সুস্থতাই হচ্ছে সব চেয়ে বড় নিয়ামত।
হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।
সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আমি খুব একটা ভালো নেই। প্রচন্ড জ্বর। গতকাল তো পোস্ট ও করতে পারিনি। আজ এখন জর ছাড়লো একটু তাই ভাবলাম পোস্ট করে ফেলি।
সুস্থতা যে আমাদের জন্য কতো বড় নিয়ামত সেটা শুধু অসুস্থ হলেই বুঝা যায়। সুস্থ থাকলে হয়তো মনে হতে পারে যে আমার এইদিকে কমতি ওইদিকে কমতি। কিন্তু বিশ্বাস করুন একবার যদি অসুস্থ হন তাহলেই বুঝবেন সুস্থতাই হচ্ছে সব চেয়ে বড় জিনিশ। আর যদি জ্বর হয় তাহলে তো কথাই নেই। এখন কার জ্বর একদম কাবু বানিয়ে ফেলে। বিশেষ করে আমি এখন প্রচন্ড জ্বর এ ভুগতেছি। গতকাল তো অবস্থা বেশি খারাপ ছিলো সারাদিন শুয়ে ছিলাম। পোস্ট ও করতে পারিনি। এখন যে পোস্ট লেখছি এখন আমার জ্বর ১০১ ডিগ্রি।
জ্বরের শুরুটা শনিবার রাত থেকে। শরীর যেনো কেমন কেমন লাগছিলো। তাই অন্যান্য দিনের চেয়ে একটু আগেই বাসায় চলে আসি। কেমন যেনো অস্থির অস্থির লাগছিলো আমার। বুঝতে পারছিলাম হয়তো জ্বর আসতেছিলো। মানে জ্বর জ্বর অনভুত হচ্ছিলো। আমার একটা থার্মোমিটার রয়েছে। সাথে সাথে সেটা দিয়ে চেক করলাম। দেখলাম ৯৯ ডিগ্রি। ভাবলাম ১ ডিগ্রি বেড়ে যাওয়া তেই কি এক অবস্থা। সাথে সাথেই আম্মুকে জানালাম আমার মনে হয় জ্বর আসতেছে। আম্মু সাথে সাথে প্যারাসিটামল দিয়ে বললেন খেয়ে নিতে। তবে আমি রাতে কিছু না খাওয়ায় আর খাইনি।
আম্মুকে বললাম আমার জন্য একটা কাঁথা বের করে রাখতে। কারণ শীত লাগছিলো। আম্মু একটা কাঁথা বের করে দিয়ে ঘুমাতে চলে যায়। জ্বর এর সাথে সাথে আমার শরীর বেথাও শুরু হচ্ছিলো। ছোট ভাই এসে মশারী টাঙ্গিয়ে দিলো। তারপর আমি শুয়ে পরলাম। রাতে জ্বর এতো বেড়ে গেলো যা বলার বাইরে। কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে পরলাম আমি। খুব শীত করছিলো। আর শরীর ব্যাথা তো রয়েছে। সকালে জ্বর মেপে দেখি ১০৩ ডিগ্রি। আমি তো ঠিক মতন হাঁটতেও পারছিলাম না। এতো দুর্বল লাগছিলো। সব চেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে আমার মিডটার্ম পরীক্ষা রয়েছে আজ। প্রস্তুতিও নিতে পারিনি। সিলেবাস কমছিলো ভেবেছিলাম পরীক্ষার দিন প্রস্তুতি নিবো। কিন্তু জ্বর এর জন্য বিছানা থেকেই উঠতে পারছিলাম না। আম্মুকে জানালাম আমার আজকে পরীক্ষা আছে ক্যাম্পাস এ আমি কিভাবে পরীক্ষা দিবো। আমার ভার্সিটি আমার বাসা থেকে প্রায় ১০ কি.মি. দূরে। পরীক্ষা মিস দিবো এটাও পারছিলাম না। মিস দিলে ফাইনালে অনেক প্রেশার পরে যাবে।
আব্বুকেও জানালাম বিষয়টা। আব্বু হাই পাওয়ার এর ঔষধ এনে দিলেন। তবে সেটা আগে খাইনি। সকালে আর দুপুরে রুটি কলা খেয়ে দুইটি করে প্যারাসিটামল খেয়ে পরে ছিলাম বিছানায়। পড়তে পারিনি একটুও। ভাবলাম পরীক্ষায় এটেন্ড করি। তারপর ম্যামরে বলবো নাম্বার যদি একটু বাড়িয়ে দেয়। ৪ টার পর চলে যেতে হলো সেই হাই পাওয়ার এর ঔষধ খেয়ে। আব্বু বলেছিলো আমার ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে যেতে। আমি ভাবলাম শুধু শুধু ওরে নিয়ে বসাই রেখে কি লাভ। আর আমার দুই বন্ধু আসতেছে। ওরা পিক করবে আমাকে বাস স্ট্যান্ড থেকে। তারপর ওদের সাথে চলে যাই। বাসে বসে একটু পড়ার চেস্টা করি। কিন্তু মাথা অনেক ব্যাথা ছিলো তাই পড়তে পারিনি। তবে যেটুকু পড়েছি ভালো মতন। পরীক্ষা ভালো হয়েছে। আল্লাহর রহমত ছিলো তাই হয়তো।
আসলে সুস্থতা সত্যি আমাদের জন্য অনেক বড় এক নিয়ামত। অসুস্থ শরীর নিয়ে কোনো কিছুই করা যায়না। আরো হাঁটতে চলতে কষ্ট। নিজে অসুস্থ হলে তা নিজের জন্য তো সমস্যা সাথে পরিবারের বাকি সদস্যদের জন্য ও অশান্তির। দোয়া করবেন আমার জন্য যেনো আমার জ্বর দ্রুতো সেরে যায়। আর উপকূল অঞ্চলের ভাই ও বোনেরা সবাই একটু সাবধানে থাকবেন। কারণ ঘুর্নিঝড় সিত্রাং কঠোর ভাবে বাংলাদেশ এর উপকূল এলাকায় আঘাত হেনেছে। সবাই একটু নিরাপদে থাকবেন।
░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

VOTE @bangla.witness as witness

OR
ঠিক বলেছেন ভাইয়া অসুস্থ না হলে বোঝা যায় না যে সুস্থতা কতটা জরুরী। পরীক্ষার মধ্যে জ্বর আসলে খুবই বিপদে পড়তে হয়। আপনি যদি রাতে প্যারাসিটামল খেয়ে ঘুমাতেন তাহলে জ্বর হয়তো নাও বাড়তে পারতো। তারপরও এই জ্বর অবস্থায় পরীক্ষা দিয়ে পরীক্ষা ভালো হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। দোয়া করি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।
না আপু জ্বর যেটা আসার সেটা আসতই। কারণ এটা ভাইরাস টাইপের জ্বর ছিলো। যা পরের এক সপ্তাহ ভুগিয়েছে আমায়।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার এই কথাটির সাথে সম্পূর্ণ সহমত পোষন করেই বলছি। সুস্থতা যে কত বড় নিয়ামত তা আমরা অসুস্থ না হলে কেউ বুঝতেই পারিনা। তাইতো সুস্থ থাকার জন্য আমাদের সচেতন থাকা খুব বেশি জরুরি। আপনি জ্বরের কারণে গতকাল পোস্ট ক।রতে পারেননি শুনে খুব খারাপ লাগলো। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া করছি। আপনি খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান। যদিও আজ জ্বর কমে যাওয়ার কারণে পোস্টটি করেছেন। তবুও বলব একটু সচেতন থাকবেন। অনেক অনেক দোয়া আপনার জন্য।
♥♥
