"বন্ধুর সাথে দেখা" - ২য় পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago


হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক

আজ- ২০ ই জুলাই, বৃহস্পতিবার, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ

আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্যসদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।



কভার ফটো

20230603_114542.jpg

কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিদিন নতুন নতুন পোস্ট করতে বেশ ভালই লাগে আমার। প্রতিটি মানুষের জীবনে বন্ধু শব্দটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমি মনে করি সবার জীবনেই ভালো বন্ধু থাকাটা জরুরি। কয়েক মাস আগে যখন আমি আমার শ্রাবণী দিদির বিয়ের জন্য ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছিলাম। তখন ছোটবেলার এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে গেছিলাম। আমার এই বন্ধুটির নাম হলো অজয়। ছোটবেলা থেকে একসাথে লেখাপড়া ও খেলাধুলা করে বড় হয়েছি এই বন্ধুর সাথে। আমরা দুজনে এখন দুই জায়গায় থাকলেও দুজনের খোঁজ খবর নিতে কখনোই ভুল হয় না।

আমি এখন লেখাপড়া করি ঢাকার একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে আর আমার বন্ধু অজয় লেখাপড়ার ইতি টেনে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় ওর ফুফার স্বর্ণের দোকানে কাজ শিখতে ব্যস্ত। আমার শ্রাবণী দিদির বিয়ের আগের দিনেই দিদিদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। দিদিদের বাড়িতে গিয়ে দুপুরের সময় হঠাৎ বন্ধু অজয়ের কথা মনে হলো। তাই বন্ধুর সাথে দেখা করার জন্য রওনা দিলাম। এর আগে আমি একটি পোস্টে "বন্ধুর সাথে দেখা" - ১ম পর্ব শেয়ার করেছিলাম আর আজকে আমি "বন্ধুর সাথে দেখা" - ২য় পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

20230509_142059.jpg

..... কিছু সময় অপেক্ষা করার পরে মেইল ট্রেন স্টেশনে ঢুকলো। দুপুরের সময়ে মেইল টেনে বেলগাছি স্টেশন থেকে খুব একটা ভিড় হয় না। তাই ধীরে সুস্থে ট্রেনে উঠলাম। ট্রেনে ওঠার পরে ট্রেন যখন ছাড়লো তখন মনের ভেতর খুবই ভালো লাগা কাজ করছিলো। কারণটা অনেকদিন পর বন্ধুর সাথে একটু পরেই দেখা হবে।

20230604_224011.jpg

বেলগাছি স্টেশন থেকে কালুখালী স্টেশনে যাইতে মাত্র ১০-১৫ মিনিট মতো সময় লাগে। আসলে কি স্টেশনের ব্যবধান তাই অনেকটা কম সময় লাগে। মেইল ট্রেনে ওঠার পর ট্রেনের ভেতর থেকেই ১৫ টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করলাম। আমি একই স্টেশন পরেই ট্রেন থেকে নেমে যাবো বলে সিট খুঁজতে যাইনি। আমি মেইল ট্রেনের দরজার কাছে এসে প্রকৃতি উপভোগ করছিলাম।

20230604_224034.jpg

ট্রেন লাইনের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়ার রাস্তা আর রাস্তার পাশ দিয়ে সবুজ ধানের ক্ষেত দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছিলো। গ্রামের এই প্রাকৃতিক দৃশ্যগুলো দেখতে আমার কাছে মনোমুগ্ধকর লাগে। বেলগাছি থেকে কালুখালী মাত্র এক স্টেশনের ব্যবধান হওয়াতে আমি বেশি সময় এই প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারিনি তবে যেটুকু পেরেছি বেশ ভালো লাগছিলো।

20230604_224115.jpg

কালুখালী স্টেশনে ট্রেন আসার পরে আমি ট্রেন থেকে প্লাটফর্মে নামলাম। দুপুরের দিকে ট্রেন থেকে প্লাটফর্মে আবার পরে প্লাটফর্ম টা অনেক ফাঁকা ফাঁকা লাগছিলো। কারণ দুপুরের তপ্ত রোদে মানুষ বাইরে কম ছিলো। আর যারা বাইরে ছিল তারা ছায়াযুক্ত কোন স্থানে বসে ছিলো। স্টেশনে প্লাটফর্মের দূর থেকে যে, বকুল গাছটি দেখা যাচ্ছে এই বকুল গাছের তলায় মানুষ বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলো।

