২৪ যেন দেয়ার চাইতে নিয়ে গেলোই বেশি ।।
হ্যালো ,আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যগণ সকলে কেমন আছেন।আশা করি সকলে নিরাপদে এবং সুস্থ আছেন।আমিও সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে শারীরিক ভাবে ভালো আছি , কিন্তু মানসিক ভাবে মোটেও ভালো নেই। দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে কারোই মন ভালো নেই। কিভাবেই বা ভালো থাকবে।এই সর্বনাশী বন্যায় দেশের এবং দেশের মানুষের যা অবস্থা করছে তাতে মন ভালো না থাকাটাই স্বাভাবিক।এই বছরটা অর্থ্যাৎ ২০২৪ সালটা দেয়ার চাইতে হয়ত নিতেছেই বেশি। গত জুলাই মাসে থেকে শুরু হয়েছে নেয়া। কিছুদিন আগেই হয়ে যাওয়া বৈষম্য বিরুধী আন্দোলনে হাজারো তাজা প্রাণ ঝরে গেলো। হাজারো মায়ের, বাবার বুক খালি করে তার সন্তান পরলোকে চলে গেল।কেউ হারিয়েছে নিজের সন্তানকে, কেউবা নিজের বাবা, ভাই, বোনকে। তবে একটা পর্যায়ে আমাদেরই বিজয় ঘটে।তবে এই বিজয় নিয়েনিয়েছে হাজারো প্রাণ। তাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা আরও একবার স্বাধীনতা ফিরে পেলাম।
আবার কিছুদিন আগেই কলকাতায় ঘটে গেলো এক মর্মান্তিক ঘটনা। হয়ত কলকাতার প্রতি আমাদের এত টান নেই , নিজের দেশ নয় যেহেতু।কিন্তু যে ঘটনা ঘটে গেছে তা দেখলে বা শুনলে গা শিউরে উঠে। একজন ডাক্তারকে কিভাবে খুবলে খায় নর পিশাচের একদল। কলকাতায় এখনো এর বিরুদ্ধে এবং সুষ্ঠ বিচারের আশায় আন্দোলন চলছে। আশা করি এর সুষ্ঠ বিচার পাওয়া যাবে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।এই শাস্তি দেখে যেনো আর কোনো মানুষ এই ধরনের ঘৃণ্য কাজ করতে সাহস না পায়।মনে একবারও যাতে এই ধরনের বাজে চিন্তা না আসতে পারে শাস্তির কথা ভেবে।
আবার হয়ে গেলো বাংলার ইতিহাসের সবচাইতে ভয়ানক বন্যা। হাজারো মানুষের ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কিছু আবার আছে অর্ধ ডুবন্ত অবস্থায়। নিজের ঘরবাড়ি ফেলে দিয়ে সবাইকে আশ্রয় নিতে হচ্ছে রেসকিউ শেল্টারে। হয়ত তারা সেখানে থেকে বন্যা থেকে নিজের প্রাণ রক্ষা করতে পারছে।তবে তারা এই মর্মান্তিক ঘটনা হয়ত আজীবনেও ভুলতে পারবে না। বন্যার পানি নেমে গেলেই তো আর দুর্ভোগ শেষ হয়ে যাবে না। তখন শুরু হবে সবচাইতে বড় সমস্যা। যাদের ঘর স্রোতের টানে পানির সাথে বেয়ে চলে গেছে , অথবা ভেঙে পড়েছে তাদের মাথায় সবচাইতে বেশি চিন্তার ভাজ পড়বে। তারা হয়ত বিষয়টা জানে। রেসকিউ শেল্টারে বসে বসে হয়ত এই চিন্তাটাই করতেছে , যে কিভাবে আবার নিজের ঘর তৈরি করবে, মেরামত করবে।
এই ২০২৪ সালের বর্তমানে আটমাস চলতাছে। এখনো হাজারো প্রাণ নিয়ে নিয়েছে, নিয়ে নিয়েছে লাখো মানুষের ঘরবাড়ি, ভেঙে দিয়েছে মানুষের স্বপ্নের বাড়ি।এর প্রতিদানে পেয়েছি শুধু এক স্বাধীনতা।এর থেকে বেশী কিছু এখনো পাই নি। হয়ত ২৪ কিছু দেয়ার বিনিময়ে শুধুই নিতে এসেছে। সৃষ্টিকর্তা আমাদের রক্ষা করো যেনো আরো কোনো প্রাণের বিনাস না হয়।২৪ কে বলা যেতে পারে বাংলার বুকে এক ঐতিহাসিক সাল। আমাদের এই বছরটা থেকে শিক্ষা নেয়া দরকার। কারণ এই ভয়াবহ দুর্যোগের সময় দেশের সকল মানুষ কিভাবে এক হয়ে কাজ করতেছে।যে যা পারতেছে তাই দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। অনেক ছোট বড় এনজিও তে মানুষ দান করতেছে।সেই টাকা দিয়ে এই এনজিও গুলো মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে।এই ২৪ আবার হয়ত আমাদের শিক্ষা দিচ্ছে কিভাবে একতাবদ্দ হয়ে দেশের প্রয়োজনে এগিয়ে আসতে হয় , কিভাবে অন্যের দুঃখকে নিজের দুঃখ মনে করে সাহায্য করতে হয়।এই ২৪ আমাদের অনেক নিয়েছে, আবার অনেক কিছু শিক্ষাও দিয়েছে। দুর্যোগে মানুষের পাশে কীভাবে দাঁড়াতে হবে, কিভাবে নিজের স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। তারপরও এই হাজারো মানুষের প্রাণ, ঘরবাড়ি সব নিয়ে নিলো এই সর্বনাশা ২৪ ।তাই আজ বলতে ইচ্ছে হচ্ছে , এই ২৪ যেনো দেয়ার চাইতে নিয়ে গেলোই বেশি।
সবাই ভালো থাকবেন।যে যেভাবে পারেন বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। নিজে সুস্থ থাকেন এবং নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখেন।সবাই বেশি বেশি গাছ লাগানোর চেষ্টা করবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
আমি আরাফাত হাসান সৌনক। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টেরএকজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে ভালোবাসি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি।আমি আমার পরিবারকে খুব ভালোবাসি।
জীবনের পাওয়া না পাওয়ার হিসাব মেলাতে গেলে হয়তো শেষে হিসেবের খাতা শূন্য হয়ে যাবে ভাইয়া। তাই আমরা অনেক কিছু না ভেবেই জীবন চালিয়ে যাই। আপনার লেখাগুলো পড়ে ভিন্ন রকমের কিছু খুঁজে পেলাম। দারুন লিখেছেন আপনি।
জ্বী, আপু আপনি যথার্থই বলেছেন। জীবনের পাওয়া না পাওয়ার হিসাব মিলানো বড়ই কষ্টকর, যা হয়ত সম্ভব ও না।
যাই হোক,
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
🌱💖 ধন্যবাদ 🙏 আরাফাত হাসান সৌনকের মনোবিজননাশা ২৪-এর অভিনয়। 💖
যারা সবাই ভালো থাকতে চান, আমি দাঁড়কারী! 🙏 পরিবার, গ্রাম, জনসংখ্যা - সকল থেকে শুভকামনা! 💚
ধন্যবাদ @araffathasan.souank এর অমিত উপহার। 🙏