টাকা দিয়ে বিষ কিনি

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আমার বাসায় যেহেতু ছোট ভাইবোন রয়েছে সেক্ষেত্রে আসলে প্রায় সময় বাইরের খাবার দাবার আমাকে না চাইতেও আনতে হয়। অর্থাৎ সত্যি কথা বলতে এটা সকলেই বুঝতে পারবে যে বাসায় ছোট ভাই বোন থাকলে আসলে তাদের জন্য না চাইলেও অনেক কিছুই করতে হয়, অনেক কিছুই আনতে হয়। কারণ তারা অনেক আবদার করে। তো সেই আবদার গুলো আসলে পূরণ করতে হয়। আর পূরণ না করতে পারলেও নিজের কাছে খারাপ লাগে। আর বিশেষ একটি ব্যাপার হলো, এই আবদার গুলো আমাদের কাছেই করে, সবার কাছে কিন্তু করেনা। তাই আসলে এই আবদার গুলো মেটাতে না পারলে খুব একটা ভালো লাগে না। আর অনেক বেশি যে অন্যায় আবদার করে ফেলে ব্যাপারটাও তেমন নয়। অর্থাৎ ঐ আবদার গুলো অন্তত মেটানোর মতোন ই।

যাইহোক আমার বাসায় যারা ছোট রয়েছে।অর্থাৎ আমার ছোট ভাই বোন।। ওরা আবার অনেক বেশি চকলেট কেক খেতে পছন্দ করে অর্থাৎ পেস্ট্রি। আর ওদের ভাষায় যদি বলি তাহলে বার্থডে কেক। আর নুয়াইরার বার্থডে যে আমাদের কতবার সেলিব্রেট করতে হয়। সেটা আসলে কখনোই গুনে রাখা সম্ভব না। কারণ সে বার্থডে কে খেতে অনেক পছন্দ করে। আর ওর যখন কেক খেতে ইচ্ছে করে তখন এসে এটা বলে যে তার বার্থডে পালন করতে হবে। যদিও একসাথে সে এক দুই চামচের বেশি কে খায় না। কিন্তু তাও তাকে পুরো কেক এনে দিতে হয়।

যাইহোক সেদিন আসলে শপিং করে ফেরার সময় আমি দুটো জার কেক কিনে আনি। যদিও সেদিন ও পেস্ট্রি কিনতাম। কিন্তু আমার হাতে এত বেশি জিনিস ছিল যে আমার পক্ষে এত বড় একটা পেস্ট্রি হাতে নেওয়াটা সম্ভব হচ্ছিল না। তার উপরে সাথে কেউ ছিল ও না, সে কারণেই মূলত আমি বনফুল থেকে এই জার কেক গুলো কিনি এবং খুব ভালো দেখেই কিনে। অর্থাৎ অনেকবার জিজ্ঞেস করি, যেহেতু এটা বাচ্চারা খাবে। সেক্ষেত্রে এই খাবার গুলো ঠিক আছে কিনা ।

তো ওনারা বলেন যে এগুলো একেবারে ঠিক আছে। তো সে কারণেই মূলত আমি কিনি। কারণ সত্যি কথা বলতে বনফুলের পেস্ট্রি আমার অনেক পছন্দ আগে থেকেই। কিন্তু বাসায় আনার পরে যখন খাওয়ার জন্য নেই। তখন প্রথমত উপরের চকলেট একেবারেই গলে গিয়েছিল। তো আমি ভাবলাম গরম সে কারণে। প্রায় একদিন ফ্রিজে রেখেছি। কিন্তু তাতেও দেখলাম যে যেমন চকলেট তেমনি রয়েছে, অর্থাৎ একেবারে গলা।

তাও আমি ভাবলাম যে এমন ই হয়তো। যদিও আমি এর আগে কখনোই এমন দেখিনি। কারন ফ্রিজে রাখার সাথে সাথে কিন্তু চকলেট স্বাভাবিকভাবেই একটু শক্ত হয়ে যায়। যাইহোক এবার আসি টেস্ট এর ব্যাপারে। আসলে টেস্ট এত জঘন্য ছিলো খাবারটির। যেটা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। অর্থাৎ খাওয়ার সময় মনে হচ্ছিল যেনো আমি কোন ওষুধ খাচ্ছি। অর্থাৎ এত বাজে স্মেল ছিলো খাবারটির। আমি এক দু চামচ খেয়ে আসলে আর বাচ্চাদেরকে দেওয়ার সাহস করিনি। কারণ আমার ই খেতে যখন এত খারাপ লাগছিলো। তখন আসলে ওই খাবার বাচ্চাদেরকে দেওয়ার কোনো মানেই হয় না।

আসলেই খাবার গুলো দেখলে মাঝেমধ্যে আমি নিজেই কনফিউজড হয়ে যাই যে টাকা দিয়ে খাবার কিনছি নাকি বিষ! কারণ যেই খাবার আসলে মুখে দেওয়ার সাথে সাথেই এত খারাপ লাগছে। সেটা সম্পূর্ণ শেষ করলে তাহলে মানুষের শরীরের কি অবস্থা হবে সেটাই মাঝেমধ্যে ভাবি।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।