20230604_224201.jpg

ট্রেন থেকে প্লাটফর্ম এ নামার পরে আমি বন্ধু অজয় কে ফোন করে বলি যে, আমি প্লাটফর্মের পূর্ব পাশে দাঁড়িয়ে আছি। তারপর বন্ধু অজয় আমাকে বলে যে, তুই ওখানেই দাঁড়িয়ে থাক, আমি এখনই আসছি। একটু অপেক্ষা করতেই অজয় ওর ফুফার মোটরসাইকেল নিয়ে আমাকে রিসিভ করার জন্য হাজির। অজয়ের সাথে সাক্ষাৎ হওয়ার পর মনের ভিতর খুবই ভালো লাগছিলো। আসলে ছোটবেলার বন্ধু অনেক দিন পর দেখা হলে এমনটাই হয় বুঝি।

20230509_143749.jpg

তারপর দুজনে কিছু সময় কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে গল্প করলাম। তারপর বন্ধু বললো যে, এখন গাড়িতে বসেক আমি যে দোকানে কাজ করি সেখানে যাই। তারপরে দুজনে একসাথে মোটরসাইকেল করে ও যেখানে কাজ করে সেই দোকানে গেলাম। দোকানে অনেকক্ষণ গল্প গুজব তারপর হালকা নাস্তা করলাম। তারপর আবার আমাকে মোটরসাইকেল করে ফুফার বাসায় নিয়ে গেলো। সেখানে থেকে খাওয়া-দাওয়া করলাম । তারপর আমি আর আমার বন্ধু অজয় দুজনে বসে নিরিবিলি গল্প করার জন্য বাইরে বেরিয়ে পড়লাম । তারপর......

আজকে আমার "বন্ধুর সাথে দেখা" - ২য় পর্ব আপনাদের কেমন লেগেছে তা কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন। আর বন্ধুর সাথে দেখা - শেষ পর্ব অন্য একটি পোস্টে খুব শীঘ্রই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।



পোস্টের ছবির বিবরন

ক্যামেরাম্যান@aongkon
ডিভাইসস্যামসাং জে-৭ প্রো
ক্যামেরা১৩ মেগাপিক্সেল
তারিখ৯ ই জুলাই ২০২৩
লোকেশনবেলগাছি, কালুখালী


প্রিয় বন্ধুরা,

আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@aongkon



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 2 years ago 

ভাই, ছোটবেলার বন্ধু বলে কথা, তাই তার সাথে দেখা করতে পারলে ভালোলাগাটা অনেক অনেক বেশি থাকবে। যদিও বা আপনারা দুজনে এখন আলাদা থাকেন, তবু আপনাদের মাঝে খোঁজখবর নেয়াটা বন্ধ হয়নি এটা বেশ ভালো কথা। আপনাদের দুই বন্ধুর দেখা হয়েছে, একসাথে বসে জমিয়ে খাওয়া খেয়েছেন, আবার নিরিবিলিতে গল্পও করেছেন, সবকিছু মিলিয়ে আপনার সময়টা বেশ ভালোই কেটেছিল ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, বন্ধুর সাথে দেখা" দ্বিতীয় পর্বটি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

বন্ধু যতো দূরেই থাকুক না কেন মনে হয় যেনো সব সময় পাশেই আছে। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

 2 years ago 

আপনার বন্ধু অজয়ের সাথে দেখা করতে গেলেন। ছোট কালের প্রিয় বন্ধুদের সাথে দেখা করার মজাই আলাদা। এরকম বন্ধুদের সাথে দেখা হলে গল্প করতেও বেশ ভালোই লাগে। ১৫ টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ট্রেনের মধ্যে গেলেন বন্ধুর সাথে দেখা। আর এখন যেভাবে গরম পড়তেছে এই কারণে মানুষ বাইরে চলাফেরা কম করতেছে। যাহোক বন্ধুর সাথে কেমন আড্ডা দিয়েছে তা আশা করি পরের পরে জানতে পারবো। ধন্যবাদ জানাই প্রিয় বন্ধুর সাথে সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

বাহ্ আপু একটি বিষয় ভালো লাগলো যে, আমার পোস্টটি বিস্তারিতভাবে পড়ে সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করেছেন। ছোটবেলার প্রিয় বন্ধুর সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো সত্যিই অসাধারণ ছিলো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে সবসময় পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আপনার আজকের এই পোস্ট অনেক সুন্দর তথ্য বহন করেছে। যেখানে দুই বন্ধু একত্রিত হতে পেরেছেন কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে এবং সেখানে বসে গল্প করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর একটি মুহূর্ত পড়তে পেরে। অনেক সুন্দরভাবে সাজিয়েছেন প্রত্যেকটা লাইন এবং বিস্তারিত বিষয়।

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাই কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে অনেক সময় দুই বন্ধু একসাথে গল্প করেছিলাম। আসলে অনেকদিন পরে দেখা তাই তো অনেক ভালো লাগা কাজ করছিলো। সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।