আমার বাংলা ব্লগ-গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ফুটবল খেলা- তাং:২৪/১০/২০২১ইং(10% beneficiary to @shy-fox)
আসসালামু আলাইকুম।
আমার বাংলা ব্লগ এর দুই বাংলার সকল সদস্যদের আমি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানাই। সারা বিশ্বের সবচাইতে জনপ্রিয় খেলা হলো ফুটবল খেলা। বাংলাদেশও তার কোন ব্যতিক্রম নেই। শুধু বাংলাদেশ নয় এপার বাংলা ওপার বাংলা দুই বাংলার সকল মানুষের নিকট ফুটবল অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি খেলা।
আমার পাশের গ্রামে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জমজমাট এক ফুটবল খেলার আয়োজন করেছে। সেই খেলার সবচাইতে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক খেলা টি অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ। আমি সেই খেলাটির কিছু উত্তেজনাকর মুহূর্তের কথা আপনাদের নিকট উপস্থাপন করছি।
স্থান:
চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠ, উপজেলা গাংনী এবং জেলা মেহেরপুর।
আয়োজনে চাঁদপুর আদর্শ ক্লাব।
খেলা:
প্রথম সেমিফাইনাল
অংশগ্রহণকারী দুটি দল-
- জুগিরগোফা এফসি, গাংনী,মেহেরপুর।
- মদনাডাঙ্গা এফসি, মেহেরপুর।
ফুটবল ম্যাচ টি পরিচালনা করেন এলাকার অভিজ্ঞ এবং স্বনামধন্য রেফারিগণ।
ফুটবল ম্যাচ টি শুরু হয় নির্ধারিত বিকেল চারটার সময়।
ফুটবল মাঠে প্রবেশ এর পূর্বে বিভিন্ন প্রকার যানবাহন দেখে আমি অবাক হয়ে যায়। আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অসংখ্য দর্শকের আগমন ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে মোটরসাইকেল এর স্ট্যান্ড গুলো দেখে মনে হচ্ছিল মোটরসাইকেলের শোরুম দেওয়া হয়েছে। দশ টাকা দিয়ে টিকিট ক্রয় করে মাঠে প্রবেশ করেই দেখতে পেলাম হাজার হাজার দর্শক খেলা দেখার অপেক্ষায় মাঠের চারিদিকে কেউ বসে আছে কেউ দাঁড়িয়ে আছে।
[মোটরসাইকেল রাখার স্থান]
[টিকিট কাউন্টার]
[মোটরসাইকেল রাখার স্থান]
[টিকিট কাউন্টার]
দুই দলেই দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য ক্লাব যেমন আবাহনী, মোহামেডান, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, বসুন্ধরা গ্রুপ সহ অনেক নামিদামি ক্লাব থেকে বিভিন্ন তারকা ফুটবলারদের আগমন ঘটেছিল।
ফুটবল ম্যাচ টি নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ স্বেচ্ছাসেবক দল এবং নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
নির্ধারিত সময় খেলা শুরু হলে উভয় দলই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। খেলার ছয় মিনিটের সময় জুগিরগোফাএফসি এক গোল করে দলকে এগিয়ে নেয়
তার কিছুক্ষণ পরে চৌদ্দ মিনিটের সময় মদনাডাঙ্গা এফসি একটি গোল করে সমতায় আসে। হাফটাইমের আগে পর্যন্ত ০১-০১ গোলে অমীমাংসিত থাকি। হাফটাইমের পরে দুই দল আপ্রাণ চেষ্টা করেও কোন গোল করতে পারেনি। ফলে খেলাটি অমীমাংসিত থেকে শেষ হয়।
খেলাটির জয় পরাজয় নিশ্চিত করার জন্য পেনাল্টি আয়োজন করা হয়। উভয় দলকে পাঁচটি করে পেনাল্টি শট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়। সৌভাগ্যক্রমে পেনাল্টিতে মদনা ডাঙ্গা এফসি এক গোলে জয় লাভ করে।
খেলার ফলাফল:
- ম্যাচটি ছিল ৯০ মিনিটের
- বাড়তি সময় ০৪ মিনিট
