
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজ আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি মন ভালো রাখার একটি মুহূর্তে নিয়ে। যথেষ্ট মন খারাপ ছিল এই মুহূর্তে নিজেকে ভালো রাখার প্রচেষ্টা করছিলাম আর টিকিট সেই বিষয়টা আপনাদের মাঝে তুলে ধরব হালকা বর্ণনার মধ্যে দিয়ে।
আজ থেকে বেশ কিছু মাস আগে আমি পুকুরে পানি দিয়েছিলাম মোটর দিয়ে সেই মুহূর্তে ধারণ করা ফটোগ্রাফি নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। যেহেতু প্রচন্ড রোদ গরমে পুকুরের পানি শুকিয়ে যায় আর পুকুরের পানি শুকিয়ে গেলে মাছ বৃদ্ধিতে ব্যাহত হয়। তাই যে সময় প্রচন্ড রোদ গরম তাপদাহ চলে সেই মুহূর্তে পুকুরে পানি ঠান্ডা রাখার জন্য এবং পানি বেশি করে রাখার জন্য মোটর দিয়ে পানি চালাতে হয়। ঠিক তেমনভাবে পুকুরে পানি দিয়েছিলাম মোটর দিয়ে এই মুহূর্তে। সারাটা দিন একাকী থাকার কারণে বেশ অস্থির বোধ করছিলাম। আর এই অস্থিরতা দূর করার জন্য হঠাৎ মাথায় আসলো কিছুটা ফটোগ্রাফি করি। আমি এমনিতে যখন একাকী থাকি তখন ফটোগ্রাফি করতে অথবা কবিতা লিখতে বেশি পছন্দ করি আর দীর্ঘদিন একা থেকে থেকে যেন কেমন একটা সংকোচের মধ্যে পড়ে যাচ্ছি। কিছুটা সময় ডিপ্রেশনে ভুগী অতীতের কিছু স্মৃতি স্মরণ হলে। তবে এই মুহূর্তটা একাকী থাকা সঠিক নয় যখন কেউ ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকে তখন অবশ্যই মানুষের মধ্যে থাকতে হয়,নাই যে কোন একটি সমস্যা হয়ে যেতে পারে। যাই হোক সেই দিকে না যায় পাশে থাকার মানুষগুলো কিন্তু এই সমস্ত বিষয়গুলো বুঝতে চায় না এবং কি কিছু বললেও হাসাহাসি করবে। এই মুহূর্তটা কবিতা লিখতে মন চাচ্ছিল না তাই মোটরের দিকে তাকিয়ে বসে থাকার মুহূর্তে ফটোগ্রাফি। এমনকি যখন পুকুরে পানি নাবছিল এই মুহূর্তে ফটোগ্রাফি করছিলাম। তারপর হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এলো ধানের জমিতে যদি একটু ফটোগ্রাফি করি তাহলে হয়তো মন সতেজ হবে।


পুকুরের পাড় থেকে হাসতে হাসতে ধানের জমির দিকে নেমে যেতে থাকলাম দেখলাম পুকুরের পানির মত সচ্ছল জমির পানি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে প্রচন্ড কাদা ছিল সেই মুহূর্তে আমি তো কাঁদার মধ্যে তেমন একটা না দিতে চাই না এরপরে তখন যেন এতটা ভালো লাগছিল পায়ের চটি খুলে কাদার মধ্যে যেন নেমে পড়তো তখন বেশ ভালো লাগছিল আমার, তাই প্রথমে উপর থেকে একটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম দেখলাম বেশ ভালই লাগছে এই মুহূর্তে ফটোগ্রাফি তাও সুন্দর হচ্ছে।

ধানের জমির পান তাকিয়ে ফটোগ্রাফি করতে এই মুহূর্তে যেন মনের মধ্যে একটু ভালো লাগা আর একঘেয়েমি তা দূর হতে থাকলো প্রাকৃতিক অনুভব। যেন মনের মধ্যে গড়ে উঠতে থাকলো আর কিছুটা হাসি আনন্দ খুশি অনুভব করতেই নেমে পড়লাম ফটোগ্রাফি করার জন্য একান্ত নিবিড় ভাবে মিশে গেলাম এই প্রকৃতির মাঝে। কেন কি জানি ছোট থেকে একাকী বড় হয়েছি আর জীবন চলার পথে একটি আঘাত আমাকে আরো একা করে রেখে গেছে। ওই মুহূর্তে অবশ্য বিবাহ করেছিলাম না তবে যখনই স্কুলে যেতাম ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতাম বেশ হাসিখুশি অবশ্যই কিছুটা মানসিক প্যারা শিকার হতাম যেহেতু ছোটদের পড়ানো একটা কঠিন কাজ তারপরেও যথেষ্ট ভালো থাকতাম কিন্তু যখন পরবর্তী টাইমটা একা থাকতাম আবারও সেই আগের মত মন মানসিকতা খারাপ দিকে চলে যেতাম। আর একাকীত্ব যে কি যন্ত্রনা সেটা অন্যকে বোঝানো বড় কঠিন। হয়তো অনেকের স্বাভাবিক অবস্থায় অবস্থান করতে পারে মানুষের মধ্যে চলো চল থাকে তাই আর যারা মানুষের মধ্যে চলাচল কম অভ্যাস কম হয়ে যায় তখন কিন্তু তার জন্য বড় কঠিন হয়ে যায়।