একদম আপু। অসুস্থ হওয়ার পরই সুস্থতার মূল্য বুঝা যায়।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
একদম খাঁটি কথা বলেছেন সুস্থতা মানুষের সবচেয়ে বড় নিয়মত।মানুষ যখন অসুস্থ হয় তখনই বোঝে। আর এখন আবহাওয়ার যে অবস্থা চারিদিকে সবার শুধু জ্বর হচ্ছে আর জ্বরটা মানুষকে একেবারে সত্যিই কাবু করে দিয়ে যায়। আপনার আগে থেকে কিছু হলেও প্রিপারেশন নিয়ে থাকার দরকার ছিল। তারপরও যাক শেষ পর্যন্ত পরীক্ষাটা ভালো দিয়েছেন। আবার আরেকটি বিষয় জ্বর নিয়ে আপনার বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত একা যাওয়াটাও কিন্তু ভাইয়া ঠিক হয়নি, আপনার ছোট ভাইকে সাথে নেওয়া উচিত ছিলো। আল্লাহর অশেষ নেয়ামত যে আপনি ভালই ভালই পরীক্ষাটা দিতে পেরেছেন।দ্রুত আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
হুম আপু। অসুস্থ হলেই এই জিনিশটা উপলব্ধি করা যায়।
১০১ ডিগ্রি জ্বর নিয়েও যে আজ পোষ্ট করলেন সত্যিই অনেক কঠিন ব্যাপার৷ আর আপনি এতো অসুস্থতার মাঝেও যে পরীক্ষা ভালো দিয়েছেন এটাই বড় বিষয় ৷
আসলে শরীর অসুস্থ হলে যে কতটা খারাপ লাগে ৷ তা আসলে ভালো ভাবে জানি
যা হোক সর্বোপরি আপনার সুস্থতা কামনা করি ৷আপনি খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুন ৷
সেদিন এর পরীক্ষা দিতে পারলেও পরের আর একটা পরীক্ষাও দিতে পারিনি ভাই।
অসুস্থ শরীর নিয়েও আপনি পোস্ট করেছেন দেখে ভালো লাগলো। কাজের প্রতি ভালোবাসা আছে বলেই এটা করা সম্ভব হয়েছে। একদিকে আপনার পরীক্ষা অন্যদিকে জ্বর। সত্যি ভাইয়া আপনার অনেক খারাপ সময় যাচ্ছে। অসুস্থ হলেই শুধুমাত্র সুস্থ জীবনের মূল্য অনুভব করা যায়। সুস্থতা হলো সব চেয়ে বড় নিয়ামত।
হুম আপু। খুবই কষ্টকর কিছু দিন পার করেছি কয়দিন আগে।
আপনার সাথে আমি একমত সুস্থতায় সবচেয়ে বড় নিয়ামত। কারণ যখন আমরা অসুস্থ থাকি তখন আসলে বোঝা যায় সুস্থতা কতটা আমাদের জন্য জরুরী।
হুম সুস্থতা সত্যি আমাদের জন্য অনেক জরুরী।
জি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন সুস্থতা যে কত বড় আল্লাহ তাআলার নিয়ামত সেটা শুধুমাত্র অসুস্থ হলেই আমরা অনুভব করতে পারি, তার আগে নয়। তবে আপনার জন্য দোয়া করি আল্লাহ তাআলা আপনাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন। এই অসুস্থ শরীর নিয়ে আপনি পরীক্ষা দিয়েছেন আপনার পরীক্ষা ভালো হয়েছে আসলে সবই আল্লাহর ইচ্ছা, আল্লাহ চাইলে সবই করতে পারেন। তাই আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে নিন আশা করি আল্লাহতালা আপনাকে সুস্থ করে দিবেন।
জ্বি ভাইয়া ধীরে ধীরে সুস্থতা অর্জন করছি। দোয়া করবেন আমার জন্য।