ছাএ- রাজনীতি।।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ঈদের ঠিক আগের দিন। শুক্রবার ছিল দিনটা। জুম্মার নামাজ শেষ করে এলাকার বন্ধু এবং বড় ভাইদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাড়িতে আসি। দুপুরের খাবার খেয়ে শুয়ে ছিলাম। ভাবছিলাম বইটা বের করে একটু পড়ব। এমন সময় ফোনে একটা ফোন আসে। তখন ঐ তিনটা মতো বাজে। বেশ ভালো গরম। একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে বলে ইমন দ্রুত রেলগেটে আই। নাম্বার টা অচেনা হলেও কন্ঠটা প্রথমবার শুনেই আমি বুঝতে পেরেছি হ্যা এটা শিশিরের কন্ঠ। শিশিরের সাথে শেষ দেখা হয়েছিল গত ঈদে। শিশিরের সাথে আমার পরিচয় সেই নবম শ্রেণিতে থাকতে। ক্লাস টেনে উঠে আমাদের বন্ধুত্ব বেশি ভালো হয়। তারপর থেকে এখন পযর্ন্ত মোটামুটি ভালোই চলছে সবকিছু।
শিশিরের ফোন পেয়ে আমি কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। কারণ শিশির বিগত ৯-১০ মাস ধরে লুকিয়ে আছে বলতে পারেন। আমরা কিছুটা মজা করে বলি আন্ডারগ্রাউন্ডে আর কী। না ও কোন অপরাধী ঠিক না। তবে বাংলাদেশের একটা বিশেষ ছাএরাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল। এবং ওর কলেজ ক্যাম্পাসে ও ঐ দলের সভাপতি ছিল। এইজন্যই নামে বেশ কিছু মামলা হয়ে গিয়েছে। যার জন্যই এইরকম পালিয়ে থাকা আর কী। তবে শিশির বেশ ভালো ছেলে। ওর সাথে আমার রাজনৈতিক ফিলোসোফি না মিলতে পারে কিন্তু আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব টা এখনও আগের মতোই। যাইহোক শিশিরের ফোন পেয়ে আর দেরি করিনি। খুব দ্রুতই চলে যায়। গিয়ে দেখি ওখানে আরও বেশ কয়েকজন রয়েছে। সবাই মিলে আড্ডা দিচ্ছে।
আর দেরি না করে আমি নিজেও ওদের সাথে যুক্ত হলাম। প্রথমে মোটামুটি খোঁজ খবর নেওয়া হলো এখন কোথায় আছিস কোথা থেকে আসলি এসব আর কী। তারপর শিশির কে জিজ্ঞেস করলাম তোর আগের ফোন নাম্বার কী হয়েছে। এই সিম কবে নিয়েছিস। তাৎক্ষণিকভাবে শিশির আমাকে চমকে দিয়ে ওর ম্যানিব্যাগ থেকে মোটামুটি ১০-১২ টা সিম বের করলো। সেটা দেখে আমি রীতিমতো অবাক। বলল এই অবস্থা এখন এক সিম বেশিক্ষণ ব্যবহার করতে পারি না। আমার বুঝতে আর কিছু বাকি থাকলো না। কিছুক্ষণ পরে ওখানে আমাদের আরও কিছু বন্ধু আসলো। আমরা সবাই এসএসসি এর ফ্রেন্ড। সবমিলিয়ে তখন আমরা ওখানে প্রায় ৮-৯ জন এর মতো। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলছি। একজনের খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করছি।
সবমিলিয়ে বেশ দারুণ সময় কেটেছিল আমাদের। সব মিলিয়ে প্রায় তিনঘন্টা আড্ডা দিয়ে ৬ টার দিকে উঠলাম। শিশির কে বললাম আগামীকাল যেন দেখা করে। জবাবে সহজ স্বীকারোক্তি ওর ভাই আমি নিশ্চিত দিতে পারছি না। অবস্থা ভালো হলে দেখা করব না হলে আবার লুকিয়ে পড়তে হবে। কথাটা শুনে আমি আর কিছু বলতে পারিনি। আমরা যখন একসঙ্গে ছিলাম তখন শিশির এসবের সাথে মোটেই যুক্ত ছিলাম না। তবে এসএসসির পরে আমাদের কলেজ যখন আলাদা হয়ে যায় তখনই ধীরে ধীরে এসবের মধ্যে জড়িয়ে পড়ে। যদিও কথাটা শুনে শিশির কে নিষেধ করেছিলাম, বলেছিলাম এসব থেকে বের হয়ে আসতে। কিন্তু না ও আমার কথা শোনেনি। আবার কবে শিশিরের সাথে দেখা হবে তার কোন ঠিক নেই।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.