পানি কাঁদার মধ্যে নেমে চেষ্টা করলাম একান্ত ধানের গাছের নিকটে যে ফটোগ্রাফি করতে জায়গায় লক্ষ্য করলাম মাকড়সা বাসা বাঁধছে। অন্যান্য চেনা অচেনা অনেক পোকা। বিভিন্ন ভাবে ধানের এই মাঠ থেকে ফটোগ্রাফি করতে বেশ ভালো লাগছিল আমার যেন হারিয়ে গেলাম কোন অজানার মধ্যে আর মনটাও যেন একটু প্রফুল্ল হয়ে উঠতে থাকলো তখন। ধানের জমিতে যে পানি গুলো আপনারা লক্ষ্য করছেন এগুলো কিন্তু পুকুর ছ্যাকা পানি আর কিছুটা বোরিং থেকে দেওয়া পানি। যাই হোক জান পানিগুলো কিন্তু খুব সচ্ছল লাগছিল। হয়তো ধানগুলো সবে মাত্র ১৫-২০ দিন আগে লাগানো তাই বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।







আমাদের বর্তমান ধানের কোন জমি জায়গা নেই ধান লাগানো হয় না। সবে মাত্র কয়েকটি পুকুর রয়েছে আর কিছু পুকুর লিজে নিয়ে মাছ আবাদ করে থাকি। তাই এই সমস্ত ধানের জমিতে বেশ নিজেকে কিছুটা সময়ের জন্য হারিয়ে রাখতে ভালো লাগে কিন্তু পূর্বে আমি অনেকবার আপনাদের মাঝে ধানের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করেছিলাম। যে মুহূর্তে আমি এখানে ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন দেখলাম কয়েকটি মাছ ছোট মাছ পানির মধ্যে খেলা করে বেড়াচ্ছে কোথা থেকে এসেছে তা ঠিক বুঝতে পারলাম না। যেহেতু মাঠে পুকুর শাখা পানি দেওয়া হয় হয়তো স্যালো মেশিনের মধ্যে থেকেই এসে গেছে পুকুরের ছোট ছোট মাছ। ছোটবেলায় ধানের জমিতে মাছ ঘুরে বেড়াতে দেখতাম,বেশ ভালো লাগতো এমন সুন্দর দৃশ্যগুলো। যাইহোক এভাবে কিছুটা মুহূর্ত অতিবাহিত করে মনটা ফ্রেশ হল। এরপর নিজের কাজকর্ম শেষ করে আবার বাড়ির দিকে আসার চেষ্টা করেছিলাম। আমি মাঝেমধ্যে মন ভালো রাখতে বিরহের গান শুনে থাকি এবং বিরহের কবিতা লিখে থাকি পাশাপাশি এমন ভাবে প্রকৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে রাখি আর এভাবেই যেন সুন্দর একটা মুহূর্ত মনের মধ্যে আসে এবং ভালো লাগা সৃষ্টি হয়। আর এটাই ছিল সুন্দর একটি মুহূর্ত প্রকৃত মাঝে।



পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

আসলে গ্রাম বাংলার এ সকল জায়গাগুলোতে গেলে মন এমনিতেই ভাল হয়ে যায়।এই ধরেন পুকুর পাড়ে গেলাম আবার ক্ষেতে গেলাম।এরকম জায়গাগুলোরপ্রতি অন্যরকম একটি টান অনুভূত হয়।আপনি আজকে মন ভালো করার জন্য পুকুর পাড় দিয়ে ধান খেতে গিয়ে কিছু সুন্দর সময় কাটেছেন এবং আশেপাশে সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করেছেন।আর আমাদের মাঝে এসে সকল মুহূর্তের ছবিগুলো শেয়ার করেছেন। যা দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া।
সুন্দর মন্তব্য জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
এমন ধানের ক্ষেত দেখতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে ভাই। সবুজ এমন ধানের ক্ষেত দেখলে মনটা ভালো হয়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ছোটবেলায় গ্রামে থাকতে এসব দেখার সুযোগ হতো কিন্তু এখন আর সেই সৌভাগ্য হয় না। এরকম ধানের ক্ষেতের জলে ছোট ছোট মাছ পাওয়া যায় এটা আমিও গ্রামে থাকতে দেখেছি ভাই। জমিতে যখন জল দেওয়া হয় তখনই সেই জলের সাথে এই মাছগুলো চলে আসে।
বেশি ভালো লেগেছে আপনার মন্তব্য