বন্যার্তদের জন্য আমাদের অফিস থেকে ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।।
বাংলা ভাষায় অনুভূতি প্রকাশ করার অন্যতম মাধ্যম-
আপনারা সবাই জানেন যে বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষ একটি কঠিন সমস্যার মধ্য দিয়ে দিনরাত অতিক্রম করছে। আর সেই সমস্যা হলো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা। আর এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আমাদের মত মানুষরাই দায়ী। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ কিছু জেলাতে বন্য দেখা দিয়েছে। কিছু কিছু এলাকার পানি কমে গলেও আবার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যা হলে কি প্রবলেম হয় সেটাতো আপনারা সবাই জানেন। এক দুইদিন না খেয়ে থাকা যায়, কিন্তুু পানিতে বসবাস করা যায় না। যার ফলে বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করলে মানব জীবন অচল হয়ে যায়। আর এই বছরের বন্যাতে প্রচুর পরিমানে পানি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় টিনের ঘর সহ এক তলা ছাদ পর্যন্ত তলিয়ে গেছে। হাসপাতাল, দোকান পাট, বাজার সব জাগায় পানি প্রবেশ করেছে। যার ফলে মানুষ বিভিন্ন উঁচু জায়গা সহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। এখন সেখানেও তাদের জীবন যাপন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। খাওয়া দাওয়া, গোসল, অসুস্থতা সহ বিভিন্ন সমস্যায় তারা অক্রান্ত হয়ে গেছে। এই জন্য তাদের প্রতি সারা বাংলাদেশের মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।
বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের মানুষ, সেচ্ছাসেবী দল, প্রবাসি, শিল্পী, অভিনেতা সবাই তাদের দিকে হাত বাড়িয়েছে। আমাদের দেশের ছাত্র সমাজ তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ঢাকা বিশ্বাবিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট সহ বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টরা মিলে ঢাকার টিএসসি ও শাহবাগ মোড়ে গণত্রাণ কর্মসূচী ঘোষনা করেছে। তারা প্রায় দুই কোটি নগদ টাকা সহ প্রায় পঞ্চাশ ট্রাক বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ করেছে। আর সব গুলোই বন্যার্তদের মাঝে বন্টন করা হয়েছে। এই বছর বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নামের একটি ফাউন্ডেশন।এই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ আহমাদুল্লাহ সাহেব বলেন আমরা ১০০ কোটি টাকার ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। তারা অলরেডি ২০ থেকে ৩০ কোটি টাকার ত্রাণ বন্যার্তদের মাঝে বন্টন করেছে। এছাড়াও এই ফাউন্ডেশনটি বন্যা পরবর্তী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের ঘর নির্মান সহ বিভিন্ন উপকরণ তাদের মাঝে বন্টন করার ঘোষনা দিয়েছে। আর এই ফাউন্ডেশনের মধ্যে দেশি বিদেশি ব্যবসায়ী, চাকরিজীবি অনেক মানুষ অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছে। এছাড়াও আমরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেখতে পায় ছোট বড় অনেক ফাউন্ডেশন বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছে।
সারা বাংলাদেশের মানুষ যখন বন্যার্তদের পাশে দাড়িয়েছে তখন আমাদের অফিস থেকেও বন্যার্তদের পাশে দাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। অলরেডি আমি দুই জাগায় সামর্থ অনুযায়ী অর্থ দিয়েছি। এখন আমাদের অফিস থেকে ও যেহেতো উদ্যোগ নিয়েছে, এখানেও সামর্থ অনুযায়ী অর্থ দিয়ে সেই উদ্যোগে অংশগ্রহন করেছি। আমাদের অফিসে দুইভাবে অর্থ সংগ্রহ করেছে। একটি হলো ক্যাশ টাকা আর একটি হলো সেলারি থেকে কেটে নেওয়া। এখন যারা ক্যাশ অর্থ দিবে তারা একটি বক্সের মধ্যে টাকা ফেলবে, আর যাদের কাছে ক্যাশ নেই তারা যদি ইচ্ছা করে তাদের নামের পাশে এমাউন্ট লিখে স্বাক্ষর করে দিবে। তখন সেলারি থেকে ঐ পরিমান অর্থ একাউন্টস থেকে কেটে রাখবে। এখানে কে কত টাকা ফান্ডে দিবে কারো কাছে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। যার যত ইচ্ছা তত টাকা দিতে পারবে।
যেহেতো মাস শেষ সবার পকেট ফাঁকা। সেই জন্য ক্যাশ টাকা তেমন কেউ দেয়নি। সবাই সেলারি থেকে কেটে নেওয়ার জন্য টাকার সংখ্যা লিখে স্বাক্ষর করে দিয়েছে। অনেকে আবার পকেটে যা ছিল সেটাও দিয়েছে আবার সিটের মধ্যে এমাউন্ট লিখে দিয়েছে। এখানে বক্সে কম টাকা দেখা যায়। কারন আমি টাকা তুলার শুরুর দিকে পিকটা তুলেছিলাম। পরে তো বক্স টাকা দিয়ে ভরে গেছে। বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানতে পারলাম আমাদের গ্রুপ থেকে প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকার মত সংগ্রহ হয়েছে। এগুলোর সাথে আমাদের সম্মানিত চেয়াম্যান স্যার আরো কিছু অর্থ যোগ করে প্রায় এককোটি টাকা মত একটি ফান্ড বন্যার্তদের জন্য হাদিয়া দিবেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা বেশি দিন থাকবেন না। সাময়িক সময়ের জন্য মানুষ গুলো কষ্ট করবে, সেটা আমরা মানুষ হিসাবে মানতে পারি না। সেই জন্য দেশের সমস্ত মানুষ তাদের প্রতি হাত বাড়িয়েছে। এছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আমাদের দেশের সরকার প্রধানের ফান্ডে অর্থ পাঠিয়েছে। মানুষ তো মানুষের জন্যই, একজন মানুষের বিপদে যদি অন্য মানুষ না দাড়ায়, তাহলে তো আমরা মানুষ বলে নিজেদেরকে পরিচয় দিতে পারি না। আশা করি এই দুর্যোগ খুব তারাতারি কেটে যাবে, আবার সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। সেই আশা নিয়ে আজকে এখানেই বিদায় নিলাম। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | realme-53 |
নাম | বন্যার্তদের জন্য আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।। |
স্থান | ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। |
তারিখ | ২৫/০৮/২০২৪ |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আলহামদুলিল্লাহ ভাই আপনার পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার মাধ্যমেই তারা তাদের প্রাণটা হয়তো ফিরে পাবে। কেননা ছোট ছোট বালিকনাই যেমন একটা মহাবিশ্ব তৈরি করা যায় ঠিক তেমনি এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রচেষ্টাই আমরা তাদের স্বাভাবিক জীবন ফিরে দিতে পারি। তাছাড়া আপনার অফিসে কালেকশন হয়েছে বিষয়টা জানতে পেরে ভালো লাগলো। আমরাও আজকে কালেকশন করেছি । সত্যিই বিষয়গুলো দেখলে খুবই ভালো লাগছে ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
জী ভাই সবাই অল্প অল্প করে দিলেই অনেক হয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ।
এইরকম অনাকাঙ্খিত বন্যার জন্য মানুষের ভোগান্তি সর্বোচ্চ পর্যায়ে। তবে মানুষের পাশে মানুষ যেভাবে দাঁড়িয়েছে সেটা সত্যি প্রশংসনীয়। আপনাদের অফিসের কার্যক্রম টা ভালো লেগেছে অনেক। আমাদের অফিস থেকে সকল কর্মচারীদের একদিনের স্যালারি কেটে নিয়েছে বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য। এবং সকলে সেটা খুব ভালোভাবে সম্মতি জানিয়েছে।
জী ভাইয়া আমাদের গ্রুপ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা হাদিয় যাবে, ইনশাল্লাহ।।
এটি একদম ঠিক বলেছেন দুই দিন না খেয়ে থাকা যায় কিন্তু পানিতে বসবাস করা যায় না। আর বর্তমান সময়ে বন্যার পরিস্থিতির কারণে অনেক জায়গাতে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আর বন্যা এ পরিস্থিতির মাঝে মানুষ অনেক কষ্টে আছে। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে বন্যা এলাকায় হেল্প করতে পারলে ভালো হয়। আপনি সামর্থ্য অনুযায়ী দুই জায়গাতে অনুদান দিয়েছেন শুনে বেশ ভালো লাগলো। আর সবাইর মনুষ্যত্ব থাকতে হবে বন্যা এলাকা অনুদান দেওয়ার জন্য। যাইহোক সুন্দর করে পোস্টটি করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু সবাই যথাসম্ভব চেষ্টা করছি বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য।
"Hey everyone! 👋🏻 Let's get this party started! 🎉 Come join us on Discord at https://discord.com/channels/853578047906250782/853578047906250787 and let's have some fun! 🤩
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Vote for xpilar.witness by going to https://steemitwallet.com/~witnesses and help us grow the Steem community! 🙌"