নিভৃতকে নিয়ে কিছু অনুভূতি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
আজ আপনাদের মাঝে ভিন্ন ধরনের একটি অনুভূতি শেয়ার করতে এসেছি। আসলে কিছু কিছু অনুভূতি আমাদের মনের মাঝে লুকায়িত থাকে যেগুলো সব সময় শেয়ার করা হয় না। আজকে এমনই কিছু ভিন্ন রকম অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব যেটা আসলে প্রত্যেকটা মা-বাবার জন্য অনেক বেশি আনন্দদায়ক এবং অনেক বেশি কষ্টেরও হয়। তবে কষ্টের চেয়েও এই মুহূর্তগুলো খুব বেশি স্মৃতিময় হয়ে যায় সময় গুলো খুব দ্রুত অতিবাহিত হয়।
এইতো আর মুখে দুমাস পরে আমার বিয়ের চার বছর পূর্ণ হতে চলেছে। দেখতে দেখতে চারটা বছর কিভাবে যে কেটে গেল বুঝতে পারলাম না। এই চার বছরে অনেক হাসি আনন্দের মুহূর্তগুলো গিয়েছে। সবগুলো মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করা হয়ে ওঠেনি। তবে কিছু কিছু মুহূর্ত সেগুলো খুব বেশি আনন্দের ছিল সেগুলোই আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আর এদিকে আমার ছেলেরও ৩ বছর চলছে।প্রায় শেষের দিকেই এখন, আমার এনিভার্সারি,আমার বার্থডে আর আমার ছেলের বার্থডে ৩টা মুহূর্তই জুন মাসে।আর এই মুহূর্তগুলো সবগুলোই আনন্দের।যদিও গত ৩ বছরে এই মুহূর্তগুলো খুব বেশি আনন্দের কাটিয়েছিলাম, তা বলা মুশকিল।কারণটা না হয় না ই বললাম।
যাইহোক এবার আসি আসল কথায়। আজকের পোস্টটা করার কারণ হলো আমার ছেলে।সকাল থেকেই ভাবছি কি পোস্ট করব। ভাবতে ভাবতে গেলাম গ্যালারিতে। গিয়ে দেখলাম নিভৃতের কিছু ছবি। এগুলো আসলে শীতের সময়ে তোলা।একটা ক্যামেরা ট্রায়াল দেয়ার জন্য আনা হয়েছিল।তাই নিভৃতের কিছু ছবি তুলে দেখেছিলাম।যখন ছবি তুলছিল তখন সে ভীষণ খুশি ছিল।প্রত্যেকটা ছবি দেখলেই আসলে তার আনন্দগুলো বোঝা যাচ্ছিলো।
বাচ্চারা কত তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায়।শৈশবের সময়টা একদমই ছোট।২০২২ সালের ২১ জুন তার জন্ম। আর এখন তার ৩ বছর শেষের দিকেই। এই দিনগুলো যদিও খুব সহজে কাটেনি, কিন্তু কিভাবে যে এত তাড়াতাড়ি কেটে গিয়েছে তা যেন বুঝতেই পারলাম না।নিভৃত বসেছে কিছুটা দেরি করে,তার দাঁত উঠলো দেরিতে।কিন্তু ১১মাসে পড়তেই সে হাটা শুরু করে। এই মুহূর্তগুলো খুব আনন্দের ছিল। কিন্তু এই প্রতিটি মুহূর্ত আমার জন্য ছিল ভীষণ চ্যালেঞ্জিং। কারণ ঐ মুহূর্তেই আমি আলাদা একটা প্রিপারেশন নেয়ায় ব্যস্ত ছিলাম।সংসারের কাজ,ছেলেকে সামলানো,তার যাবতীয় কাজ সেরে নিজের প্রিপারেশন নেয়া আমার জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
সেই ১টা বছর আমার উপর দিয়ে কি গিয়েছে সেটা আমি ছাড়া আমার পাশের মানুষটারও বোঝার সাধ্য ছিল না।কারণ শারীরিক মানসিক সব পরিশ্রমই আমার একার ছিল। কিন্তু একটা বিষয় ভাবলে আফসোস লাগে কারণ যত কষ্টই হোক না কেন ছেলের ছোট্ট ছোট্ট এই মুহূর্তগুলো যখন ছবিতে ক্যাপচার করেছিলাম আর এখন দেখতে মনে হয় সময় কত দ্রুতই পার হয়ে গেল, ছেলেটাও বড় হয়ে যাচ্ছে। আলহামদুলিল্লাহ এখন সে কথা বলা থেকে শুরু করে যে কোন কাজ খুব সুন্দর করেই করতে পারে। সবাই তার কথা বলার ধরন, হাসি সবকিছুই খুব বেশি এনজয় করে। এই মুহুর্তগুলোই কত দ্রুত কেটে যাচ্ছে। সেটা হয়তো এখন উপলব্ধি করতে পারছি না কিন্তু কিছু বছর পরে মুহূর্তগুলো অনেক বেশি মনে পড়বে।
যাইহোক মনের কিছু অনুভূতি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আমরা মা-বাবা সকলেরই উচিত বাচ্চাদের ছোট ছোট মুহূর্তগুলোকে উপলব্ধি করা এবং তাদের সাথে আনন্দের সময় কাটানো। কারণ পরে এই মুহূর্তগুলো আর কখনো ফিরে পাওয়া সম্ভব হবে না। তখন আফসোস করা ছাড়া কোন কিছুই থাকবে না।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/bristy110/status/1909960894567842298
https://x.com/bristy110/status/1910029838431224100
https://x.com/bristy110/status/1910031130666979665
https://x.com/bristy110/status/1910033078363508995
https://x.com/bristy110/status/1910033794725470431