পারছি। তবে কিছু কিছু ভয়ঙ্কর রাইটস আছে সেগুলোতে না ওঠাই ভালো।