বাসায় তৈরি ফ্রেন্স ফ্রাই রেসিপি "১০ শতাংশ লাজুক শিয়ালের জন্য বরাদ্দ"
প্রিয়,
আমার বাংলা ব্লগবাসী
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি আপনারা সবাই বেশ ভালই আছেন। উপরওয়ালার অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো এবং সুস্থ আছি। আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে আমার করা পোস্টগুলোতে প্রতিনিয়ত ভেরিয়েশন আনার চেষ্টা করি। ভেরিয়েশন আনতে গিয়ে কখনো ক্রাফট পোস্ট, কখনো বা ড্রয়িং পোস্ট, আবার কখনো বা ফটোগ্রাফি পোস্ট কিংবা রেসিপি পোষ্ট আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি।
এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমি আপনাদের সামনে রেসিপি পোস্ট নিয়ে লিখব।আমার রেসিপি পোস্টের টপিক হলো বাসায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি ফ্রেন্স ফ্রাই।
ফ্রেন্স ফ্রাই একটি ফাস্টফুড রেসিপি। এই রেসিপিটা সাধারণত বিভিন্ন ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে খাওয়া হয়। তবে রেস্টুরেন্টের খাবার সাধারণত খুব একটা স্বাস্থ্যকর হয় না। এছাড়াও রেস্টুরেন্টের খাবারের দাম অনেক বেশি নেয়। অথচ খুব সহজেই বাসায় এই রেসিপিটা তৈরি করে খাওয়া যায়। আর আজকে আমি সহজ পদ্ধতিতে বাসায় কিভাবে এই রেসিপি সহজেই সম্পন্ন করা যাবে সেটা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটা রান্না করার পদ্ধতি গুলো আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করে যাক।
আমার সম্পন্ন করা রেসিপির ছবি শুরুতে দেখানো হলো:
![]() |
---|
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
আলু (পরিমাণমতো)।
লবণ(স্বাদ অনুযায়ী)।
ম্যাগি মসলা (এক প্যাকেট)।
পানি (পরিমান মত)।
সয়াবিন তেল (এক পোয়া)
প্রথম ধাপ:
প্রথমে আলু গুলি ছিলে নিয়ে চিকন লম্বা করে কেটে নিয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ:
এই পর্যায়ে কেটে রাখা আলু এবং হাফ চা চামচ লবণ দিয়ে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ:
এই পর্যায়ে পাতিলে আলুর মধ্য পানি দিয়েছি এবং সিদ্ধ করার জন্য চুলাই বসিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ:
![]() | ![]() |
---|
এই পর্যায়ে আলু সিদ্ধ হয়ে গেলে পাতিল থেকে চালন এ উঠে নিয়েছি বেশি সিদ্ধ করা যাবে না হালকা সিদ্ধ করে নিতে হবে।
- চালনে করে রোদে শুকাইতে দিয়েছি ; টিসু্ দিয়ে পানি উঠিয়ে নিলেও হবে।
পঞ্চম ধাপ:
আলু থেকে পানি গুলো নামিয়ে গেলে সেগুলো বাটিতে করে নিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপ:
![]() | ![]() |
---|
এই পর্যায়ে কাড়াই এ তৈল দিয়েছি তৈল গরম হয়ে আসলে তার মধ্য আলু দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ:
![]() | ![]() |
---|
এই পর্যায়ে আলু গুলি লাল হয়ে আসলে তা চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ:
এই পর্যায়ে ভেজে রাখা আলুর উপর ম্যাগি মশলা দিয়ে মেখে নিয়েছি।
নবম ধাপ:
![]() |
---|
চূড়ান্ত পর্যায়ে আমাদের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরী হল।
উপরোক্ত ধাপগুল অনুসরণ করে আমি আমার ফ্রেন্ডস ফ্রাই রেসিপি তৈরি করলাম। আমার তৈরি করার রেসিপি টা আপনাদের সবার কেমন লাগলো তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। |
---|
ধন্যবাদ সবাইকে
@abusalehnahid
ফটোগ্রাফি | আবু সালেহ নাহিদ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A-12 |
ছবি তোলার স্থান | লোকেশন |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

ফাস্ট ফুড বর্তমান জেনারেশনের কাছে খুবই পরিচিত একটি খাবার। এবং এই ফ্রেন্স ফ্রাই অধিক পরিচিত একটি ফাস্ট ফুড। আমার অনেক পছন্দের একটা খাবার। বাসায় যে এতো ভালো ফ্রেন্স ফ্রাই তৈরি করা যায় সেটা আমার অজানা ছিল। অনেক সুন্দর ছিল আপনার পদ্ধতি টা। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।।
খুবই সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাই।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ফ্রেন্স ফ্রাই মাঝে মাঝেই খাওয়া হয় কিন্তু বাসায় কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার এই রেসিপি পোস্ট দেখে আমি নিজেই একদিন বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
খুবই সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আমার ভীষণ মজা লাগে খেতে। এমনিতে তো অনেক সময় রেস্টুরেন্টে গিয়ে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়া হয়। কিন্তু আপনি আজকে নিজে তৈরী করলেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। কারণ আমরা যতই রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাই না কেন, বাসায় তৈরি করলে তা আমাদের জন্য অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। এইজন্য আপনার রেসিপিটি আজকে আমার ভীষণ ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
এখন থেকে ফ্রেন্স ফ্রাই আপনি নিজেই বাসায় বানিয়ে খাবেন। শেয়ার করার রেসিপি ধাপগুলো অনুসরণ করেন। আমার আপনাকে।
ফাস্টফুড খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনার ফ্রেন্স ফ্রাই দেখে আমি আর লোভ সামলাতে পারতেছি না। আপনি যেভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য
সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ফ্রেন্স ফ্রাই আমার খুবই প্রিয় একটি খাবার। সত্যি বলতে কি আলুর তৈরি যেকোনো খাবারই আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ফ্রেন্স ফ্রাই আমি বাড়িতে তৈরি করেছি কিন্তু আপনার মত এমন কখনোই হয়নি। আপনার রেসিপি থেকে জানতে পারলাম কিভাবে ভালোভাবে ফ্রেন্স ফ্রাই তৈরি করা যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
আমার রেসিপি দেখে আপনি শিখতে পেরেছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার তৈরি ফ্রেন্স ফ্রাই গুলো বিকালে নাস্তা হিসেবে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। এগুলো কি আমাদের এখানে আলুর পাপড় বলে থাকি। গ্রামে এই সময়গুলো প্রচুর পরিমাণে তৈরি করা। আপনি অনেক সুন্দর করে ফ্রেন্স ফ্রাই তৈরি করেছেন। দেখতে অনেক লোভনীয় লাগতেছে। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আলুর পাপড় এবং ফ্রেন্স ফ্রাই এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে ভাই। সুন্দর মন্তব্য করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ফ্রেন্স ফ্রাই আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। গতকাল ও খেয়েছি। আপনার রেসিপি দেখে আর লোভ সামলাতে পারছিনা। বিকাল বা সন্ধার নাস্তা হিসেবে অসাধারন এক রেসিপি এটি। রেসিপির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই খুবই সুন্দর একটি রেসিপি বানিয়ে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।এই রেসিপি রেস্টুরেন্ট এ বেশি খাওয়া হয়।আপনার শেয়ার করা এই রেসিপি দেখে বাসাতেই বানিয়ে খাওয়া সম্ভব।ধন্যবাদ আপনাকে।
এত সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আলু দিয়ে যে কত কিছু তৈরি করা যায় তা আমার বাংলা ব্লগে না এলে বুঝতেই পারতাম না। আপনি আজকে আলু দিয়ে যে ফ্রেন্স ফ্রাই তৈরি করেছেন আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার আলু দিয়ে তৈরিকৃত ফ্রেন্স ফ্রাই গুলো দেখতে খুবই চমৎকার হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আপনার এই মন্তব্যটি রেসিপি পোষ্ট করার আগ্রহ বাড়িয়ে দিল। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লাগে ।আমি প্রায়ই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রেসিপি তৈরি করে খাই। আপনারা ফ্রেন্স ফ্রাই রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে ।খেতেও সুস্বাদু হবে হয়তো।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জী ভাই খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামত প্রদানের জন্য।