"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল - রাউন্ড #৬৭৬ [ তারিখ : ১১.০৬.২০২৫ ]


বিগত ০২ মে ২০২৩ থেকে "আমার বাংলা ব্লগের" একটা নতুন ইনিশিয়েটিভ আজকের ফিচারড আর্টিকেল চালু করা হয়। এই উদ্যোগটি এখনও অব্দি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মেই একদম নতুন ও ইউনিক । কি এই "আজকের ফিচারড আর্টিকেল" ? আসুন জেনে নেওয়া যাক ।


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল : আমার বাংলা ব্লগে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করা হয়ে থাকে । অলটাইম এভারেজ ১৭০ জন রাইটার এক্টিভলি আর্টিকেল লিখে চলেছেন প্রতিদিন । এত এত আর্টিকেলের মধ্যে থেকে বেছে নিয়ে প্রত্যহ ফিচারড আর্টিকেল হিসেবে একটি আর্টিকেলকে আলাদা করে পাবলিশ করা হবে আমাদের কমিউনিটির নতুন একটি একাউন্টে । যেহেতু, হুবহু অন্যদের আর্টিকেল স্টিমিটে আলাদা অন্য আর একটি একাউন্টে পাবলিশ করার নিয়ম নেই তাই আমরা ফিচারড আর্টিকেলের কিছু অংশবিশেষ নিয়ে আলোচনামূলক পোস্ট করবো । সেই সাথে থাকবে সেই সকল ফিচারড আর্টিকেলের রাইটারদের নাম, আর্টিকেলের নাম ও আর্টিকেল পোস্টের লিংক । এডিশনালি আমরা ছোট্ট একটা পিডিএফ পাবলিশ করবো প্রত্যেক মাসের প্রথম রবিবারে । এই পিডিএফ -এ থাকবে বিগত এক মাসের সবগুলি ফিচারড আর্টিকেল ।


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল রাইটার - @nipadas


অথর সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ


অথরের - নাম নিপা দাস।তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক।পড়াশোনা - উনি আর্টস নিয়ে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছেন। উনি যেমন একা থাকতে ভালোবাসেন তেমন বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনের সাথে গল্প করতেও খুব ভালোবাসেন। উনি যখন সময় পান তখন বসে বসে ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের রহস্যময় গল্প শুনতে অনেক বেশ পছন্দ করেন।স্টিমিট প্লাটফর্ম এ যুক্ত হয়েছে ২০২৪ এর ১৩ অক্টোবর।


এক নজরে তাঁর বিগত সপ্তাহের পোস্টগুলি :

1000000927.jpg


"আমার বাংলা ব্লগ" আজকের ফিচারড আর্টিকেল :


1000000925.jpg

প্রয়োজনের অতিরিক্ত শো অফ করা ক্ষতিকর।... @nipadas (10.06.2025 )

আমাদের এই পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের মানুষ রয়েছে। আর তারা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ধরনের ক্ষমতার অধিকারী। এবং তাদের প্রত্যেকেরই সামর্থ্য বিভিন্ন ধরনের অর্থাৎ কারোর কম আর্থিক সামর্থ্য কারোর মাঝারি এবং কারোর অনেক বেশি।.. .


আজ যখন ফিচার্ড আর্টিকেলের জন্য পোস্ট বাছাই করছিলাম।তখন এই লেখাটি নজরে আসে।উনি এই লেখাটিতে আমাদের সমাজের একটি খুবই বাস্তব ও প্রাসঙ্গিক দিক তুলে ধরেছেন।অর্থের বড়াই বা অপ্রয়োজনীয় শো-অফ এবং তার পরিণতি। উনি খুব সহজ ভাষায় এবং বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন। পুরো লেখাটির ভেতর দিয়ে যে বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে, তা হলো শান্ত জীবন চাইলে, নিজের সামর্থ্য নিয়ে অহংকার না করে, তা আড়াল করেই চলাই শ্রেয়।

লেখার শুরুতেই সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের অর্থনৈতিক তফাৎ খুব বাস্তবভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। ধনী, মধ্যবিত্ত ও গরিব তিন ধরনের মানুষের মধ্যেই অর্থের বড়াই করার প্রবণতা যে থাকে, তা উনি খুব স্পষ্টতার সঙ্গে দেখিয়েছেন। বিশেষ করে উনি যে ব্যাপারটি লিখেছেন যে যারা দিনে আনে দিনে খায় তারাও যখন হঠাৎ কিছু পায় তখন শো-অফ শুরু করে।তখন এটি নিছকই আর বড়লোকদের অভ্যাস থাকে না বরং একটি মানসিক প্রবণতা হয়ে দাঁড়ায়, যেটি সমাজের সব স্তরেই বিদ্যমান।

উনার লেখাটি শুধুই সমালোচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং এতে উপদেশও রয়েছে। যেসব মানুষ অহেতুক টাকার গর্ব করে, তাদের সম্ভাব্য বিপদের কথা খুব সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেমন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ ইত্যাদি বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে যে অর্থের বড়াই কিভাবে জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, উনি যেভাবে মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা মানুষদের সঙ্গে হঠাৎ টাকার মুখ দেখা মানুষের মনোভাবের পার্থক্য তুলনা করেছেন, সেটি বেশ গভীর একটি পর্যবেক্ষণ। এটা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে শিক্ষা, পরিবেশ ও অভিজ্ঞতা একজন ব্যক্তির আচরণে কীভাবে প্রভাব ফেলে।

সবশেষে লেখাটি উনি শেষ করেছেন একটি ইতিবাচক এবং শিক্ষনীয় বার্তার মাধ্যমে।শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ জীবন চাইলে অহংকার নয় বরং সংযম ও সচেতনতাই হোক আমাদের পথ।

1000000925.jpg


ছবিগুলো @nipadas এর ব্লগ থেকে নেওয়া

উনার পোস্ট এর বানান, মার্কডাউন এবং কভার ফটো সব কিছুই বেশ সুন্দর। আশা করছি ভবিষ্যতেও তিনি আমার বাংলা ব্লগের সাথে যুক্ত থাকবেন এবং কাজের এ ধারা অব্যাহত রাখবেন।

ধন্যবাদ সবাইকে।

Banner New.png

puss_mini_banner4.png

Sort: