মেসি সর্বকালের সেরা খেলোয়ার। বিশ্বকাপ আমাদের || ফিফা ওয়াল্ড কাপ ২০২২
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমিও মোটামুটি ভালোই আছি। আহা বিশ্বকাপ আমেজ শেষ যে। জিতে গেলো আর্জেন্টিনা। জিতে গেলাম আমরা। আহা এই আবেগ যেনো ধরে রাখা যায়না। আমি অনেক খশি। আমার থেকে খুশি মনে হয় কেউ নাই। মানে কি বলবো। এসব যেনো ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। আজ সে অনুভূতি জানানোর জন্য পোস্ট করলাম। আশা করি পুরো পোস্ট পড়বেন। আজ বেশি কিছু লিখবোনা।
গ্রুপ পর্বে সৌদি আরব এর সাথে প্রথম ম্যাচ হারার পর রীতিমত তাদের বাদ দিয়ে দেওয়া হচ্ছিলো। কিছু দলের সাপোর্টার রা এত্তো পরিমান ট্রল করেছে। আজ দেখুন সে দলই কাপ নিয়ে গেলো। মেসি ডি-মারিয়া কে বুড়ো বলা হচ্ছিলো। কিন্তু দেখেন ফাইনালে এই দুজনের গোলের কারনেই আমরা এগিয়ে ছিলাম এবং জিত নিয়ে মাঠ ছেড়েছি। যতই হোক পেনাল্টি শুট আউট। জিতা দিয়ে হচ্ছে কথা। কত সমালচনাই না করা হয়েছে। আর্জেন্টিনা কেনো পেনাল্টি পায় এসব নিয়ে কত কথা হয়েছে যা বলার বাইরে। আরে ভাই ফিফার নিয়মেই তো পেনাল্টি পেয়েছে। এমনি এমনি তো দেয়নি। গতকাল যেমন ফিফার নিয়মের কারনেই ফ্রান্স দুই দুইটা পেনাল্টি পেয়েছিলো। যাক সে সব নিয়ে আর কথা না বাড়াই। সেই খেলা বুঝার পর থেকেই মেসি আর আর্জেন্টিনার সাপোর্টার হয়েছিলাম আমি। আর থাকবো সব সময়। মন প্রাণ থেকেই চেয়েছিলাম এবার এর বিশ্বকাপটা যেনো মেসির হাতে উঠে। এবার কাপ মেসির হাতে না উঠলে যে খুব কষ্ট পেতাম আমি। শুধু আমি না। পুরো বিশ্বের সকল মানুষই কষ্ট পেতো। কারণ এটা মেসি। মেসির শেষ বিশ্বকাপ এটা। বিশ্বকাপ যদি মেসির হাতের ছোয়া না পায় তাহলে যেনো অপূর্ণই রয়ে যাবে। কিন্তু সব কিছু ভুলিয়ে কাপ এখন আমাদের মেসির হাতে। আহা এই আনন্দ কোথায় রাখি আমি। এ আনন্দ এতো সহজে শেষ হওয়ার নয়। আগামী বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত এ আনন্দ রয়ে যাবে আমার।
গতকালের ফাইনাল নিয়ে অনেক জল্পনা কল্পনা ছিলো। আমার মনে হয় পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ চাচ্ছিলো আর্জেন্টিনার মেসির হাতে কাপ উঠুক। গতকাল আমাদের বারবিকিউ পার্টি ছিলো। সেখানেই খেলা দেখার সব কিছু ঠিক করা হয়েছিলো। খেলা সেখানেই দেখেছি। এ সম্পর্কে বিস্তারিত লিখবো শিগ্রই। প্রথম যখন পেনাল্টি পেলো আর্জেন্টিনা তখন আমি বাসায় যাচ্ছিলাম। মানুষ এর চিল্লানি দেখে ভেবেছি গোল দিয়েছে। কিন্তু পরে ভাবলাম গোল দিলে আরো বেশি চিল্লাইতো। পরে শুনি পেনাল্টি পেয়েছে। বাসায় এসে পেনাল্টিটা দেখলাম। ভয়ে ছিলাম মেসি আবার মিস না করে বসে। মেসি গোলকিপার কে বোকা বানিয়ে গোল দিলো। সাথে সাথেই আমার চিল্লানো কে থামায়। গলার আওয়াজ ২০% তখনই শেষ করে দিয়েছি। এরপর উপরে উঠি। যেহেতু অনলাইনে দেখতে ছিলাম তাই ৩০-৪০ সেকেন্ড এর মত ডিলে ছিলো। হঠাৎ বাইরে শব্দ শুনতে পেলাম। অনেক বড় চিল্লানো। মনেই হলো আর্জেন্টিনা গোল দিয়েছে। ৩০ সেকেন্ড পর দেখলাম ডি মারিয়া গোল দিছে। শুরু হলো চিল্লানো আর নাচ। গলা আমার তখন ৭০% এর মতন শেষ। ভেবেছি খুব সহজেই জিতে যাবো। কিন্তু ফ্রান্স পেনাল্টি পেলো এগিয়ে গেলো। আমরা সবাই চুপ। কিন্তু ব্রাজিল এর বন্ধু গুলা শুরু করেছিলো চিল্লানি। ফাটাই ফেলতেছিলো ওরা।