- প্রথমে ০১-০১ গোলে অমীমাংসিত থাকে।
- পেনাল্টি শুট আউটের মাধ্যমে রেজাল্ট নির্ধারণ করা হয়।
- মদনাডাঙ্গা এফসি ০৪ গোল
- জুগিরগোফা এফসি ০৩ গোল
বিজয়ী দল-মদনাডাঙ্গা এফসি।
এই ফুটবল খেলা টি সম্পর্কে আমার নিজস্ব মতামত:
ফুটবল খেলা আমাদের দেশের সব বয়সের মানুষের জন্য বিনোদনের একটি অন্যতম প্রধান উৎস। ফুটবল খেলার আনন্দ মানুষের মনের খোরাক যোগায়। আর ফুটবল খেলাটি যদি হয় অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ তাহলে আর কোন কথাই নেই। ঠিক এমন একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ খেলা ছিল এই ফুটবল ম্যাচটি। উভয় দলই ছিল আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণ। আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণের সাথে সাথে ছিল দর্শকদের তুমুল করতালি এবং নিজ নিজ দলের খেলোয়াড়দের উৎসাহ উদ্দিপনা প্রধানের বাণী। সব মিলিয়ে দুই দলই একটি উত্তেজনাপূর্ণ ফুটবল ম্যাচ আমাদের উপহার দেয়। এই ফুটবল ম্যাচ টি দেখে আমি নিজেই অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি।
ফুটবল খেলার মাঠে অনেক মানুষকে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য ক্রয় এবং বিক্রয় করতে দেখা গেছে।
[জিলাপি ভাজা]
[পেঁয়াজ বড়া, সিঙ্গারা এবং চপ ভাজা]
[বাদাম ভাজা]
[ঝালের গুঁডা, লবণ এবং অন্যান্য মসলা দিয়ে কামরাঙ্গা]
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আমার এই পোস্টটি ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমার পরিচয়:
আমি মোঃ নাজিবুল ইসলাম বিদ্যুৎ(@bidyut01)। একজন বাঙ্গালী হিসেবে আমি পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। মাতৃভাষা বাংলা আমার অহংকার।আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা (নতুন যোগদান করেছে চাকরিতে)। প্রাইভেট এর অধীনে এম এ শেষ পর্বের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আমি(কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ)। আমি অনলাইনের কাজ করে আসছি হাই স্কুলের ছাত্র জীবন থেকে। এছাড়াও বর্তমানে আমি কৃষি কাজের সাথেও জড়িত আছি। আমি ছবি অঙ্কন করতে, গান ও কবিতা লিখতে এবং ভ্রমণ করতে অধিক পছন্দ করি
গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা হলো ফুটবল আর এই খেলা ছোট থেকে বৃদ্ধ বয়সী পর্যন্ত লোক এই খেলাকে পছন্দ করে থাকে। তাই এরকম পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ ভাইয়া।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য। ফুটবল খেলা আসলে সবার নিকট খুবই প্রিয়।
আমার অনেক বছর ধরে একটা ইচ্ছা যে আমি এমন খেলা দেখবো সরাসরি। তবে কখনোই পারিনি,মেয়ে বলেই হয়তো পারিনি অথবা গ্রামে যাওয়া হয়না বলেই পারিনি। তবে আপনাকে ধন্যবাদ আমাকে ছবি গুলো অন্তত দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। গ্রাম বাংলার ফুটবল খেলা নিয়ে আপনাদের মন্তব্য গুলো খুব সুন্দর হয়েছে এবং আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভাল ছিল। অতিরঞ্জিত বর্জন দরকার।
অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। তবে এখানে আমি ফুটবল মাঠে খেলা সহ ফুটবল মাঠের সার্বিক দিক তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি।