একদিন স্কুল মাঠ থেকে গৃহপালিত প্রাণী ভেড়ার ফটোগ্রাফি করার অভিজ্ঞতা শেয়ার
আজ - বৃহস্পতিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদের কে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট।
প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আর হ্যাঁ, আপনারা জানেন 'সুমন মানে নতুন কিছু, সুমন মানেই ইউনিক পোস্ট'। আজ সেই কথাটি মাথায় রেখেই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম আমাদের স্কুলের পাশ থেকে এক পাল ভেড়ার ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলার জন্য। আমি ভিন্ন টাইপের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে বেশি ভালোবাসি। তাই মনে হয় ভিন্ন জাতীয় জিনিসগুলো আমার সামনে বেশি উপস্থিত হয়। আজকে যে ভেড়ার ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে নিয়ে উপস্থিত হয়েছি, এই ভেড়ার ফটোগ্রাফি করার মুহূর্তটা আমার জন্য ছিল খুবই আবেগ ময়। আমি এর পূর্বেও ছাগল-ভেড়ার ফটোগ্রাফি করেছি কিন্তু এতগুলো কোনদিন দেখি নাই। যার জন্য বেশি আবেগ সৃষ্টি হয়েছিল মনের মধ্যে। আর ওদের সৌন্দর্য আমাকে মুগ্ধ করেছিল। যদি স্কুল না হয় বাড়িতে স্বাভাবিক কোনো স্থানে হতো, তাহলে ছোট বাচ্চা কোলে নিয়ে ফটো ওঠানোর চেষ্টা করতাম। যা হোক, চলুন জেনে নেওয়া যাক ওই মুহুর্তটা আমার অনুভূতি কেমন ছিলো
'আমার বাংলা ব্লগ' কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট |
---|
ভেড়ার ফটোগ্রাফি
|
---|
স্থান মড়কা বাজার, গাংনী, মেহেরপুর |
---|
একদিন মনোযোগ সহকারে ছাত্রদের পড়াচ্ছিলাম, এমন মুহূর্তে শ্রেণীর জানালা দিয়ে লক্ষ্য করলাম স্কুল ফিল্ড এর নিকটে অনেকগুলো ভেড়া পাল ধরে চরাই করতে করতে চলে আসে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
একসাথে এতগুলো ভেড়া দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। বাচ্চাদের বললাম তোমরা মনোযোগ সহকারে পড়ো আমি একটু ফটোগ্রাফি করি নাই।
Photography device: Infinix hot 11s
location
ক্লাসে ছেলেমেয়েরা হাসাহাসি করলো। তারা বলতে থাকলো স্যার ভেড়ার ছবি তুলছে। তাদের কথায় বেশি কর্ণপাত করলাম না। কারণ আমি এতগুলো ভেড়া একসাথে কোনদিন দেখি নাই। কারণ আমাদের এলাকায় এমনভাবে ভেড়া খুব কম সংখ্যক মানুষ পালে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
আরো সুন্দর ফটোগ্রাফি করার জন্য মন স্থির করলাম ছেলেমেয়েরা একটু পড়ছে পড়তে থাক, আমি দুই মিনিটের জন্য রুম ছেড়ে বাইরে যেয়ে ফটোগ্রাফি করে আসি। কারণ এই মুহূর্তে আমার ভিতরে খুবই ভালো লাগা কাজ করছিল। একবারে এতগুলো দলবদ্ধভাবে চরছে দেখি কেমন জানি মুগ্ধ হয়ে গেছিলাম।
Photography device: Infinix hot 11s
location
হ্যাঁ, আমি সত্যিই ক্লাস রুম ছেড়ে বাইরে চলে এলাম ফটোগ্রাফি করতে। এমন দৃশ্য আমি কখনো দেখি নায় যার জন্য বেশি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়লাম। অফিস রুমের সামনে দিয়ে স্কুল ফিল্ড এর সামনে চলে গেলাম এবং ফটোগ্রাফি করতে থাকলাম বিভিন্ন ভাবে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
এই মুহূর্তে আমার অন্য দিকে কোন খেয়াল ছিল না। কে আমাকে ফলো করছে, কে আমাকে দেখতে, কে আমাকে দেখে হাসছে,সেটা আমি লক্ষ্য করি নাই।
Photography device: Infinix hot 11s
location
অফিস রুম থেকে হেডমাস্টার বের হয়ে এসেছিলেন আমার পিছু পিছু, উনি লক্ষ্য করলেন আমি ভেড়ার ফটোগ্রাফি করছি। হঠাৎ করে পিছন পানে লক্ষ্য করে দেখলাম আরও ছাত্র-ছাত্রী যাদের ক্লাসে স্যার ছিল না, তারা বের হয়ে এসে আমাকে লক্ষ্য করে হাসাহাসি করছে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
হেডস্যারের চোখে চোখ পড়তে, আমাকে দেখে হাসতে হাসতে বলে উঠলো যাও ক্লাশে যাও। আমি কিছুটা লজ্জা বোধ করলাম এবং ভেড়াগুলোর পানে লক্ষ্য করতে ভেড়ার রাখালেরাও হাসাহাসি শুরু করলো। এবং বলতে থাকলো কি মাস্টার ভেড়া দেখেন নি কোনদিন? সত্যি অনেকটা লজ্জা অনুভব করছিলাম তখন।
Photography device: Infinix hot 11s
location
যেহেতু আমার বাংলা ব্লগে কাজ করার জন্য এই সেটটা নতুন কিনেছিলাম তারমধ্যে। তাই ফটোগ্রাফি করার একটা অন্যরকম আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছিল আমার মধ্যে। আর এতগুলো ভেড়া একসাথে দলবদ্ধ ঘাস খাওয়ার দৃশ্য পাশ থেকে কোন দিন দেখা নেই। যার জন্য এতটা প্রবল মনোভাব সৃষ্টি হয়েছিল ফটোগ্রাফি করার জন্য।
Photography device: Infinix hot 11s
location
ভেড়াগুলো খেতে খেতে হাই-রাস্তার দিকে চলে গেল। আমিও ক্লাসে প্রবেশ করলাম। ছাত্র-ছাত্রীরা বলতে থাকলো স্যার আমরা ভেড়া কত দেখেছি। আপনি আজ প্রথম দেখছেন? একেকজনের একেকরকম কথা শুরু হয়ে গেল। সমস্ত কথাগুলো চাপা দিয়ে পুনরায় ক্লাস শুরু করলাম মনোযোগ দিয়ে। ফটোগ্রাফি গুলো স্কুল থেকে দেখার সৌভাগ্য জুটে নাই। তাই ওইদিন বাড়িতে এসে রাতে খুব মনোযোগ সহকারে দেখছিলাম। আর নিজে থেকে কিছুটা হাসি পেয়েছিল আমার ফটোগ্রাফির সময়টা মনে করে।
Photography device: Infinix hot 11s
location
আশা করি,আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে বুঝতে ও শিখতে পেরেছেন। পোস্টটি উপস্থাপনা কেমন ছিল এবং এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন আমাকে জানাতে ভুলবেন না। আপনার জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইলো।
💌আমার পরিচয়💌
আমি মোঃ নাজিদুল ইসলাম (সুমন)। বাংলা মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস মেহেরপুর গভমেন্ট কলেজ। আমার বাসা গাংনী-মেহেরপুর। মড়কা বাজার, গাংনী,মেহেরপুর এ গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরি স্কুল নামক প্রি-ক্যাডেট স্কুলের সহকারি শিক্ষক । |
---|
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
💖💞💞💖
আমার পরিচিতি | কিছু বিশেষ তথ্য |
---|---|
আমার নাম | @sumon09🇧🇩🇧🇩 |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল |
ব্লগিং মোবাইল | Infinix hot 11s |
ক্যামেরা | camera-50mp |
আমার বাসা | মেহেরপুর |
আমার বয়স | ২৫ বছর |
আমার ইচ্ছে | লাইফটাইম স্টিমিট এর 'আমার বাংলা ব্লগ' এ ব্লগিং করা |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোষ্টে,ততক্ষণ ভালো থাকবেন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
হাই আপনি স্কুলের পাশ থেকে ভেড়ার ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন সত্যিই ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে।। এছাড়া আপনি বলেছেন এর আগেও অনেক পশু পাখির ফটোগ্রাফি করেছেন কিন্তু এই ভেড়ার ফটোগ্রাফি করতে আপনার আবেগটা একটু বেশি ছিল । আসলে এই ভেরা গুলা দেখতে অসাধারন ছিল। তাই আবেগটা একটু বেশি থাকবে ।কারণ সুন্দর জিনিসের প্রতি আমাদের আবেগ টা সব সময় বেশি থাকে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি একদম মনের কথা বলেছেন ভাই।
ভেড়া গুলোকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। আসলে আজ আপনি ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট করেছেন। আমি আপনার রেসিপি ও কবিতার পোস্ট একটু বেশিই দেখি। কিন্তু আজ ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখলাম। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য শুভকামনা রইল।
আমি চাই নতুন নতুন কিছু আমার বাংলা ব্লগে যুক্ত করতে, যেন সুন্দর কিছুতে ভরে ওঠে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি।
সবুজ মাঠে ভেড়াগুলোর ঘাস খাওয়ার দৃশ্য ফটোগ্রফি সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। আমাদের এদিকে কৃষকরা তেমন একটি ভেড়া পালন করে না। তাই ভেড়ার পাল দেখার অভিজ্ঞতা হয় না। হ্যাঁ এই ধরনের পোস্ট করার সময় আবেগ একটু বেশি থাকে। যাইহোক ভোরসকালে এত সুন্দর একটি প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবির ফটোগ্রাফ দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমিও খুশি হলাম আপনার ভালো লাগাতে পেরে।
আপনি মনে হয় না জেনেই এই দুঃসাহসিক কাজটা করে ফেলেছেন। ভেড়ার পাল যে কতটা বিপদজনক তা একটা আক্রমণেই ঢেড় বুঝে ফেলতেন যদি তেমন কিছু একটা ঘটে যেত।
তবে আমার মনে হয় এই ভেড়ার দলে তেমন বদ ভেড়া নেই থাকলে রাখাল নিশ্চয় আপনাকে সতর্ক করে দিত।
সর্বপরি আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভাল লাগছে। আর কাজের মধ্য থেকেই যে আপনি এই ফটোগ্রাফি গুলো করে রেখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নতুন মোবাইল ফটোগ্রাফি করতে খুবই বেশি ভালো লাগে, এইজন্য অন্য কোন দিকে খেয়াল ছিল না।
বাহ,দারুণ ভেড়ার ছবি শেয়ার করেছেন ভাইয়া।আসলে ভেড়া খুবই বাণিজ্যিক প্রাণী।আমাদের এখানে ও এইসময় প্রচুর ভেড়া চড়ানোর জন্য নিয়ে আসে বাইরে থেকে।ভেড়ার পশম কেটে নেওয়া হয় বিভিন্ন পোষাক তৈরির জন্য।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি খুব সুন্দর করে একটি মন্তব্য করেছেন আমার এই ফটোগ্রাফি নিয়ে। আমার খুব ভালো লাগলো।
তবে যে যাই বলুক আর হাসাহাসি করুক না কেন, আপনি কিন্তু গৃহপালিত প্রাণী ভেড়ার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ভাবে করেছেন। আমিও কোনদিন একসাথে এতগুলো ভেড়ার পাল দেখিনি। শুভকামনা আপনার জন্য।
একসাথে অনেকগুলো ছিল যার জন্য আমার খুব ভালো লাগছিল।
আসলে ভেড়ার ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আমি হয়তো আগে কখনও এতগুলো ভেড়া একসাথে দেখি নাই। ভেড়ার কালার গুলো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর ভাবে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভেড়া কিন্তু আমাদের জন্য খুবই উপকারী একটি পশু।এর লোম থেকে অনেক নামিদামি জ্যাকেট তৈরি হয়। আপনি ভেড়ার ফটোগ্রাফির গুলো করে আমার বাংলা ব্লগে শেয়ার করার মাধ্যমে আমাদের দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন। আপনাকে ধন্যবাদ ভাই
অবশ্যই, একদম ঠিক কথা বলেছেন আপনি।