এরপর যখন আবার আরো একটা গোল খেয়ে গেলো আর্জেন্টিনা তখন আমরা সবাই চুপ। আমি কেঁদে দিয়ে ছিলাম। চোখ পানিতে ভরে যাচ্ছিলো বার বার। কিন্তু নিরব ছিলাম। আর ব্রাজিল বন্ধু গুলার উল্লাস দেখতে পেলাম। তারপর মেসির গোল। এবার আর বেশি চিল্লাইনি আমি। কারণ তখন আমরা সবাই বারবিকিউ খাচ্ছিলাম এক সাথে। তবু দুই একটা ডাক দিলাম। কিন্তু পরক্ষনে আবারো মন খারাপ। আবারো পেনাল্টি আবারো ফ্রান্স সমতায়। এর পর খেলা গেলো পেনাল্টি শুট আউটে। ভয়ে ছিলাম কি যেনো হয়। প্রথমে ফ্রান্স গোল দিলো। সব যায়গা চুপ চাপ । ব্রাজিলিয়ান রা একটু চিল্লানি দিয়েছিলো। পরে মেসির গোল। একটি চিৎকার দিলাম। তারপর নিচ থেকে অনেক শব্দ পেলাম। শব্দের পরিমান শুনে বুঝার বাকি রইলোনা আমাদের মার্টিনেজ গোল ঠেকিয়েছে। এর পর আবারো চিল্লানি। সেটা দিবালার গোল দেওয়ার জন্য। তারপর তো আরো জোরে চিল্লানি। কারণ ফ্রান্স এর আবার গোল মিস গেছে। শেষে মন্টিনেল এর গোল এর পর শুরু হলো আমাদের সিলেব্রেশন। আমি গায়ে থাকা টি শার্ট খুলে খালি গায়ে পুরো ছাদ লাফিয়ে চিল্লায়ে চিল্লায়ে ঘুরেছি। সবাই শুধু আমার সিলেব্রেশনই দেখেছে। আহ জিতে গেলো মেসির আর্জেন্টিনা।
তো এই ছিলো আজকে। আশা করি ভালো লেগেছে আপনাদের। কেমন হলো জানাবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░
আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কালকের ম্যাচ একেবারে শ্বাসরুদ্ধকর ছিল। বোঝা যাচ্ছিল না কি হবে। সবার দম বের হয়ে যাচ্ছিল। তবে অবশেষে আর্জেন্টিনার জয় হল দেখে ভালো লেগেছে। মেসি সর্বকালের সেরা খেলোয়ার। আর সব সময় সেরাই থাকবে। ভাইয়া আপনার অনুভূতি অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমি তো কেঁদেই ফেলেছিলাম আপু। গোল দুইটা খাওয়ার পর।
হাহাহা, ভাইয়া মেসির বিশ্বকাপ নিয়ে আনন্দে আপনি নিজের জামা খুলে নাচতে শুরু করলেন, মজা পেলাম এটা শুনে। যাই হোক আজকে আমার বাংলা ব্লগে ঢোকার পর থেকেই দেখতেছি সবাই খেলা নিয়েই পোস্ট করতেছে। আসলে এত বেশি ভালো লেগেছে কালকের খেলা যা বলে বোঝানো যাবে না। আর ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতে নিবে আগামী বিশ্বকাপে দেখবেন। আর্জেন্টিনা কে সুযোগ দিল আর কি বুঝতে হবে 🤭।যাইহোক ভালো লাগলো আপনার আজকের ব্লগিং।
হুম। সেদিন আমাকে কে আটকায়।
কালকের ম্যাচটি ভোলার নয়। আসলে আমি কখনো এই খেলা দেখিনি কিন্তু কালকে কেন জানি খেলা দেখেছিলাম পুরোপুরি। আমার কাছে কিন্তু কালকের ম্যাচটি খুবই ভালো লেগেছিল। টানটান উত্তেজনা সাথে কালকে খেলাটি দেখা হয়েছে। শেষে তারা যে আনন্দ করেছে তা আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে তাদের হাসি মুখ দেখে খুবই খুশি হয়েছি। শুধু আপনি কেন আর্জেন্টিনা সাপোর্টার সবগুলোই খুশি হয়েছে কালকের ম্যাচ জেতার কারণে। সত্যিই যাদের নিয়ে অন্যান্য দলের সাপোর্টার নানান কথা বলত তারাই এবার বিশ্বকাপ নিয়েছে। খুবই ভালো একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে বিশ্বকাপ আসলেই খেলা দেখার উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। সারা বছর কম বেশি দেখা হলেও বিশ্বকাপ আসলে বেশির ভাগ ম্যাচ দেখা হয়।
হ্যা মেসি দা বেস্ট। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ প্লিয়ার ও মনে হয় এই বলের যাদুকর মেসি। গতকালের শ্বাসরুদ্র খেলায় তো হতাশ হয়েই গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম যে ফ্রান্স মনে হয় কাপ নিয়ে বাড়ি যাবে। বাট শেষ হাসিটা আমরাই হাসলাম।
হুম। একটু ভুলের জন্য হারতে বসেছিলো।
আমি আর্জেন্টিনার একজন সার্পোটার, তারপর মেসির, আমি ও মনে প্রানে চেয়েছিলাম যে আর্জেন্টিনা এবার বিশ্বকাপটা নিক। সেটা পূরণ হয়েছে। আপনি আপনার খেলা দেখা এবং ফাইনাল জেতার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সেটা দেখে অনেক ভালো লাগলো। বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলাটা ফাইনালের মতোই হয়েছে। ভরপুর উত্তেজনায় ঠাসা একটা ম্যাচ ছিলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
হুম ভাই আমাদের আশা পূরণ হয়েছে। আমরা সবাই খুশি অনেক।