বন্যার সময় আমাদের করণীয় কি কি?
বন্যা এমন একটি প্রকৃতিক দুর্যোগ যা প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত করে তোলে। বর্তমানে সিলেট, ফেনী সহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও পরিবার। এমন পরিস্থেতিতে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপদে রাখা আমাদের সবার কর্তব। তাই কিছু উপকারী তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই যেগুলো সকলকে সাহায্য করবে।
বন্যার সময় নিরাপদ থাকতে করণীয়:
- নিরাপদ আশ্রয় নির্বাচন : বাড়ির নিচের তলায় জিনিসপত্র সরিয়ে রাখুন এবং প্রয়োজনে উঁচু জায়গায় যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। যদি বাড়িতে থাকার উপযোগিতা না থাকে, তবে নিকটস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন।
জরুরি সামগ্রী সংগ্রহ করুন: খাদ্য, পানীয় জল, ঔষধ, টর্চলাইট, ব্যাটারি, প্রয়োজনীয় নথি এবং পোশাক একটি ব্যাগে প্রস্তুত রাখুন। বন্যার সময় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে, তাই মোবাইল ফোনের পাওয়ার ব্যাংকও সঙ্গে রাখুন।
নিরাপদ পানির ব্যবহার নিশ্চিত করুন: বন্যার পানিতে জীবাণু থাকতে পারে, যা রোগের কারণ হতে পারে। পান করার জন্য ফুটানো পানি ব্যবহার করুন অথবা বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহার করুন।
যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখুন: পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন এবং বিপদজনক অবস্থায় সবাইকে একত্রে রাখার চেষ্টা করুন। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন এবং প্রয়োজনে সাহায্য চেয়ে নিন।
- শিশুদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন:
বন্যার সময় শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তারা দুর্যোগের সময় সহজেই বিপদে পড়তে পারে, তাই বিশেষ খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
১. শিশুদের সবসময় নজরে রাখুন: বন্যার সময় শিশুদের কাছাকাছি রাখুন এবং কখনোই তাদের একা বাইরে যেতে দেবেন না। পানির স্রোত কিংবা কাদামাটিতে তারা সহজেই পড়ে যেতে পারে।
২. স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা: শিশুদের পরিষ্কার পানি ও নিরাপদ খাবার দিন। বন্যার পানি দূষিত হতে পারে, যা শিশুদের জন্য বিশেষ ক্ষতিকর। তাদেরকে ঘন ঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস করান এবং যেখানে বন্যার পানি পৌঁছেছে সেইসব জায়গা থেকে দূরে রাখুন।
৩. খেলনার প্রতি সতর্ক থাকুন: বন্যার সময় খেলনা দিয়ে খেলার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। পানিতে পড়ে যাওয়া খেলনাগুলি দূষিত হতে পারে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
৪. মানসিক সাপোর্ট দিন: বন্যা শিশুদের মানসিকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাদের আতঙ্কিত বা ভীত হলে তাদের পাশে থাকুন, সাহস দিন এবং তাদের সঙ্গে গল্প বা খেলার মাধ্যমে মনোযোগ অন্যদিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
৫. শিক্ষামূলক কার্যক্রম: শিশুদের দুর্যোগ সম্পর্কে সচেতন করার জন্য সহজ ভাষায় শিক্ষামূলক আলোচনা করুন। তাদের কীভাবে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হবে, সে বিষয়ে জানাতে পারেন।
শিশুদের সুরক্ষায় আপনার সচেতনতা ও দ্রুত পদক্ষেপ তাদের জীবনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বন্যার পর পোকা-মাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে ঘর-বাড়ি পরিষ্কার রাখুন এবং মশারি ব্যবহার করুন। জমে থাকা পানিতে মশা জন্মাতে পারে, তাই পানি দ্রুত সরিয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার করুন।
আপনার পোস্ট দেখে বোঝা গেল আপনি বেশ সচেতন। বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি বেশি একটা ভালো না। এই যে এই মুহূর্তে আমাদের এখানে বৃষ্টি চলছে। তাই আমাদের অবশ্যই সচেতন নাগরিক হতে হবে এবং এই সমস্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
আপনার মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।